জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
এ সম্পর্কে মূলনীতি হল, মানুষ জীবিত হোক বা মৃত হোক সর্বদা মানুষকে সম্মান করতে হবে,তাকে অপদস্থ করা যাবে না। মূত্যু পরবর্তী জানাযা সম্পন্ন হওয়ার পর মানুষকে দাফন করাই আল্লাহর বিধান। এমনকি লাশের যে অংশকে পাওয়া যাবে তাকেও দাফন করা। আল্লাহ তা'আলা বলেন,
ﻭَﻟَﻘَﺪْ ﻛَﺮَّﻣْﻨَﺎ ﺑَﻨِﻲ ﺁﺩَﻡَ
নিশ্চয় আমি আদম সন্তানকে মর্যাদা দান করেছি।(সূরা বনী ঈসরাঈল-৭০)
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা নিয়ম করে দিয়েছেন,মানুষ মৃত্যুর পর তার জানাযা শেষে তাকে দাফন করে দেয়া হবে।
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
ﺛُﻢَّ ﺃَﻣَﺎﺗَﻪُ ﻓَﺄَﻗْﺒَﺮَﻩُ
অতঃপর তার মৃত্যু ঘটান ও কবরস্থ করেন তাকে।(সূরা আবাসা-২১)
অন্যত্র বলেন,
ﺃَﻟَﻢْ ﻧَﺠْﻌَﻞِ ﺍﻟْﺄَﺭْﺽَ ﻛِﻔَﺎﺗًﺎ ﺃَﺣْﻴَﺎﺀ ﻭَﺃَﻣْﻮَﺍﺗًﺎ
আমি কি পৃথিবীকে সৃষ্টি করিনি ধারণকারিণীরূপে, জীবিত ও মৃতদেরকে?(সূরা মুরসালাত-২৫-২৬)
ﻣِﻨْﻬَﺎ ﺧَﻠَﻘْﻨَﺎﻛُﻢْ ﻭَﻓِﻴﻬَﺎ ﻧُﻌِﻴﺪُﻛُﻢْ ﻭَﻣِﻨْﻬَﺎ ﻧُﺨْﺮِﺟُﻜُﻢْ ﺗَﺎﺭَﺓً ﺃُﺧْﺮَﻯ
এ মাটি থেকেই আমি তোমাদেরকে সৃজন করেছি, এতেই তোমাদেরকে ফিরিয়ে দিব এবং পুনরায় এ থেকেই আমি তোমাদেরকে উত্থিত করব। (সূরা ত্বাহা-৫৫)
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মাথা আঁচড়ানোর পর যে চুল পাওয়া যায় সেটা মাটিতে পুঁতে ফেলা ওয়াজিব। কেননা এটা একজন মানুষের অংশ যা সম্মানিত। সুতরাং সেটাকে পুড়ে ফেলা যাবেনা। মাটিতে পুতে ফেলতে হবে।
روي عن النبي صلى الله عليه وسلم: أنه أمر بدفن الشعر والأظفار. رواه الطبراني في معجمه الكبير، و ابن أبي شيبة في مصنفه، و البيهقي في شعب الإيمان،
رُوِي عن ميل بنت مشرح الأشعرية قالت: "رأيت أبي يقلم أظفاره ويدفنها ويقول: رأيت رسول الله صلى الله عليه وآله وسلم يفعل ذلك"
হজরত মিল বিনতে মিশরাহ আল আশআরি থেকে বর্ণিত, তিনি তাঁর পিতা মিশরাহ [যিনি রাসুল (সা.)-এর সাহাবি ছিলেন]-কে দেখেছেন যে তিনি নখ কাটার পর তা দাফন করে ফেলতেন। তিনি বলতেন, তিনি রাসুল (সা.)-কে এমন করতে দেখেছেন। [আত তারিখুল কুবরা -ইমাম বুখারি) : ৮/৪৫]
(০২)
হ্যাঁ, তাদেরকে বিবাহ দেয়া যাবে।
তারা একে অপরের মাহরাম নন।
আপনার ছোট ভাইয়ের দুধ বোনের বড় বোনকে আপনার বড় ভাই বিবাহ করতে পারবে।
সমস্যা নেই।
তারা আপনার ও আপনার বড় ভাইয়ের জন্য গায়রে মাহরাম।
(শুধুমাত্র আপনার সেই ছোট ভাই {যে দুধ পান করেছিলো}এর জন্য মাহরাম।)