আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
323 views
in পবিত্রতা (Purity) by (26 points)
আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।হায়েজ চলাকালীন সময়ে প্রস্রাব করা শেষ হলে যখন কমোড থেকে উঠা হয় তখন রক্ত মিশ্রিত পানি মাঝে মাঝে পায়জামায় লেগে যায়।ওই পায়জামা কি নাপাক হয়ে যাবে? ওই পায়জামা পরে কোথাও বসলে যদি ওই স্থানেও যদি ভেজা পায়জামা থেকে পানি লেগে যায় তবে কি ওই স্থানটিও নাপাক হয়ে যাবে? হায়েজ শেষ হওয়ার পরে পাক কাপড় নিয়ে যদি ঐ স্থানটিতে বসা হয় তবে কি ওই কাপড়টি নাপাক হয়ে যায়?ওই কাপড় পরে নামাজ পড়লে কি সেটা হবে না? অজ্ঞতাবশত ওই কাপড়েই নামাজ পরে ফেললে কি ওই নামাজগুলো আবার পড়তে হবে?
খুব পেরেশানিতে আছি। দয়া করে উত্তর জানাবেন প্লীজ।

1 Answer

0 votes
by (644,340 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম


হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ الْعَلَاءِ ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ شَوْكَرِ بْنِ رَافِعٍ الطُّوسِيُّ ، نَا أَبُو إِسْحَاقَ الضَّرِيرُ إِبْرَاهِيمُ بْنُ زَكَرِيَّا ، نَا ثَابِتُ بْنُ حَمَّادٍ ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ ، عَنْ عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ ، قَالَ : أَتَى عَلَيَّ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَأَنَا عَلَى بِئْرٍ أَدْلُو مَاءً فِي رِكْوَةٍ لِي ، فَقَالَ : يَا عَمَّارُ ، مَا تَصْنَعُ ؟ قُلْتُ : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، بِأَبِي وَأُمِّي ، أَغْسِلُ ثَوْبِي مِنْ نُخَامَةٍ أَصَابَتْهُ . فَقَالَ " يَا عَمَّارُ ، إِنَّمَا يُغْسَلُ الثَّوْبُ مِنْ خَمْسٍ : مِنَ الْغَائِطِ ، وَالْبَوْلِ ، وَالْقَيْءِ ، وَالدَّمِ ، وَالْمَنِيِّ ، يَا عَمَّارُ ، مَا نُخَامَتُكَ وَدُمُوعُ عَيْنَيْكَ وَالْمَاءُ الَّذِي فِي رِكْوَتِكَ إِلَّا سَوَاءٌ "

আহমাদ ইবনে আলী ইবনুল 'আলা (রহঃ) ... আম্মার ইবনে ইয়াসির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার নিকট এলেন, তখন আমি একটি কূপ থেকে বালতি দিয়ে পানি তুলে আমার একটি পানির পাত্রে ভর্তি করছিলাম। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, হে আম্মার! তুমি কি করছো? আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য কোরবান হোক। আমি আমার পরিধেয় বস্ত্রে লেগে যাওয়া শ্লেষ্মা পরিষ্কার করছি। তিনি বলেনঃ হে আম্মার! পাঁচটি জিনিস থেকে কাপড় ধৌত করা প্রয়োজনঃ বিষ্ঠা, পেশাব, বমি, রক্ত ও বীর্য। হে আম্মার! তোমার নাকের শ্লেষ্মা, তোমার উভয় চোখের অশ্রু এবং তোমার এই পানির পাত্রের পানি একই সমান (পাক-নাপাকীর হুকুমের ক্ষেত্রে)।
(সুনানে দারা কুতনি ৪৫০)


★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নের বিবরণ মতে ঐ পায়জামা নাপাক হয়ে যাবে।
ঐ পায়জামা পরে কোথাও বসলে যদি ওই স্থানেও ভেজা পায়জামা থেকে পানি লেগে যায়, তবে ঐ স্থানটিও নাপাক হয়ে যাবে।

হায়েজ শেষ হওয়ার পরে পাক কাপড় নিয়ে যদি ঐ স্থানটিতে বসা হয়, এক্ষেত্রে উক্ত কাপড়টি শুকনো হয়ে থাকলে সেটি নাপাক হয়ে যায়না।
সেই কাপড়ে নামাজ পড়া যাবে।
তাই পূর্বের নামাজ গুলি পুনরায় আদায় করতে হবেনা।

কিন্তু যে পাক কাপড়ে সেখানে বসেছিলেন,সেই কাপড় ভিজা থাকলে, ও তাহা দ্বারা ঐ বসার স্থানও ভিজে গেলে ঐ কাপড় নাপাক হয়ে যাবে। 
সেই কাপড়ে নামাজ হবেনা।
এক্ষেত্রে উপরোক্ত নামাজ গুলি পুনরায় আদায় করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (26 points)
reshown by
শায়খ এই ক্ষেত্রে অজ্ঞতাবশত দীর্ঘদিন(প্রায় ৯ বছর) ভুল করে আসা হয়েছে এবং কতগুলো সালাত নাপাক কাপড়ে পড়া হয়েছে তার সঠিক হিসেব নেই।এতগুলো বছরের সালাত কি পুনরায় আদায় করতে হবে? আর নাপাক স্থানগুলো সম্পর্কে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা তো জানতেন না তাহলে তাদেরও কি এই নয় বছরের সালাত হয়নি? তাদেরও কি পুনরায় পড়তে হবে?
by (644,340 points)
উপরোক্ত ছুরতে যে পাক কাপড়ে সেখানে বসেছিলেন,সেই কাপড় ভিজা থাকলে, ও তাহা দ্বারা ঐ বসার স্থানও ভিজে গেলে ঐ কাপড় নাপাক হয়ে যাবে। 
সেই কাপড়ে নামাজ হবেনা।
এক্ষেত্রে সেই নাপাক কাপড়ে এই নয় বছরে যতগুলি নামাজ আদায় করেছেন, প্রবল ধারনার ভিত্তিতে আনুমানিক একটি হিসাব করে সেগুলো পুনরায় আদায় করতে হবে।

সেই নাপাক স্থান ভিজা থাকা অবস্থায় পরিবারের অন্য সদস্যরা বসেছিলো কিনা,সে সম্পর্কে তো আপনি নিশ্চিত নন।
তাই শুধুমাত্র সন্দেহের উপর ভিত্তি করে তাদের নামাজ পুনরায় আদায় করতে হবেনা।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 226 views
0 votes
1 answer 271 views
...