হুজুর আসসালামু আলাইকুম। এটা আমার গতকালের প্রশ্ন..
https://ifatwa.info/64777/
হুজুর মেহেরবানি করে দ্রুত উত্তর দিয়েন,আমি এরপরে আর দৃষ্টাব করবোনা আপনাদেরকে ইনশাআল্লাহ।যতো দ্রুত জবাব পাবো ততো দ্রুত নিজেকে।রিকীভার করতে পারবো নতুব প্রতি মূহুর্তে চিন্তা চলতেই থাকবে আমার।আমার ওসিডি মারাত্মক দেখা দিছে।
আমি সব আপনাকে খুলে বলছিলাম,,ভাবছিলাম আপনাকে সব খুলে বললে আমার ওয়াসওয়াসা চলে যাবে।কিন্তু হুজুর মনের ভিতর আরেকটা ওয়াসওয়াসা চলে আসছে..আমি শেষবারের মতোন একটু জানতে চাচ্ছি..ইনশাআল্লাহ এরপরে আর ওয়াসওয়াসা আসবেনা বা আসলে পাত্তা দিবোনা।গত প্রশ্নের ৫নং প্রশ্নে ওয়াসওয়াসা আসছে।
হুজুর আমি শর্ত এভাবে দিছিলাম "কোনো নারী পুরুষের উলঙ্গ কিছু দেখবোনা এবং অন্য কোনো পুরুষকেও উলঙ্গ অবস্থায় দেখবোনা"দেখলে বিবি তালাক। এখন মনে সন্দেহ আসতেছে যে আমি কি "অন্য কোনো পুরুষের কথা মুখ দিয়ে উচ্চারণ করছিলাম নাকি "কোনো পুরুষের" কথা মুখ দিয়ে উচ্চারণ করছিলাম।
অন্য কোনো পুরুষ বললে তো হুজুর নিজের টা ধর্তব্য নয়,অর্থাৎ নিজেকে বিবস্ত্র অবস্থায় দেখলে তালাক হবেনা।আপনাকে প্রশ্ন করার পর আপনিও তাই বললেন,যে বিবাহিত জীবনে কোনো সমস্যা হবেনা।
১/ আর যদি হুজুর কোনো পুরুষ কে উলঙ্গ অবস্থায় দেখবোনা বা কোনো নারি পুরুষ কে উলঙ্গ অবস্থায় দেখবনা বলে থাকি তাহলেও কি মাসালা একই হবে?? নাকি এরদ্বারা নিজের শরিরও অন্তর্ভুক্ত হবে? অর্থাৎ এই কথা বলার পর নিজের/স্ত্রির উলঙ্গ শরির দেখলে বা নিজের/স্ত্রির উলঙ ছবি দেখলে তালাক হবে?
২/ আমি নিশ্চিত যে "অন্য কোনো পুরুষ বলছি" আর "কোনো পুরুষ বললেও" এখানে আমার উদ্যেশ্য ছিলো অন্য পুরুষ/পর পুরুষ/নেটে যে উলঙ্গ ছবি থাকে সেগুলা দেখা।কিন্তু মুখে যা স্পষ্ট করে উচ্চারন করে শর্ত দেয়া হয় সেটার ক্ষেত্রে তো নিয়্যাত ধর্তব্য নয়।সেজন্য সন্দেহ লাগতেছে মনে। এখন আমি কোনটা বলছি সেটা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব দেখা দিচ্ছে মনে,,যদিও আমার এক্বিন যে "অন্য কোনো পুরুষ" বলছি আর "কোনো পুরুষ" বলা টা সন্দেহ মাত্র। আশপাশের অবস্থা দেখলে অন্য কোনো পুরুষের উপরি আমার দৃঢ়তা আসে। এক্ষেত্রে সন্দেহের জন্যে আমার তালাক পতিত হবে?
★তালাকের সন্দেহের বিষয়ে কিছু প্রশ্নঃ
১/তালাকের ব্যাপারে সন্দেহ সৃষ্টি হলে শরিয়তের হুকুম কি?এমন অবস্থা আসলো যে ৫০/৫০% সম্ভাবনা হতেও পারে আবার নাও পারে তখন কি তালাক হবে?
২/যদি তালাক না হবার ব্যাপারে প্রবল ধারনা থাকে আর হবার ব্যাপারে সন্দেহ থাকে মাত্র তখন কি তালাক হয়? নাকি তালাক হবার জন্যে সুস্পষ্ট এবং ১০০% নিশ্চিত হওয়া জরুরি?এ ব্যাপারে শরিয়তের কি হুকুম?
৩/আর ওয়াসওয়াসা রুগির ক্ষেত্রে তালাকের ব্যাপারে সামান্যও যদি সন্দেহ থাকে অর্থাৎ না হবার ব্যাপারে...তখোনো কি তালাক হবে?নাকি ১০০% নিশ্চিত হওয়া জরুরি?
৪/তালাকের না হবার ব্যাপারে নিশ্চিত হবার পরো,, শরিয়তের কথা মেনে অর্থাৎ আলেম ওলামাগন যে ব্যাপারে রায় দিয়েছেন সেটা মান্য করার পর আল্লাহ না করুন মনের অজান্তে তালাক হয়ে গেলো সন্দেহের ভিত্তিতে,, এই অবস্তায় কি আল্লাহ ক্ষমা করে দিবেন??কারন সে তো শরিয়ত মোতাবেক চলছে,সে তো আর গায়েব জানেনা।এর দ্বারা কি কোনো সমস্যা হবে?একটু জানাবেন। শয়তান এমন ওয়াসওয়াসা মনের ভিতর দিয়ে দেয় যে,,,তোর অজান্তে যদি তালাক হয় তখন কি করবি? আল্লাহ যদি কাল কেয়ামতের ময়দানে তোকে পাকড়াও করে? আলেমগন তো ভূলো বলতে পারে ইত্যাদি উলটা পালটা ওয়াসওয়াসা দেয়।
৫/হুজুর একটা উদাহারন দিয়েই বুঝাই আমাক দিয়ে।যেমন আমি ওই সময় বলছি "আমি ওইগুলি ছবি দেখবোনা,দেখলে আমার বিবি তালাক" এখন আমি সেই সময়ে যদি এগুলো না দেখে থাকি তাহলে তো আমার বিবি তালাক হবেনা,অর্থাৎ আমি দেখলে হবে তাইনা? এখন আমি দেখা বাদে যা ইচ্ছা করিনা কেনো..আমি খাই,গিলি,পাঠাই,কাওকে এগুলা দেখতে বলি,বা ধরেন কাওকে দিয়ে বিলবোর্ড বানায় কোথায় লাগায় রাখতে বলি ইত্যাদি ইত্যাদি যাই করিনা কেনো..যতোক্ষন আমি না দেখবো ততোক্ষণ তো আমার উপর তালাকের শর্ত আসবেনা তাইনা?? কেনোনা আমার শর্ত দেয়া ছিলো এগুলা জিনিস দেখার উপর অন্য কোনো কিছুর উপর তো না।
হুজুর এভাবে প্রশ্ন করলাম শুধুমাত্র নিজেকে বুঝানোর জন্যে এবং নিজের উপর থেকে ওয়াসওয়াসা দূর করার জন্যে।কারন বিভিন্ন টাইপের ওয়াসওয়াসা মাথায় ঘুরে আমার।