আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
170 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (18 points)
edited by
হুজুর আমি আগেও এখানে প্রশ্ন করেছি। দয়া করে আগের প্রশ্ন টা পরে নিবেন নয়তো আপনার বুঝতে সমস্যা হতে পারে।

১.আমার আম্মু আবার আব্বুকে না জানিয়ে ফুপাতো ভাইয়ের সাথে বয়ে দিতে চাইসিলো আমি মানা করসি। সবাই মিলে বুঝাইসে তখন রাজি হইসিলাম পরে ছেলের সাথে যখন কথা বলতে দিসে আমি পরে না করে দিসি সবাইকে। পরে আমার মামার বাসায় নিয়ে আমাকে বুঝানো হয়।তারপর আমার মামা আমাকে বলে ৫ বছর পরে তোমার আব্বু যখন তোমার দ্বিতীয় মাকে ডিভোর্স দিয়ে দিবে তখন ৫ বছর পরে আমারও তোমাকে এই ছেলের থেকে তালাক নিয়ে দিবো। এটা মিথ্যা কথা ছিলো ওরা আমাকে বিয়েতে রাজি করানোর জন্য এই কথা বলসে। এই কথাটা ছেলেকে বলসিলো কিনা যে এভাবেই মিথ্যা বলে মেয়েকে রাজি করাইসি আমি জানিনা।এই মিথ্যাতা শুধু আমাকে বিয়েতে রাজি করানোর জন্যই বলসে। কাজী বিয়ে পড়ানোর সময় যখন বলসে আলহামদুলিল্লাহ কবুল বলতে আমি বলসি আলহামদুলিল্লাহ কবু ইচ্ছে করেই বলসি যেনো বিয়ে না হয়। তারপর আমি হোস্টেল এ পড়তাম হোস্টেলে চলে গেছিলাম এর পরে ছুটিতে নানু বাড়ি আমি গেছি তারপর ওই লোকও নানু বাড়ি গেছে সেদিন আমাকে উনার সাথে একসাথে থাকতে দেওয়া হয়। আমি সেদিন তালাক চাইলে উনি আমার সাথে জড়পূর্বক শারীরিক সম্পর্ক করে।এই বিয়েটা কি মুতা বিয়ে???

২। আমি একজনকে বলসিলাম আমি প্রাক্তন স্বামীকে তালাক দিবো আমাকে কাগজ রেডি করে দাও। কাগজে লিখা ছিলো স্বামীকে এক তালাক দুই তালাক তিন তালাক এবং নিজের ওপর তালাক তাফভিজ গ্রহণ করিয়া তালাক প্রদান করিতেছ। সেই কাগজে কি এটাও লিখা ছিলো কিনা যে উক্ত কাগজ আমি যেদিন স্বাক্ষর করবো সেদিন থেকে কার্যকরী নাকি, কাগজe কোর্ট থেকে বানানোর পরেই কার্যকরী, নাকি আমি কাগজ সই করে করতে পাঠানোর পরে কার্যকরী এসব লিখা ছিলো কিনা আমার মনে নাই আমি কাগজ হারিয়ে ফেলসি। তালাক তাফভিজ কো আমি এটাও জানতাম না আমি জানতাম না মেয়েরা তালাক দিতে পারেনা তাঁদের তালাক নিতে হয়।কাগজ বানানোর সময় আমাকে পরেও  শুনায় নাই। আমি কাগজ অক্টোবর মাসে হাতে পেয়ে অক্টোবর মাসে স্বাক্ষর দিসি। এই ক্ষত্রে তালাকের কার্যকরী তারিখ আমি কবে থেকে ধরবো?? আমি যেদিন আমি করসি  নাকি যেদিন কোর্ট থেকে বানাইসে। কাগজ তো কয়েকটা মাস আগেই বানাইসে কিন্তু আমি স্বাক্ষর করসি অক্টোবর মাসে। ইসলামী শরিয়া  কি বলে এই ব্যাপারে?? কাগজে স্পিকার করার পরে কার্যকরী নাকি কোর্ট থেকে বানানোর পর কার্যকরী?? আমি যেহেতু কাগজ হারিয়েও ফেলসি আমি তালাকের কার্যকরী তারিখ কবে থেকে ধরে নিবো?ওই কাগজ আমার প্রাক্তন স্বামীর কাছেও পৌঁছানো হয়নি করতেও পৌঁছানো হয়নি।

৩।২০১৭ সালের ১৮ ডিসেম্বর আমি কোর্ট এ আবারো প্রাক্তন স্বামীর জন্য তালাক নামা বানাই। সেখানে লিখা ছিলো স্বামীকে এক তালাক দুই তালাক তিন তালাক এবং নিকের ওপর তালাকে তাফভিজ গ্রহণ করিয়া তালাক প্রদান করিতেসি। এবং এখানে কাগজটা কবে থেকে কার্যকরী হবে সেসব কিছু লিখা নাই। আগের কাগজটায় লিখার ব্যাপারে যেহেতু সন্দেহ আছে আমি কি তাহলে ডিসেম্বর মাসের তালাকের কাজটাই কার্যকরী ধরে নিবো?কাগজ আমার প্রাক্তন স্বামীর কাছে পাঠানো হয় নাই
৪.অক্টোবর মাসে  স্বাক্ষর দেওয়ার কাগজটার ৩ টা মাসিক পরে আমি কোর্টে  ১৮ ডিসেম্বরই আরেকজনের সাথে অভিভাবক কে না জানিয়ে বিয়ে করি উক্ত বিয়ে কি বাতিল?

৫। এখানে প্রশ্ন লিখার সময় আমাকে যখন নিজের ওপর তালাক গ্রহণ করিয়া লিখছিলাম তখন আমি মনে মনে বলতেসিলাম নিজের ওপর তালাক না। মনে মনে বলার সময় নিজের ওপর তালাক এতটুকু মনে বলার পরে ঢোক গিলে না বলসি। এভাবেই কি তালাক হয়ে গেছে??তারাপর এই প্রশ্ন টা লিখার সময়ও লিখছিলাম আমার মনে মনে বলছিলাম নিজের ওপর তালাক এভাবেই কি তালাক হয়ে গেছে?? আমার তো আমার স্বামীকে তালাক দেওয়ার ইচ্ছা ছিলোনা ইচ্ছা নাই।

৬। আমি হাত ধুয়ে হাত ঝাড়া দিসি তখন মনে হঅল আল্লাহে এখন যদি অন্য কিছু মনে আসে। তখনই আনার মনে আসে হাতের ৫ টা আঙ্গুল নিজের ওপর ৫ তালাক। এভাবেই কি তালাক হয়ে গেছে??

৭। এখানে ৭ নাম্বার সংখ্যাটা লিখার সমও আমি মনে মনে বলসিছিলাম নিজের ওপর তালাক না। নিজের ওপর তালাক এই কথাটা বলার পরে নিঃশাস নিয়ে না বলসি নাকি নিঃশাস নিতে না বলসি। এভাবেকি তালাক হয়ে গেছে?? আমার তো তালাকরর নিয়ত ছিলোনা। সংখ্যাবাচক শব্দে আমার ওয়াসওয়াসা হয় তাই আমি সংখ্যা বলার সময় ও মনে মনে তালাক না তালাক না বলি বা লিখার সময় ও বলি নিজের ওপর তালাক না। এভাবেই কি তালাক হয়ে গেছে?

৮। কেউ ইচ্ছা করে কোনো সংখ্যা মোবাইলে লিখে মনে মনে যদি নিকের ওপর তালাক নেয় সেটা কি তালাক হয়ে যাবে?

৯। এই সংখ্যা টা লিখার সময় ও মনে মনে বলছিলাম তালাক না তালাক না। সংখ্যাটা লিখার সময় তালাক বলসি পরে সংখ্যা লিখা হয়ে গেলে না বলসি এভাবেই কি তালাক হয়ে গেছে? নিজের ওপর তো তালাক নেই নাই

১০। কেউ যদি মনে মনে নিয়ত করে ওই কাজ না করতে পারলে নিজের ওপর তালাক কিন্তু সে মুখে কিছু বল্লোনা আর পরে ওই কাজটা করতেও পারলোনা তাহলে কি তালাক হয়ে যাবে??

১১. কারোর যদি ওয়াসওয়াসার জন্য বার বার মনে আসে অমুক কাজ না করতে পারলে নিজে ওপর তালাক এর পরে সে ভয় পেয়ে যায় এবং তালাক যেনো না হয় তাই সে ওই কাজটা করার চেষ্টা করে। অনেক সময় সফল হয় অনেক সম্পির হয়না। এইযে সফল হয়না তাহলে কি তালাক হয়ে যাবে সেতো মনে মনে নিয়ত করসে মুখে বলে নাই। আর ঠিক নিয়ত ও না এটা কেমনে কেমনে যেনো মনে চলে আসে।

১২। মোবাইল টিপার সময় হাতের আঙ্গুল নড়ে এটাও মনে হয় ২ টা আঙ্গুল নড়তেসে নিজের ওপর ২ টা তালাক। এভাবেই কি তালাক হয়??

১৩.হাতের আঙ্গুল পায়ের আঙ্গুল নড়লেও নিজের ওপর তালাক কথাটা চলে আসে আমি কি করবো? এইযে এখানে লিখতেসি মনে মনে কথাটা বার বার আসতেসে এভাবেই তালাক হয়ে যাবে??হাঁটার সময় মনে হয় কয়টা কদম হাঁটতেসি ততটা কদম নিজের ওপর তালাক অথচ আমার এসবের ইচ্ছা নাই।। আমি কি করবো এভাবেই কি তালাক হয়ে যায়?

১৪। এখানে সংখ্যাটা লিখা হয়ে গেছে তখন আমি মনে মনে বলছিলাম কখনোই না কখনোই না মানে কখনোই তালাক না। আমার সংখ্যা লিখা হওয়ার গেছে কখনোই নাও মনে মনে সাথে সাথে কয়েকবার বলসি।এর পরে ইচ্ছাকৃত মনে করসি আমার নিজের ওপর তালাক। এভাবেকি তালাক হয়ে গেছে?

ক। ওপরের প্রশ্নে কয়েকবার কিখার সময় এবং এখনো কয়েকবার লিখার সময় মনে আসে নিজের ওপর কয়েকবার তালাক। মনে হয় আমি যেনো ইচ্ছা করে বলি। কিন্তু আমি ইচ্ছা করে বলিনা। এভাবেকি তালাক হয়ে গেছে??

খ। আমার সংখ্যা লিখা হয়ে গেছে কখনোই নাও মনে মনে সাথে সাথে কয়েকবার। এখানে এই কয়েকবার বলার সময় কেউ ইচ্ছাকৃত নিজের ওপর তালাক নিলে সেটা কি। হয়ে যাবে??এটাতো কেনায়া শব্দ না
গ। আমি শান্তিতে ব্রাশ ও করতে পারিনা। ব্রাশ করে গেলেও ভয় লাগে আমার অসচেনোটায় তালাক শব্দটা মুখ থেকে বের হয়ে যায়?জিহবা যদি নড়ে।

ঘ। সুধু  জিহবা নড়ে তালাক শব্দটা স্পষ্ট উচ্চারণ ও হয়নি আমার মনের সন্দেহ উচ্চারণ হইসে কিনা এগাবে কি তালাক হয়ে যায়?

ঙ। আলহামদুলিল্লাহ, বিসমিল্লাহ, ইনাশাল্লাহ বা অন্য কোনো আরবি দুয়া, হ্যালো, কেউ মারা গেছে শুনলেনসেই দুয়াটাও পড়তে পারিনা। এগুলোতো কেনায়া বাক্য না তবুও বলতে ভয় লাগে। কথা বললেই আন্দেহ হয় আমি কি উল্টা পাল্টা কিছু বলসি কিনা

চ। নামাজ ও পড়তে পারছিনা সূরা গুলা পড়ার সময় নিজের ওপর তালাক কথাটা চলে আসে। রুকু সিজদাতেও এমন হয়। কি করবো নামাজ না পড়লেতো গুনাও হবে। আমি ভয়ে নামাজে দাঁড়ায় না।

ছ। প্রশ্ন করার জন্য বার বার যে নিজের ওপর তালাক লিখছি এখানেও মনে আসতেসে আমি কি নিজের ওপর সত্যিই নিলাম কিনা অথচ আমার এমন ইচ্ছা নাই। আমি সংসার করতে চাই। এখানে নিজের ওপর তালাক না লিখি আগে তারপর না মুছে দেই। এভাবেই না টা মুছে দেওয়ার কারণে কি তালাক হবে???

ডাক্তার বলসে আমি OCD  রুগী।মানসিক। রোগে আক্রান্ত মানুষের তালাক নাকি গণ্য হয়না আমার বেলায় ও কি তাই হবে?? আমিতো ইচ্ছাকী তালাকের কথা মনে করিনা অথকো সারাদিন আমার মাথায় এসব ঘুরে। আমি কি করবো

1 Answer

0 votes
by (559,290 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم


তালাক হচ্ছে স্বামীর অধিকার। স্বামী তালাক দিলেই তালাক সংঘটিত হবে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ عَنْ مُوسَى بْنِ أَيُّوبَ الْغَافِقِيِّ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ سَيِّدِي زَوَّجَنِي أَمَتَهُ وَهُوَ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنِي وَبَيْنَهَا قَالَ فَصَعِدَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمِنْبَرَ فَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ مَا بَالُ أَحَدِكُمْ يُزَوِّجُ عَبْدَهُ أَمَتَهُ ثُمَّ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنَهُمَا إِنَّمَا الطَّلَاقُ لِمَنْ أَخَذَ بِالسَّاقِ

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর রসূল! আমার মনিব তার বাঁদীকে আমার সাথে বিবাহ দিয়েছে। এখন সে আমার ও আমার স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়। রাবী বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বারে আরোহণ করলেন, অতঃপর বলেনঃ হে লোকসকল! তোমাদের কারো এরূপ আচরণ কেন যে, সে তার গোলামের সাথে তার বাঁদীর বিবাহ দেয়, অতঃপর তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়? নারীর ঊরু স্পর্শ করা যার জন্য বৈধ, তালাকের অধিকার তার।
(সুনানে ইবনে মাজাহ ২০৮১.বায়হাকী ৯/১৫৭, ইরওয়াহ ২০৪১।)

আরো জানুনঃ- 
 
كُلُّ كِتَابٍ لَمْ يَكْتُبْهُ بِخَطِّهِ وَلَمْ يُمِلَّهُ بِنَفْسِهِ لَا يَقَعُ بِهِ الطَّلَاقُ إذَا لَمْ يُقِرَّ أَنَّهُ كِتَابُهُ كَذَا فِي الْمُحِيطِ (الفتاوى الهندية، كتاب الطلاق، الفصل السادس فى الطلاق بالكتابة-1/379، المحيط البرهانى، كتاب الطلاق، الفصل السادس فى ايقاع الطلاق بالكتاب-4/486، تاتارخانية، كتاب الطلاق، الفصل السادس فى ايقاع الطلاق بالكتاب-3/380)
সারমর্মঃ
প্রত্যেক ঐ লেখা,যেটা নিজ হাত দিয়ে লিখেনি,নিজের মন সেদিকে ঝুকেওনি,তাহলে তালাক পতিত হবেনা।
যদি সে এটা স্বীকার না করে যে এটার তারই লেখা।    

আরো জানুনঃ 
,
পূর্বের ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যদি স্বামী কর্তৃক নিজেকে নিজে তালাক প্রদানের ক্ষমতা পেয়ে থাকেন,সেক্ষেত্রে আপনি যখন উক্ত কপিতে সাইন করেছেন,তখন থেকেই তালাক কার্যকর হয়েছে। 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
https://ifatwa.info/61323/ নং ফতোয়াতে আছে,

প্রশ্নে উল্লেখ রয়েছেঃ-
"সেই কাগজ আমার হাতে পৌঁছেছে  ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে। তখন অক্টোবর মাসের ১২ তারিখ আমার মাসিক চলতেছিলো।,,,,ওই কাগজটা  আমি সম্ভবত অক্টোবর মাসেই সাইন করসি।আর আমার যতটুকু মনে আছে তখন আমার মাসিক প্রতি মাসের টা প্রতি মাসেই হতো।""

উক্ত বিবরন থেকেই বুঝা যায় যে আপনি যেই সময়ে তালাকনামায় সাইন করেছেন,এরপরে অক্টোবর মাসে আপনার মাসিক আসেনি।
বরং ১২ তারিখের দিকেই আপনার হায়েজ এসেছিলো।
আর সেই সময়ে যেহেতু আপনার হায়েজ প্রতি মাসের টা প্রতি মাসেই হতো,সেই হিসেবে ডিসেম্বরের ১৮ তারিখের মধ্যে ৩ টা মাসিক ফুল ভাবে পাওয়া যায়নি।

★সুতরাং আপনার ২য় বিবাহ বাতিল। 

★আপনি যদি স্বামী কর্তৃক নিজেকে নিজে তালাক প্রদানের ক্ষমতা পেয়ে থাকেন,সেক্ষেত্রে
অক্টোবর মাসের যেই সময়ে তালাক দিয়েছিলেন,সেই সময় থেকে ইদ্দত শুরু হয়েছে।
নভেম্বর+ডিসেম্বর +জানুয়ারি এই তিন মাসের তিন হায়েজ আপনার ইদ্দত।
তার মানে জানুয়ারীর হায়েজ শেষ হওয়ার পর আপনার ইদ্দতকাল শেষ হয়েছে।

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
এই বিবাহ হয়ে গিয়েছে।
এটি মুতা বিয়ে নয়।

(০২)
আপন যে সময়ে সাইন করেছেন,সেই সময়ে তালাক কার্যকর হয়েছে।
সুতরাং অক্টোবর মাসের যেই সময়ে সাইন করেছিলেন,সেই সময় থেকে আপনার ইদ্দত শুরু হয়েছে।

(০৩)
অক্টোবর মাসেরটা কার্যকর ধরবেন।

(০৪)
উক্ত বিবাহ সহীহ।

(০৫)
এভাবেই  তালাক হয়ে যায়নি।

(০৬)
না,তালাক হয়ে যায়নি।

(৭-১০)
না,উপরোক্ত ছুরত গুলোতে কোনোভাবেই তালাক হয়নি।

(১১)
না,তালাক হয়ে যাবেনা।

(১২.১৩)
এভাবেই তালাক হয়ে যায়না।
সুতরাং এ দুই ছুরতে তালাক হয়নি।
আপনি নিশ্চিত থাকুন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (18 points)
৪ নং প্রশ্নের ক্ষেত্রে আমি বলতে চাইসিলাম ৩ টা মাসিক ইদ্দত না পালন করে বিয়ে করসিলাম।২ টা মাশক হইসিলো পরে বিয়ে করসি সেই বয়ে কি হইসে?

১৪। এখানে সংখ্যাটা লিখা হয়ে গেছে তখন আমি মনে মনে বলছিলাম কখনোই না কখনোই না মানে কখনোই তালাক না। আমার সংখ্যা লিখা হওয়ার গেছে কখনোই নাও মনে মনে সাথে সাথে কয়েকবার বলসি।এর পরে ইচ্ছাকৃত মনে করসি আমার নিজের ওপর তালাক। এভাবেকি তালাক হয়ে গেছে?

ক। ওপরের প্রশ্নে কয়েকবার কিখার সময় এবং এখনো কয়েকবার লিখার সময় মনে আসে নিজের ওপর কয়েকবার তালাক। মনে হয় আমি যেনো ইচ্ছা করে বলি। কিন্তু আমি ইচ্ছা করে বলিনা। এভাবেকি তালাক হয়ে গেছে??

খ। আমার সংখ্যা লিখা হয়ে গেছে কখনোই নাও মনে মনে সাথে সাথে কয়েকবার। এখানে এই কয়েকবার বলার সময় কেউ ইচ্ছাকৃত নিজের ওপর তালাক নিলে সেটা কি। হয়ে যাবে??এটাতো কেনায়া শব্দ না
গ। আমি শান্তিতে ব্রাশ ও করতে পারিনা। ব্রাশ করে গেলেও ভয় লাগে আমার অসচেনোটায় তালাক শব্দটা মুখ থেকে বের হয়ে যায়?জিহবা যদি নড়ে।

ঘ। সুধু  জিহবা নড়ে তালাক শব্দটা স্পষ্ট উচ্চারণ ও হয়নি আমার মনের সন্দেহ উচ্চারণ হইসে কিনা এগাবে কি তালাক হয়ে যায়?

ঙ। আলহামদুলিল্লাহ, বিসমিল্লাহ, ইনাশাল্লাহ বা অন্য কোনো আরবি দুয়া, হ্যালো, কেউ মারা গেছে শুনলেনসেই দুয়াটাও পড়তে পারিনা। এগুলোতো কেনায়া বাক্য না তবুও বলতে ভয় লাগে। কথা বললেই আন্দেহ হয় আমি কি উল্টা পাল্টা কিছু বলসি কিনা

চ। নামাজ ও পড়তে পারছিনা সূরা গুলা পড়ার সময় নিজের ওপর তালাক কথাটা চলে আসে। রুকু সিজদাতেও এমন হয়। কি করবো নামাজ না পড়লেতো গুনাও হবে। আমি ভয়ে নামাজে দাঁড়ায় না।

ছ। প্রশ্ন করার জন্য বার বার যে নিজের ওপর তালাক লিখছি এখানেও মনে আসতেসে আমি কি নিজের ওপর সত্যিই নিলাম কিনা অথচ আমার এমন ইচ্ছা নাই। আমি সংসার করতে চাই। এখানে নিজের ওপর তালাক না লিখি আগে তারপর না মুছে দেই। এভাবেই না টা মুছে দেওয়ার কারণে কি তালাক হবে???

ডাক্তার বলসে আমি OCD  রুগী।মানসিক। রোগে আক্রান্ত মানুষের তালাক নাকি গণ্য হয়না আমার বেলায় ও কি তাই হবে?? আমিতো ইচ্ছাকী তালাকের কথা মনে করিনা অথকো সারাদিন আমার মাথায় এসব ঘুরে। আমি কি করবো

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...