আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
195 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (3 points)
edited by
হুজুর আমি মুয়াললা তালাক এর মাসআলা শোনার পর নানা অসুবিধায় ভুগছি।আগেই বলে রাখি আমি ওয়াসওয়াসা রোগে আক্রান্ত।এর ভয়ে আমি কারো সাথে কথা বলতে পর্যন্ত ইতস্তত বোধ করছি।

একটু আগে মনে মনে হটাৎ বলে উঠলাম," আমি মুয়াল্ললা তালাক দিয়েছি এমন" তখন আমার জিহ্বার আগে সামনের দুই দাত এবং তালুর সাথে হালকা নড়ছিলো।এবং এই ধরনের চিন্তা বারবার আমার মাথায় আসতেছে।

আবার বলছিলাম জোরে জোরে," আমি কারও সাথেই তালাক টালাক কিছু দেইনাই" দেইনাই কথাটা বলার পরই মনে আবার উচ্চারিত হয়" দিয়েছি " শব্দটা
একটু আগেও আসলো এমন কথা যে মনে, "আমি মূয়াল্লা তালাক দিলাম"

আবার রাস্তায় কাউকে দেখে বলতে মন চায় এইযে আংকেল বা ভাই বা আম্মু ডেকে এই কথা মনে উচ্চারিত হয়।

একটু আগে আম্মুকে বলছিলাম একটা অ্যালবাম এ তোমার ছবির একটায় দাদুর ছবি আর একটায় যখন ই বলতে গেছি তখন আবার মনে উচ্চারিত হলো," আমার তালাক হওয়া বউয়ের ছবি" এমন ধরনের কথা

এইগুলো কি ওয়াসওয়াসা?

একবার যখন এমন চিন্তা আসে তখন দেব" না" আমি মুখ দিয়ে উচ্চারণ করি। আমি ভয়ে আছি যে আমি শুধু " দেব" এই কথাটা উচ্চারণ করে ফেলেছি কিনা।

শুধু " আমি " কথাটা উচ্চারণ করে বাদ বাকি মনে মনে উচ্চারিত হয়েছে কিনা তাও সন্দেহে আছি।
এতে কি তালাক হবে?

আর হটাত তালাকের চিন্তা নিয়ে ভাবতে ভাবতে বলে ফেলেছি মনের মধ্যে ," আমি ' ক ' কে তালাক দিবো বিয়ের পর"

এতে কি তালাক হবে?

আমি হুজুর অনেক দুশ্চিন্তা গ্রস্ত আমাকে সঠিক পথের দিশা দেখান।

1 Answer

0 votes
by (711,080 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
6495 নং ফাতাওয়ায় আমরা উল্লেখ করেছি যে,
মনে মনে তালাক বললে তালাক হবে না।বরং জিহবা নাড়িয়ে উচ্ছারণ করলেই তবে তালাক পতিত হবে।

২৫৭০ নং ফাতাওয়ায় আমরা নামাযে কিরাত উচ্ছারণের সীমারেখা সম্পর্কে বলেছি,
ঠোট নাড়িয়ে মনে মনে তাকবীরে তাহরিমা পড়তে হবে।তবে আওয়াজ হতে হবে,নতুবা নামাযই বিশুদ্ধ হবে না।

নামাযে কুরআন তেলাওয়াত নিম্নস্বরের সীমারেখা কি?এ সম্পর্কে ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
وأما حد القراءة فنقول تصحيح الحروف أمر لا بد منه فإن صحح الحروف بلسانه ولم يسمع نفسه لا يجوز وبه أخذ عامة المشايخ هكذا في المحيط وهو المختار. هكذا في السراجية وهو الصحيح. هكذا في النقاية 
নামাযের তেলাওয়াতের জন্য হরফ গুলি পরিস্কার ভাবে উচ্ছারিত হওয়া শর্ত। যদি হরফগুলি উচ্ছারিত হয়,তবে নিজে না শুনে তাহলে সেই তেলাওয়াত/কেরাত নামায বিশুদ্ধ হওয়ার জন্য যথেষ্ট হবে না।এটাই সাধারণ মাশায়েখগণের সিদ্ধান্ত।(মুহিত)এবং এটাই পছন্দনীয় মত।এমনটাই সিরাজিয়্যাহ নামক কিতাবে বর্ণিত রয়েছে।এবং এটাই বিশুদ্ধতম মত।(নুকায়া) অর্থাৎ  নিজে শুনতে হবে,নতুবা নামায বিশুদ্ধ হবে না।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৬৯)

উচ্ছস্বরের সর্বনিম্ন পরিমাণ হল,এক কাতার পরের লোক কর্তৃক শ্রবণ করা।আর উচ্ছস্বরের সর্বোচ্ছ কোনো পরিমাণ নেই।তবে যাতে অন্যর কষ্ট না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
এবং নিম্নস্বরের সর্বনিম্ন পরিমাণ হল,জবান নাড়িয়ে হরফকে উচ্ছারণ করা।আর সর্বোচ্ছ পরিমাণ হল নিজ কর্ণ দ্বারা শ্রবণ করা বা পাশের জন কর্তৃক শ্রবণ করা।এরচেয়ে কম বেশ করা যাবে না।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- ২৫৭০


সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
নামাযে কিরাতের জন্য যেভাবে উচ্ছারণ শর্ত ঠিকতেমনি বিয়ে,তালাক,গোলাম আযাদ ইত্যাদি লেনদেনের জন্যও শব্দকে উচ্ছারণ করা শর্ত।সুতরাং উচ্ছারণ না করলে তালাক পতিত হবে না।তাছাড়া এখানে ভবিষ্যতে তালাক প্রদানের ইচ্ছা পোষণ করা হচ্ছে,ভবিষ্যতে তালাক দিবে,কেউ বললে তালাক পতিত হবে না।তালাক শুধুমাত্র অতীত অর্থবোধক শব্দ বা ভবিষ্যৎ অর্থবোধক শব্দ দ্বারাই পতিত হয়ে থাকে।
সুতরাং বর্ণিত বিবরণ অনুযায়ী তালাক পতিত হবে না।


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি মানষিক রোগে আক্রান্ত।আপনি কোনো বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হন।

প্রশ্নের বিবরণমতে কোনো তালাক পতিত হবে না।




(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...