বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
6495 নং ফাতাওয়ায় আমরা উল্লেখ করেছি যে,
মনে মনে তালাক বললে তালাক হবে না।বরং জিহবা নাড়িয়ে উচ্ছারণ করলেই তবে তালাক পতিত হবে।
২৫৭০ নং ফাতাওয়ায় আমরা নামাযে কিরাত উচ্ছারণের সীমারেখা সম্পর্কে বলেছি,
ঠোট নাড়িয়ে মনে মনে তাকবীরে তাহরিমা পড়তে হবে।তবে আওয়াজ হতে হবে,নতুবা নামাযই বিশুদ্ধ হবে না।
নামাযে কুরআন তেলাওয়াত নিম্নস্বরের সীমারেখা কি?এ সম্পর্কে ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
وأما حد القراءة فنقول تصحيح الحروف أمر لا بد منه فإن صحح الحروف بلسانه ولم يسمع نفسه لا يجوز وبه أخذ عامة المشايخ هكذا في المحيط وهو المختار. هكذا في السراجية وهو الصحيح. هكذا في النقاية
নামাযের তেলাওয়াতের জন্য হরফ গুলি পরিস্কার ভাবে উচ্ছারিত হওয়া শর্ত। যদি হরফগুলি উচ্ছারিত হয়,তবে নিজে না শুনে তাহলে সেই তেলাওয়াত/কেরাত নামায বিশুদ্ধ হওয়ার জন্য যথেষ্ট হবে না।এটাই সাধারণ মাশায়েখগণের সিদ্ধান্ত।(মুহিত)এবং এটাই পছন্দনীয় মত।এমনটাই সিরাজিয়্যাহ নামক কিতাবে বর্ণিত রয়েছে।এবং এটাই বিশুদ্ধতম মত।(নুকায়া) অর্থাৎ নিজে শুনতে হবে,নতুবা নামায বিশুদ্ধ হবে না।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৬৯)
উচ্ছস্বরের সর্বনিম্ন পরিমাণ হল,এক কাতার পরের লোক কর্তৃক শ্রবণ করা।আর উচ্ছস্বরের সর্বোচ্ছ কোনো পরিমাণ নেই।তবে যাতে অন্যর কষ্ট না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
এবং নিম্নস্বরের সর্বনিম্ন পরিমাণ হল,জবান নাড়িয়ে হরফকে উচ্ছারণ করা।আর সর্বোচ্ছ পরিমাণ হল নিজ কর্ণ দ্বারা শ্রবণ করা বা পাশের জন কর্তৃক শ্রবণ করা।এরচেয়ে কম বেশ করা যাবে না।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- ২৫৭০
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
নামাযে কিরাতের জন্য যেভাবে উচ্ছারণ শর্ত ঠিকতেমনি বিয়ে,তালাক,গোলাম আযাদ ইত্যাদি লেনদেনের জন্যও শব্দকে উচ্ছারণ করা শর্ত।সুতরাং উচ্ছারণ না করলে তালাক পতিত হবে না।তাছাড়া এখানে ভবিষ্যতে তালাক প্রদানের ইচ্ছা পোষণ করা হচ্ছে,ভবিষ্যতে তালাক দিবে,কেউ বললে তালাক পতিত হবে না।তালাক শুধুমাত্র অতীত অর্থবোধক শব্দ বা ভবিষ্যৎ অর্থবোধক শব্দ দ্বারাই পতিত হয়ে থাকে।
সুতরাং বর্ণিত বিবরণ অনুযায়ী তালাক পতিত হবে না।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি মানষিক রোগে আক্রান্ত।আপনি কোনো বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হন।
প্রশ্নের বিবরণমতে কোনো তালাক পতিত হবে না।