আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
132 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (16 points)
১-অন্যের বিষয়ে প্রয়োজনের অতিরিক্ত কৌতুহল,ব্যক্তিগত বিষয়ে প্রশ্ন করা এসব সামাজিকভাবে অভদ্রতা। ইসলাম এই সম্পর্কে কি বলে?

২-মেয়ে নিজের বিয়েতে বাবার থেকে ফার্নিচার নিতে চায়, সেটা দেয়া কি বাবার উচিত হবে? তার আরো সন্তান আছে। মেয়েকে দিয়ে ছেলেকে না দিলে বেইনসাফি হবে কিনা? বাবার করণীয় কি?

৩-বিছানা/নরম জায়গাতে নামাজ হবেনা। শক্ততে হবে এ বিষয়ে ইসলাম কি বলে?

৪-মুসলমানি না করালে কি গুনাহ হবে? এ সম্পর্কে ইসলাম কি বলে বিস্তারিত জানতে চাই।

৫-নতুন বছর উপলক্ষে কিছু গ্রহণ করা জায়েজ নয়। বাৎসরিক অফার হিসেবে কিছু গ্রহণ করার বিধান কি?কাজটা ইসলাম রিলেটেড হলে সেক্ষেত্রে বিধান কি হবে?

৬-কখনো নামাজ কাযা হলে স্বামী রাগারাগি করেন।আল্লাহর জন্য নামাজ আদায় করলেও মনে হয় যেন স্বামী বকাবকি করবে এই ভয়ে নামাজ আদায় করে।এক্ষেত্রে স্ত্রীর করণীয় কি? তার নিয়ত কিরকম হতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (564,870 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
অন্যের বিষয়ে প্রয়োজনের অতিরিক্ত কৌতুহল,ব্যক্তিগত বিষয়ে প্রশ্ন করা এসব সামাজিকভাবে অভদ্রতা। 
শরীয়তের দৃষ্টিকোন থেকেও এগুলোর অনুমতি নেই।

(০২)
বিষয়টি বাবার ইখতিয়ারধীন।
এটি বাবার উপর আবশ্যক নয়।
মেয়েকে দিয়ে ছেলেকে না দিলে বেইনসাফি হবে।

(০৩)
নরম জায়গা যেমন কম্বল, তোশক, গদি বা এ জাতীয় নরম বিছানায় নামাজ পড়লে সেজদা করার সময় কপাল ও নাক ভালোভাবে লাগাতে হবে, যাতে শক্ত অনুভব হয়। 

আর যদি সেজদার স্থানটা এতটা তুলতুলে নরম হয় যে, সেজদার সময় চাপ পড়লে মোটেও শক্ত অনুভব হয় না এবং কপালকে চাপ দিয়ে স্থিরভাবে লাগানো যায় না তাহলে তাতে সেজদা করা বৈধ হবে না।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

(০৪)
খাতনা তথা মুসলমানী করা গুরুত্বপূর্ণ একটি সুন্নাত।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ  
وَعَنْ أَبِي أَيُّوبَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ أَرْبَعٌ مِنْ سُنَنِ الْمُرْسَلِينَ الْحَيَاءُ وَيُرْوَى الخِتَانُ وَالتَّعَطُّرُ وَالسِّوَاكُ وَالنِّكَاحُ. رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ

আবূ আইয়ূব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ চারটি বিষয় নাবী-রসূলদের সুন্নাতের অন্তর্ভুক্ত- (১) লজ্জাশীলতা, আর এক বর্ণনায় এর স্থলে খতনার কথা বলা হয়েছে; (২) সুগন্ধি ব্যবহার করা; (৩) মিসওয়াক করা এবং (৪) বিয়ে করা।
(তিরমিযী ১০৮০, ইরওয়া ৩৩।)

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ - قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " الْفِطْرَةُ خَمْسٌ : الْخِتَانُ ، وَالِاسْتِحْدَادُ ، وَقَصُّ الشَّارِبِ ، وَتَقْلِيمُ الْأَظْفَارِ ، وَنَتْفُ الْإِبِطِ " .

আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ পাঁচটি জিনিস ফিতরাত- ১. খতনা করা, ২. নাভির নিম্নের অবাঞ্ছিত লোম পরিষ্কার করা, ৩. গোঁফ কাটা, ৪. নখ কাটা, ৫. বগলের লোম উপড়িয়ে ফেলা।

(বুখারী ৫৮৮৯, ৫৮৯১, ৬২৯৭; মুসলিম (২৫৭)-৪৯, আবূ দাঊদ ৪১৯৮, ইবনু মাজাহ ২৯২, নাসায়ী ৯, ইরওয়া ৭৩, তিরমিযী ২৭৫৬, আবূ দাঊদ ৪১৯৮, আল আদাবুল মুফরাদ ১২৯২, আস্ সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৭০৬, আল মু‘জামুল আত্তসাত্ব ৩৫৫, আল মু‘জামুল কাবীর লিত্ব ত্ববারানী ২৭৩, শু‘আবুল ঈমান ২৭৫৯, সহীহ ইবনু হিব্বান ৫৪৮০, মা‘রিফাতুস্ সুনান ওয়াল আসার ৩৪৩।)

বয়স্ক হওয়ার পর কেউ ইসলাম গ্রহণ করে তাহলেও তার খতনা করা জরুরি। 
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ اللهِ الأُوَيْسِيُّ قَالَ: حَدَّثَنِي سُلَيْمَانُ بْنُ بِلاَلٍ، عَنْ يُونُسَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ قَالَ: وَكَانَ الرَّجُلُ إِذَا أَسْلَمَ أُمِرَ بِالِاخْتِتَانِ وَإِنْ كَانَ كَبِيرًا.

ইবনে শিহাব যুহরী রাহ. বলেন, কোনো ব্যক্তি যখন ইসলাম গ্রহণ করত তখন সে বড় (বয়স্ক) হলেও তাকে খতনা করার আদেশ করা হত। -আলআদাবুল মুফরাদ, হাদীস : ১২৫২,(১২৬৪)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
খৎনা করা সুন্নতে মু'য়াক্বাদা।তাই বিনা প্রয়োজনে খৎনাকে ত্যাগ করা যাবে না।

ফরজ যেহেতু নয়,তাই ফরয তরকের কোনো গোনাহ হবে না।তবে সুন্নত তরকের গোনাহ হবে।

আরো জানুনঃ- 

(০৫)
বাৎসরিক অফার,যাহা এই নির্দিষ্ট দিনকে কেন্দ্র করে নয়,সেই অফার গ্রহণ করার সুযোগ আছে।

(০৬)
তার নিয়ত সব সময় আল্লাহকে সন্তুষ্টি করাই হতে হবে।
এক্ষেত্রে তিনি আওয়াল ওয়াক্তে নামাজ আদায় করবেন, তাতে কোনো কথা শুনতে হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...