আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
77 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (72 points)
edited by
আসসালামু আ'লাইকুম
হুজুর অনেক প্রশ্ন হয়ে গেছে একটু সময় নিয়ে পড়ে উত্তর দিবেন।কিভাবে দিন যাপন করা হচ্ছে একমাত্র যে ওয়াসাওয়াসা আক্রান্ত সেই বুঝবে

১।স্ত্রীর কেনায়া নিয়ে ওয়াসওয়াসার কারণে স্ত্রী স্বামীকে প্রায়শই জিজ্ঞেস করত তাদের বিয়ে ঠিক আছে নাকি? স্বামী উত্তরে বলত ঠিক আছে ঠিক আছে( এইরকম কিছু)

এহেন জিজ্ঞেস করাতে কোন সমস্যা হবে হুজুর?

২।কেনায়া বিষয়ে জানার পরে স্ত্রী তার মাকে বুঝানোর জন্য বলত কতগুলো কথা আছে যেগুলো বললে স্বামী স্ত্রী * হয়

স্ত্রীর মাও বলেছিল হ্যাঁ এইরকম হয়

এখন সমস্যা হচ্ছে স্ত্রী কি স্পষ্টভাষায় বলেছিল নাকি এমনে অন্যভাবে মাকে বুঝিয়েছিল সেটা তার মনে নেই

স্পষ্ট ভাষায় বা যেভাবেই বলুক না কেন বুঝানোর জন্য বললে তো সমস্যা নেই হুজুর তাই না?

৩।কেনায়া সম্পর্কে জানার পরে স্ত্রী মায়ের সাথে শেয়ার করত যে স্ত্রী স্বামীকে ঝগড়ার সময় অনেক কথায় বলেছে(যেমনগুলো আপনি বুঝে নিবেন)

স্ত্রী মাকে এইসব বলার পরে বলে এইরকম কত কথা বলছে স্বামী, মাসয়ালা আছে এইরকম বললেও সমস্যা হয়

তখন মা বলে তারাও এইরকম কত কথা বলেছে কিন্তু এগুলো কষ্ট বা রাগ থেকে বলত * এর উদ্দেশ্য নয়

( কথোপকথন সম্ভবত এমনই ছিল যেহেতু ২ মাস আগের ঘটনা)

৪।স্ত্রীর যখন থেকে * এর ওয়াসওয়াসা শুরু হয় তখন থেকে স্বামী এবং মাকে দুইজনের সাথে মোটামুটি কথা শেয়ার করা হত (এখন করা হয়না)

তখন মা মেয়ের জামাইয়ের হয়ে বলত আরে এগুলো এমনেই বলে কোন উদ্দেশ্য নিয়ে বলে না

মা মেয়ের এমন কথোপকথনে তো সমস্যা হবে না তাই না হুজুর?

৫। একদিন স্বামী স্ত্রীকে মহব্বত করছিল আর সম্ভবত তখন তার বায়ু আসছিল তখন স্বামী বলে নিছি আর ছাড়ছি বা একদিকে নিছি আর একদিকে ছাড়ছি

সে বায়ুকে উদ্দেশ্য করেই বলেছে কথাটা।এবং অনেক কথায় এই শব্দটি ব্যবহার করে স্ত্রীর সাথে কথা বলার সময়

স্ত্রী স্বামীকে বলেছে এই শব্দ ব্যবহার না করতে

তখন স্বামী বলে তোমার সাথে সাধারণ মানুষ থাকলে পাগল হয়ে যাবে

কথা বলার সময় যখন যে শব্দ দরকার সেটা বলতে হবে তো এইরকম বেছে বেছে কথা বলা যায় নাকি

হুজুর স্বামীর এইসব শব্দ ব্যবহার করাতে  কি কোন সমস্যা হবে?

৬।সংখ্যার ওয়াসওয়াসা দূর হচ্ছে না

একদিন স্ত্রী দেখে তসবিহ দেখতে ভিন্ন লাগছে তখন দানা গুনে দেখে * দানা কম দেখে।আজকে আবারও গুনে দেখে সেটি স্ত্রী স্বামীকে বলে জানো তসবিহর * গুলো দানা মিসিং

 আবার স্বামীকে বলে তুমি সংখ্যা বলিও না কিন্তু গেস করো কতগুলো মিসিং , স্বামী বলে এইসবে আমার আইডিয়া নেই সম্ভবত ওই টপিকে কথা বলতে চাচ্ছিল না তাই আইডিয়া নাই বলে ফোন কেটে দেয়,

স্ত্রী কয় নম্বরে ভাত খেয়েছে,কয়টা তরকারি রান্না করেছে,কয়টা ডিম অবশিষ্ট আছে,কয় পিস মুরগী আছে, কে কাকে কয়টায় ফোন দিল,কত মিনিট কথা বলল মানে সবকিছুর সাথে সংখ্যা মিলায়

প্রতিটি জিনিসের সাথে সংখ্যা মিলায়। হুজুর এগুলো কি ওয়াসওয়াসার জন্য হচ্ছে?

৭। ঘরের কিছু একটা নষ্ট হয়ে গেছে তখন স্বামীকে বলে হুম সব বদলাতে হবে ( স্ত্রী বুঝাতে চেয়েছে স্ত্রীকেও হয়ত স্বামী বদলিয়ে ফেলবে যেহেতু স্ত্রীর খুব করে ওয়াসওয়াসা হচ্ছে)

স্বামী তখন বলে হ্যাঁ বদলাতে হবে (স্বামী হয়ত জিনিসের কথায় বুঝিয়েছে)

৮।স্ত্রীর শুধু সন্দেহ হয়, সন্দেহ হওয়ার কারণ আছে অনেক যেগুলো মনে আছে সেগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করা হয়েছে কিন্তু স্বামী এককথায় অনড় তার কখনো কোন নিয়ত ছিল না

সে স্ত্রীর এইসব কথাকে পাত্তায় দেয়না।

কিভাবে স্ত্রী দিন যাপন করছে শুধু স্ত্রীই জানে

স্ত্রী কি স্বামীর কথাকেই গুরুত্ব দিয়ে সংংসার চালিয়ে যাবে?

৯। স্ত্রীর বাচ্চা হচ্ছে না, স্ত্রী কিছু শারীরিক সমস্যা আছে

স্ত্রী স্বামীকে এইসব কারণে বলত বাচ্চা না হলে কি করবে? তোমার ফ্যামিলির তোমার উপর আশা আছে,তুমি মানুষের কথার উত্তর দিতে পারবে? তোমার আরেকটা বিয়ে করা উচিত,এভাবে তোমার জীবন নষ্ট করিও না।এইরকম আরো অনেক কথা যেগুলো মনে নেই

হুজুর স্ত্রী এইসব কথা কষ্ট থেকে বলত

যতদূর মনে পরে স্ত্রী সমবেদনা পাওয়ার আশায় এইকথাগুলো বলত

এইসব কথায় তাদের বৈবাহিক জীবনে অসুবিধা হবে?

১০। স্বামী স্ত্রীকে বলে তোমার জন্য আমার ঘুম * করেছি (শব্দটা ত দিয়ে, লিখলে ওয়াসওয়াসা হবে তাই লেখা হয়নি না বুঝলে জানাবে))
এতে কোন অসুবিধা হবে?

১১। স্ত্রী রোল লেখার সময় একটা সংখ্যা লেখার সময় * শব্দ মনে আসে।। ১০ এর মধ্যে যেকোনো একটা সংখ্যা।

স্ত্রী যেহেতু সংখ্যার ওয়াসওয়াসা আছে তাই যোগ বিয়োগ গুণ ভাগ করে ওয়াসওয়াসার সংখ্যার কথায় মনে আসে।( মনে  কয়বার সংখ্যার কথা আসছিল বুঝে নিবেন)

এতে কি অসুবিধা হবে?( হুজুর ভালোভাবে প্রশ্ন বুঝার চেষ্টা করবেন ওয়াসওয়াসার কারণে কোন সংখ্যা কয়বার * শব্দ আসছিল সেটি লেখা সম্ভব হচ্ছে না)

1 Answer

0 votes
by (684,760 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


আল্লাহ তা'আলা বলেন,

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَسْأَلُوا عَنْ أَشْيَاءَ إِن تُبْدَ لَكُمْ تَسُؤْكُمْ وَإِن تَسْأَلُوا عَنْهَا حِينَ يُنَزَّلُ الْقُرْآنُ تُبْدَ لَكُمْ عَفَا اللَّهُ عَنْهَا ۗ وَاللَّهُ غَفُورٌ حَلِيمٌ

হে মুমিণগন, এমন কথাবার্তা জিজ্ঞেস করো না, যা তোমাদের কাছে পরিব্যক্ত হলে তোমাদের খারাপ লাগবে। যদি কোরআন অবতরণকালে তোমরা এসব বিষয় জিজ্ঞেস কর, তবে তা তোমাদের জন্যে প্রকাশ করা হবে। অতীত বিষয় আল্লাহ ক্ষমা করেছেন আল্লাহ ক্ষমাশীল, সহনশীল।

قَدْ سَأَلَهَا قَوْمٌ مِّن قَبْلِكُمْ ثُمَّ أَصْبَحُوا بِهَا كَافِرِينَ
এরূপ কথা বার্তা তোমাদের পুর্বে এক সম্প্রদায় জিজ্ঞেস করেছিল। এর পর তারা এসব বিষয়ে অবিশ্বাসী হয়ে গেল।(সূরায়ে মায়েদা-১০১-১০২)

হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত তিনি বলেন,
عن أبي هريرة رضي الله عنه قال : سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول : ما نهيتكم عنه ، فاجتنبوه ، وما أمرتكم به فأتوا منه ما استطعتم ، فإنما أهلك الذين من قبلكم كثرة مسائلهم واختلافهم على أنبيائهم . رواه البخاري ومسلم .

আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছি যে,তিনি বলেন, আমি তোমাদেরকে যে সমস্ত জিনিষ থেকে নিষেধ করেছি, সে সমস্ত জিনিষ থেকে বিরত থাকো,এবং যে সমস্ত জিনিষের আদেশ করেছি, যথাসম্ভব সেগুলো পালন করার চেষ্টা করো। তোমাদের পূর্ববর্তীগণ তাদের অধিক প্রশ্ন এবং মতপার্থক্যর কারণেই ধংস হয়েছে।(বোখারী-মুসলিম)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
এহেন জিজ্ঞেস করাতে কোন সমস্যা হবেনা।
তবে এভাবে স্বামীকে প্রশ্নবানে জর্জরিত করলে অনেক সময় তিনি রেগে গিয়ে তালাক দেয়া মূলক কথাও বলতে পারেন।
তাই স্বামী আর জিজ্ঞাসা করবেননা।

(০২)
হ্যাঁ, বুঝানোর জন্য বললে সমস্যা নেই। 

(০৩)
এতে কোনো সমস্যা হবেনা।

(০৪)
মা মেয়ের এমন কথোপকথনে সমস্যা হবে না।

(০৫)
স্বামীর এইসব শব্দ ব্যবহার করাতে কোন সমস্যা হবেনা।

(০৬)
জী,এগুলো ওয়াসওয়াসার জন্য হচ্ছে।

(০৭)
এক্ষেত্রে সমস্যা হবেনা।

(০৮)
স্ত্রী স্বামীর কথাকেই গুরুত্ব দিয়ে সংসার চালিয়ে যাবে।

(০৯)
এইসব কথায় তাদের বৈবাহিক জীবনে অসুবিধা হবেনা।

(১০)
এতে কোন অসুবিধা হবেনা।
তবে স্বামীর প্রতি এভাবে যেখানে সেখানে তালাক শব্দ উচ্চারণ না করার পরামর্শ থাকবে। 

(১১)
এতে অসুবিধা হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (72 points)
১০ নং এ যে শব্দ বলেছেন হুজুর ওই শব্দ না অন্য একটি শব্দ

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...