بسم
الله الرحمن الرحيم
জবাব,
ইতিহাস এটাই
প্রমাণ করে যে, সব
নববর্ষের প্রবর্তকই বিধর্মীরা। তাই ইসলাম নববর্ষ পালনকে কখনোই স্বীকৃতি দেয় না। যেহেতু
এতে করে অন্য ধর্মের ধর্মীয় রীতির সাথে সার্দশ্য হয় সেহেতু তা মুসলমানদের
বৈধ হবে না।
তা ছাড়াও নব বর্ষের নামে যে সকল অপসংস্কৃতি ও কুসভ্যতার অবতারণা করা হয় এর সবই
মুসলমানদের জন্য সম্পূর্ণ হারাম। এ প্রসঙ্গে রাসূল ﷺ বলেছেন,
ﻣﻦ ﺗﺸﺒﻪ ﺑﻘﻮﻡ ﻓﻬﻮ ﻣﻨﻬﻢ ” ﻋﻦ ﺍﺑﻦ ﻋﻤﺮ ﻗﺎﻝ ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ
ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ
অর্থ, যে ব্যক্তি
যে জাতির অনুকরণ করবে,
সে ব্যক্তি সেই জাতিরই একজন বলে গণ্য হবে’ ( আবূ দাঊদ হা/৪০৩১)। অন্য হাদীসে
নবী মুহাম্মাদ (ﷺ ) বলেন, “যে ব্যক্তি বিজাতির তরীকা
অনুযায়ী আমল করে, সে আমাদের কেউ
নয়। (ত্বাবারানী, সিলসিলাহ সহীহাহ
২১৯৪নং)
প্রত্যহ যখন
দিন আর রাত অতিবাহিত হয় একটি বছর সমাপ্ত হয় তখন প্রতিটি মুসলামানদের অনুভূতি কি? আনন্দের না
বেদনার, না
চিন্তার?
মানুষকে আনন্দ
করে দিনের পর দিন রাতের পর রাতের আগমন। কিন্তু কবি বলেনঃ আমার অনুভূতি
ব্যতিক্রম। রাত শেষ হওয়ার পর নতুন এক ভোর দেখার জন্য প্রফুল্লচিত্বে আমি অপেক্ষা করতে
পারি না বছর শেষে নতুন আরেকটি বছর কে আমি স্বাগত জানানোর জন্য আমি আনন্দ করতে পারিনা।
আমার অনুভুতি হল এটাই,
যে দিনগুলো চলে গেল তা তো আমার জীবনের একটা অংশ। আমার জীবনের একটি ক্যালেন্ডার
শেষ হয়ে গেল। আমার জীবন ছোট হয়ে এলো। আমার জন্য এটাতো অানন্দের ব্যাপার নয়, আমার জন্য
এটা চিন্তার
বিষয়। আমার জীবন থেকে একটি বছর অতিক্রম করছি। আগামী বছর পাদার্পন করতে যাবো, আমি গত বছর
কিভাবে কাটালাম। আগামী বছর কিভাবে কাটাবো আমার এটা চিন্তার বিষয়। গত একটি
বছরের হিসাব করার সময় আনন্দের সময় নয়।
আল্লাহ তা’য়ালা
তো আমাদের কে আনন্দ করার জন্য সৃষ্টি করেন নি, সৃষ্টি করছেন
তার ইবাদাত করার জন্য। আমরা কি তা করছি? আমাদের অন্তরে একটি জিজ্ঞাসা! মানুষ আসে মানুষ যায়। কোথা থেকে আসে? কেন আসে? কোথায় যায়?
দিন যত যায়, রাত যত যায়, বয়স যত বাড়ে
একজন বিবেকবান মানুষ তার মনকে এই প্রশ্নগুলো বিদ্ধ করা চাই, কেন এলাম? কি করছি? কোথায় যাবো? এই প্রশ্নগুলো
যার অন্তরে থাকবে প্রক্রিতপক্ষে সেই বুদ্ধিমান। আল্লাহ তা’য়ালা আমাদের প্রতিটি কাজের
হিসাব নিয়ে তার উপযুক্ত বদলা দিবেন। যেমটি পবিত্র কোরআনের ঘোষনা। আল্লাহ
তা’য়ালা বলেন,
ﻓَﻤَﻦ ﻳَﻌْﻤَﻞْ
ﻣِﺜْﻘَﺎﻝَ ﺫَﺭَّﺓٍ ﺧَﻴْﺮًﺍ ﻳَﺮَﻩُ ﻭَﻣَﻦ ﻳَﻌْﻤَﻞْ ﻣِﺜْﻘَﺎﻝَ ﺫَﺭَّﺓٍ ﺷَﺮًّﺍ ﻳَﺮَﻩُ
অনুবাদ: অতঃপর
কেউ অণু পরিমাণ সৎকর্ম করলে তা দেখতে পাবে। এবং কেউ অণু পরিমাণ অসৎকর্ম
করলে তাও দেখতে পাবে। (সূরা
যিলযাল:৭,৮)
এ অবস্থায়
প্রতিটি মুসলিমের দায়িত্ব হচ্ছে, নিজে এগুলো থেকে সম্পূর্ণরূপে বিরত থাকা এবং মুসলিম সমাজ থেকে
এই প্রথা উচ্ছেদের সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো নিজ নিজ সাধ্য ও অবস্থান অনুযায়ী।
আল্লাহ!! আমাদের সবাইকে তাঁর আনুগত্যের ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকার তাওফীক দান করুন।
সুতরাং বিশেষ কোন দিন-তারিখ নির্ধারণ করে নববর্ষ, পহেলা বৈশাখ, ঈদে মীলাদুন্নবী ইত্যাদি পালন করা কখনো বৈধ হবে না। এই সমস্ত দিবসকে
ঈদের স্থানে নিয়ে আসা,কাফিরদের
অনুসরণ, নারী-পুরুষের অবাধ বিচরণের
সুযোগ সৃষ্টি সহ মুসলিম সমাজে বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ ইত্যাদি নানান সমস্যা এতে
রয়েছে। তাই দিবসগুলি পালন করা বা উক্ত দিবসে কাউকে উইশ করা শরীয়ত কখনো সমর্থন
দিতে পারেনা।
আরো জানুন:
https://ifatwa.info/8105/
https://www.ifatwa.info/7136
https://www.ifatwa.info/166