ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَسْأَلُوا عَنْ أَشْيَاءَ إِن تُبْدَ لَكُمْ تَسُؤْكُمْ وَإِن تَسْأَلُوا عَنْهَا حِينَ يُنَزَّلُ الْقُرْآنُ تُبْدَ لَكُمْ عَفَا اللَّهُ عَنْهَا ۗ وَاللَّهُ غَفُورٌ حَلِيمٌ
হে মুমিণগন, এমন কথাবার্তা জিজ্ঞেস করো না, যা তোমাদের কাছে পরিব্যক্ত হলে তোমাদের খারাপ লাগবে। যদি কোরআন অবতরণকালে তোমরা এসব বিষয় জিজ্ঞেস কর, তবে তা তোমাদের জন্যে প্রকাশ করা হবে। অতীত বিষয় আল্লাহ ক্ষমা করেছেন আল্লাহ ক্ষমাশীল, সহনশীল।
قَدْ سَأَلَهَا قَوْمٌ مِّن قَبْلِكُمْ ثُمَّ أَصْبَحُوا بِهَا كَافِرِينَ
এরূপ কথা বার্তা তোমাদের পুর্বে এক সম্প্রদায় জিজ্ঞেস করেছিল। এর পর তারা এসব বিষয়ে অবিশ্বাসী হয়ে গেল।(সূরায়ে মায়েদা-১০১-১০২)
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত তিনি বলেন,
عن أبي هريرة رضي الله عنه قال : سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول : ما نهيتكم عنه ، فاجتنبوه ، وما أمرتكم به فأتوا منه ما استطعتم ، فإنما أهلك الذين من قبلكم كثرة مسائلهم واختلافهم على أنبيائهم . رواه البخاري ومسلم .
আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছি যে,তিনি বলেন, আমি তোমাদেরকে যে সমস্ত জিনিষ থেকে নিষেধ করেছি, সে সমস্ত জিনিষ থেকে বিরত থাকো,এবং যে সমস্ত জিনিষের আদেশ করেছি, যথাসম্ভব সেগুলো পালন করার চেষ্টা করো। তোমাদের পূর্ববর্তীগণ তাদের অধিক প্রশ্ন এবং মতপার্থক্যর কারণেই ধংস হয়েছে।(বোখারী-মুসলিম)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
এহেন জিজ্ঞেস করাতে কোন সমস্যা হবেনা।
তবে এভাবে স্বামীকে প্রশ্নবানে জর্জরিত করলে অনেক সময় তিনি রেগে গিয়ে তালাক দেয়া মূলক কথাও বলতে পারেন।
তাই স্বামী আর জিজ্ঞাসা করবেননা।
(০২)
হ্যাঁ, বুঝানোর জন্য বললে সমস্যা নেই।
(০৩)
এতে কোনো সমস্যা হবেনা।
(০৪)
মা মেয়ের এমন কথোপকথনে সমস্যা হবে না।
(০৫)
স্বামীর এইসব শব্দ ব্যবহার করাতে কোন সমস্যা হবেনা।
(০৬)
জী,এগুলো ওয়াসওয়াসার জন্য হচ্ছে।
(০৭)
এক্ষেত্রে সমস্যা হবেনা।
(০৮)
স্ত্রী স্বামীর কথাকেই গুরুত্ব দিয়ে সংসার চালিয়ে যাবে।
(০৯)
এইসব কথায় তাদের বৈবাহিক জীবনে অসুবিধা হবেনা।
(১০)
এতে কোন অসুবিধা হবেনা।
তবে স্বামীর প্রতি এভাবে যেখানে সেখানে তালাক শব্দ উচ্চারণ না করার পরামর্শ থাকবে।
(১১)
এতে অসুবিধা হবেনা।