আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
131 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (40 points)
১.কেউ যদি বলে আমার ওমুক কাজ করা পছন্দ না। তাহলে কি ঈমান থাকবে?

২.কেউ যদি বলে আমার ইসলামের সকল কাজ পছন্দ। কিন্তুু ওমুক কাজ পছন্দ না তবে কি ঈমান থাকবে?

৩.গোসল করার সময় পুরো শরীর ধুলে কি ওযু হয়ে যাবে?

৪.নিয়মিত সুন্নত নামাজ না পরলে কি পাপ হবে না?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
edited by
জবাবঃ- 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম 


শরীয়তের বিধান হলো,  আকাট্য ভাবে প্রমানীত যেকোনো ফরজ বিধান অস্বীকার করলে,কুরআনের একটি আয়াতকে অস্বীকার করলে, ব্যাক্তি কাফের হয়ে যাবে।
,
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

وَالَّذِينَ كَفَرُوا وَكَذَّبُوا بِـَٔايٰتِنَآ أُولٰٓئِكَ أَصْحٰبُ النَّارِ ۖ هُمْ فِيهَا خٰلِدُونَ
আর যে লোক তা অস্বীকার করবে এবং আমার আয়াতগুলোকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করার প্রয়াস পাবে, তারাই হবে জাহান্নামবাসী ; অন্তকাল সেখানে থাকবে।

وَءَامِنُوا بِمَآ أَنزَلْتُ مُصَدِّقًا لِّمَا مَعَكُمْ وَلَا تَكُونُوٓا أَوَّلَ كَافِرٍۭ بِهِۦ ۖ وَلَا تَشْتَرُوا بِـَٔايٰتِى ثَمَنًا قَلِيلًا وَإِيّٰىَ فَاتَّقُونِ
আর তোমরা সে গ্রন্থের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন কর, যা আমি অবতীর্ণ করেছি সত্যবক্তা হিসেবে তোমাদের কাছে। বস্তুতঃ তোমরা তার প্রাথমিক অস্বীকারকারী হয়ো না আর আমার আয়াতের অল্প মূল্য দিও না। এবং আমার (আযাব) থেকে বাঁচ ।
(সুরা আল-বাকারাহ : ২/৩৯ ,২/৪১)

إِنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا بِـَٔايٰتِنَا سَوْفَ نُصْلِيهِمْ نَارًا كُلَّمَا نَضِجَتْ جُلُودُهُم بَدَّلْنٰهُمْ جُلُودًا غَيْرَهَا لِيَذُوقُوا الْعَذَابَ ۗ إِنَّ اللَّهَ كَانَ عَزِيزًا حَكِيمًا
এতে সন্দেহ নেই যে, আমার আয়াত সমুহের প্রতি যেসব লোক অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করবে, আমি তাদেরকে আগুনে নিক্ষেপ করব। তাদের চামড়াগুলো যখন জ্বলে-পুড়ে যাবে, তখন আবার আমি তা পালটে দেব অন্য চামড়া দিয়ে, যাতে তারা আযাব আস্বাদন করতে থাকে। নিশ্চয়ই আল্লাহ মহাপরাক্রমশালী, হেকমতের অধিকারী ।

الَّذِينَ يَتَرَبَّصُونَ بِكُمْ فَإِن كَانَ لَكُمْ فَتْحٌ مِّنَ اللَّهِ قَالُوٓا أَلَمْ نَكُن مَّعَكُمْ وَإِن كَانَ لِلْكٰفِرِينَ نَصِيبٌ قَالُوٓا أَلَمْ نَسْتَحْوِذْ عَلَيْكُمْ وَنَمْنَعْكُم مِّنَ الْمُؤْمِنِينَ ۚ فَاللَّهُ يَحْكُمُ بَيْنَكُمْ يَوْمَ الْقِيٰمَةِ ۗ وَلَن يَجْعَلَ اللَّهُ لِلْكٰفِرِينَ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ سَبِيلًا

আর কোরআনের মাধ্যমে তোমাদের প্রতি এই হুকুম জারি করে দিয়েছেন যে, যখন আল্লাহ তা’ আলার আয়াতসমূহের প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন ও বিদ্রুপ হতে শুনবে, তখন তোমরা তাদের সাথে বসবে না, যতক্ষণ না তারা প্রসঙ্গান্তরে চলে যায়। তা না হলে তোমরাও তাদেরই মত হয়ে যাবে। আল্লাহ দোযখের মাঝে মুনাফিক ও কাফিরদেরকে একই জায়গায় সমবেত করবেন ।
(সূরা আন-নিসা : ৪/৫৬, ৪/১৪০)

تَلْفَحُ وُجُوهَهُمُ النَّارُ وَهُمْ فِيهَا كٰلِحُونَ

আগুন তাদের মুখমন্ডল দগ্ধ করবে এবং তারা তাতে বীভৎস আকার ধারন করবে।

أَلَمْ تَكُنْ ءَايٰتِى تُتْلٰى عَلَيْكُمْ فَكُنتُم بِهَا تُكَذِّبُونَ

(বলা হবে)তোমাদের সামনে কি আমার আয়াত সমূহ পঠিত হত না? তোমরা তো সেগুলোকে মিথ্যা বলতে।

قَالُوا رَبَّنَا غَلَبَتْ عَلَيْنَا شِقْوَتُنَا وَكُنَّا قَوْمًا ضَآلِّينَ

তারা বলবেঃ হে আমাদের পালনকর্তা, আমরা দূর্ভাগ্যের হাতে পরাভূত ছিলাম এবং আমরা ছিলাম বিভ্রান্ত জাতি ।
(সূরা আল মু’মিনুন :২৩/১০৪, ১০৫, ১০৬)

وَالَّذِينَ كَفَرُوا بِـَٔايٰتِ اللَّهِ وَلِقَآئِهِۦٓ أُولٰٓئِكَ يَئِسُوا مِن رَّحْمَتِى وَأُولٰٓئِكَ لَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ

যারা আল্লাহর আয়াত সমূহ ও তাঁর সাক্ষাতকে অস্বীকার করে, তারাই আমার রহমত থেকে নিরাশ হবে এবং তাদের জন্যেই যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি রয়েছে।

وَكَذٰلِكَ أَنزَلْنَآ إِلَيْكَ الْكِتٰبَ ۚ فَالَّذِينَ ءَاتَيْنٰهُمُ الْكِتٰبَ يُؤْمِنُونَ بِهِۦ ۖ وَمِنْ هٰٓؤُلَآءِ مَن يُؤْمِنُ بِهِۦ ۚ وَمَا يَجْحَدُ بِـَٔايٰتِنَآ إِلَّا الْكٰفِرُونَ

এভাবেই আমি আপনার প্রতি কিতাব অবর্তীণ করেছি। অতঃপর যাদের কে আমি কিতাব দিয়েছিলাম, তারা একে মেনে চলে এবং এদেরও (মক্কাবাসীদেরও) কেউ কেউ এতে বিশ্বাস রাখে। কেবল কাফেররাই আমার আয়াতসমূহ অস্বীকার করে।
(সূরা আল আনকাবুত : ২৯/২৩, ৪৭, ৪৯)

আরো জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
সে কাজ যদি ফরজ কাজ হয়,সেক্ষেত্রে তার ঈমান থাকবেনা।
নতূবা ঈমান থাকবে।

(০২)
উক্ত কাজ যদি ফরজ কাজ হয়,সেক্ষেত্রে তার ঈমান থাকবেনা।
নতূবা ঈমান থাকবে।

(০৩)
হ্যাঁ, অযু হয়ে যাবে। 

বিস্তারিত জানুনঃ- 

(০৪)
সুন্নাতে মুয়াক্কাদা নামাজ ওযরবশত নিয়মিত না পড়লে গুনাহ হবে।
বিনা ওযরে ইচ্ছাকৃতভাবে এক বার ছেড়ে দিলেও গুনাহ হবে।

সুন্নাতে মুয়াক্কাদা, যেমন ফজর,জোহর,মাগরিব,ঈশার সুন্নাত। 

বিস্তারিত জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...