জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
প্রশ্নের বিবরণ মতে ঐ ছেলেটির শিরকী কিংবা কুফরীর কোন গুনাহ হয়নি।
তার ঈমান নষ্ট হয়ে যায়নি।
(০২)
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
(وَلَيْسَ عَلَيْكُمْ جُنَاحٌ فِيمَا أَخْطَأْتُمْ بِهِ وَلَكِنْ مَا تَعَمَّدَتْ قُلُوبُكُمْ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَحِيمًا)
এ ব্যাপারে তোমাদের কোন বিচ্যুতি হলে তাতে তোমাদের কোন গোনাহ নেই, তবে ইচ্ছাকৃত হলে ভিন্ন কথা। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।(সূরা আহযাব-৫)
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
إِنَّ اللَّهَ قَدْ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي الْخَطَأَ، وَالنِّسْيَانَ، وَمَا اسْتُكْرِهُوا عَلَيْهِ
নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার উম্মতের অজ্ঞতা ও ভূলভাল কে ক্ষমা করে দিবেন।এবং অপারগতা বশত কৃত গোনাহকেও ক্ষমা করে দিবেন।(সুনানে ইবনে মা'জা,-২০৪৩)
এ সমস্ত শরয়ী দলীল প্রমাণ করে যে,ওযর বিল জাহালাত গ্রহণযোগ্য। তথা অজ্ঞতা বশত কেউ কোনো গোনাহর কাজ করে ফেললে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দিবেন। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/4560
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যদি কোন ব্যক্তি না জেনে না বুঝে শিরকী কিংবা কুফরি কাজ করে তাহলে তার ঈমান নষ্ট হয়ে যায়না। সে মুরতাদ হয়ে যায়না। তার নতুন করে ঈমান নবায়ন করতে হবেনা। এবং বিবাহ নবায়ন করতে হবেনা।
তবে কেহ যদি জেনে বুঝে ইচ্ছাকৃতভাবে ঈমান চলে যাওয়ার মতো কোনো কাজ করে,সেক্ষেত্রে তার ঈমান নষ্ট হয়ে যায়। সে মুরতাদ হয়ে যায়। তার নতুন করে ঈমান নবায়ন করতে হবে। এবং বিবাহ নবায়ন করতে হবে।