জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তে বিধর্মী,ফাসেক দের অনুকরণ করতে নিষেধ করা হয়েছে।
মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন:- “হে মুমিন মুসলমানগণ! তোমরা কাফিরদেরকে বন্ধু রূপে গ্রহণ করো না”। (সূরা আন নিসা : আয়াত ১৪৪)
عَنْ عَبْدِ اللهِ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهُ قَالَ:: ” الْمَرْءُ مَعَ مَنْ أَحَبَّ
হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসঈদ রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, ব্যক্তি [কিয়ামতের দিন] তার সাতে থাকবে যাকে সে মোহাব্বত করে। {মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৩৭১৮, বুখারী, হাদীস নং-৬১৬৮, ৫৮১৬}
عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ تَشَبَّهَ بِقَوْمٍ فَهُوَ مِنْهُمْ
হযরত ইবনে ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন- যে ব্যক্তি যার সাদৃশ্য গ্রহণ করে, সে তাদেরই অন্তর্ভূক্ত। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৪০৩১}
এক হাদীসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি তাদের পোশাক পরবে সে আমার দলভুক্ত নয়। (তবারানী আওসাত ৩৯২১; ফাতহুল বারী ১০/২৮৪)
আকারে বড় এমন চশমা ব্যবহার করা নাজায়েজ নয়।
কারন শরীয়তের বিধান হলো যে সমস্ত বিষয় ইহুদী খৃষ্টানদের কালচার ও ধর্মীয় বিষয় হিসেবে বিবেচ্য ও প্রসিদ্ধ। তা ব্যবহার করা জায়েজ নয়।
যেহেতু আকারে বড় এমন চশমা ইহুদী খৃষ্টানদের ধর্মীয় কোনো বিষয়ের সাথে সম্পৃক্ত নয়। বরং এটি এখন মুসলমানরাও ব্যাপকহারে ব্যবহার করে থাকে, তাই এটা ব্যবহার করা হারাম নয়।
এটি সব ধর্মের অনুসারীরাই ব্যবহার করে,তাই এটি ব্যবহার করা কোনো ভাবেই নাজায়েজ নয়।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত চশমা ব্যবহার করতে কোনো সমস্যা নেই।
,
হ্যাঁ যদি এমন চশমা হয়,যেটা সাধারণত দুনিয়ার ফাসেকরা ভাবের জন্য পড়ে থাকে,তাহলে তাকওয়ার খাতিরে এমন চশমা ব্যবহার না করাই ভালো।