আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
148 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (11 points)
হুজুর এই প্রশ্নের জবাব টা একটু দ্রুত পাইলে উপকৃত হইতাম।

অযথা টেনশন হচ্ছে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছিনা।

https://ifatwa.info/64777

হুজুর ইনবক্সে মেসেজ দিয়ে ছিলাম।একটু চেক করবেন।

১/আর হুজুর আপনারা ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যাক্তি কে যখন তালাকের মাসালা থেকে দূরে থাকতে বলেন এবং এগুলা না ভাবতে বলেন এবং মন থেকে দূর করতে বলেন এমন চিন্তাভাবনা। এরপরো যদি কোনো আপনাদের কথা অমান্য করে পুনরায় ঘাটাঘাটি করে এবং এই সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ভাবে..তাহলে কি সে গুনাহগার হবে??কারন সে তো শরিয়তের হুকুম অমান্য করছে সেজন্য। আপনাদের বাতলিয়ে দেয়া পথ মান্য করতেছেনা।

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
উল্লেখিত প্রশ্নের জবাব দেয়া হয়েছে।

(০২)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عَن النَّواس بن سمْعَان قَالَ: سَأَلَتْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الْبِرِّ وَالْإِثْمِ فَقَالَ: «الْبِرُّ حُسْنُ الْخُلُقِ وَالْإِثْمُ مَا حَاكَ فِي صَدْرِكَ وَكَرِهْتَ أَن يطلع عَلَيْهِ النَّاس»

নাও্ওয়াস ইবনু সাম্‘আন (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে পুণ্য ও পাপ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ পুণ্য হলো উত্তম স্বভাব, আর পাপ হলো যা তোমার অন্তরে যাতনা সৃষ্টি করে এবং তুমি ঐ কাজ জনসমাজে প্রকাশ হওয়াকে খারাপ মনে করো।
(সহীহ : মুসলিম ১৪-(২৫৫৩), তিরমিযী ২৩৮৯, সহীহুল জামি‘ ২৮৮০, সহীহ আত্ তারগীব ১৭৩৩, সহীহ আল আদাবুল মুফরাদ ২২৬, মুসান্নাফ ইবনু আবূ শায়বাহ্ ২৫৩৩৫, আহমাদ ১৭৬৩১, শু‘আবুল ঈমান ৭২৭৩, দারিমী ২৭৮৯, আল মুসতাদরাক ২১৭২, আস্ সুনানুল কুবরা ২১৩০৫.মিশকাত ৫০৭৩।)

عَن وابصَةَ بن مَعْبدٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «يَا وَابِصَةُ جِئْتَ تَسْأَلُ عَنِ الْبِرِّ وَالْإِثْمِ؟» قُلْتُ: نَعَمْ قَالَ: فَجَمَعَ أَصَابِعَهُ فَضَرَبَ صَدْرَهُ وَقَالَ: «اسْتَفْتِ نَفْسَكَ اسْتَفْتِ قَلْبَكَ» ثَلَاثًا «الْبِرُّ مَا اطْمَأَنَّتْ إِلَيْهِ النَّفْسُ وَاطْمَأَنَّ إِلَيْهِ الْقَلْبُ وَالْإِثْمُ مَا حَاكَ فِي النَّفْسِ وَتَرَدَّدَ فِي الصَّدْرِ وَإِنْ أَفْتَاكَ النَّاسُ» 
ওয়াবিসাহ্ ইবনু মা‘বাদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার উদ্দেশে বললেন, হে ওয়াবিসাহ্! তুমি তো আমাকে ভালো ও মন্দ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতে এসেছো। আমি উত্তরে বললাম, জি হ্যাঁ (হে আল্লাহর রসূল!)। বর্ণনাকারী বলেন, তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাঁর নিজ আঙ্গুলগুলো মুষ্টিবদ্ধ করে আমার সিনার উপর রেখে বললেন, তুমি তোমার অন্তরকে জিজ্ঞেস কর- এ কথাগুলো তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তিনবার বললেন। অতঃপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, যে কাজে অন্তর স্থির থাকবে, যে কাজে অন্তর খুশী ও দ্বিধামুক্ত হয়, তাই ভালো কাজ। আর যে কাজে অন্তরে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব লাগবে, অন্তরে সন্দেহ-সংশয় সৃষ্টি হবে, তাই মন্দ বা পাপ কাজ। যদিও জনগণ তাতে তোমাকে সমর্থন করে।
(মুসনাদে আহমাদ ১৮০০৬, দারিমী ২৫৭৫,মিশকাত ২৭৭৪।)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যাক্তিকে যে সমস্ত বিষয় করতে মুফতী সাহেব গন বলে থাকেন,এগুলো পরামর্শ মাত্র।
এরপরেও তাদের কেহ যদি তালাক সংক্রান্ত মাসয়ালা পড়ে,এ সংক্রান্ত প্রশ্ন করে,এর দরুন গুনাহ হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...