আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
177 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (74 points)
edited by
১।জিনরা কি আগুন ও রসূন দেখলে ভয় পায়।রক্ষাকারী আল্লাহ ভেবে সাথে আগুন ও রসূন রাখা যাবে কি?

২।আয়াতুল কুরসি সুরা বাকারার সেষ দুই আয়াত চারকুল তাবিজে ভরে জিন থেকে  রক্ষাকারী আল্লাহ মেনে ব্যবহার করা যাবে কি?

৩।ট্রেড লাইসেন্স এ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম দিছি ভ্যারাইটিজ ষ্টোর এই উদ্দেশ্য যে ব্যবসা সুবিধা হবে সেইটা করব কিন্তু লাইসেন্স এ ব্যবাসার ধরন একটা কলাম আছে সেইখানে কয়েকটা নাম উল্লেখ করা আছে এখন যেই যেই নাম ব্যবসার ধরনে উল্লেখ আছে সেই ব্যবসা করতে পারব নাকি সুবিধা মত করতে পারব?

৪।আমার প্রসাবের সমস্যা আছে প্রসাব করার পর ২০ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা সময় ফোটা পরে এখন সেই অবস্থায় আল্লাহর যিকির করা ও দূরুদ পড়া যাবে কি। কেবলার দিক হয়ে সোয়া ও পিছ দিয়ে সোয়া যাবে কি?

৫।প্রসাব কাপরে লাগলে তিন বার কি দুতেই হবে নাকি একবার দুলেই পাক হয়ে যাবে তিনবার দুয়া উত্তম

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
জ্বীনরা আগুন দেখলে ভয় পায়, তবে রসুন সম্পর্কে জানা নেই। আপনি আল্লাহর সার্বভৌমিক ক্ষমতার অধীকারী মনে করে এগুলো কাছে রাখতে পারেন।মনে রাখবেন।আল্লাহর হুকম ব্যতিত এগুলোর জ্বীন তাড়ানোর কোনো ক্ষমতা নাই।

(২)
আপনাকে ঘরোয়া ভাবে কিছু রুকইয়ার পরমার্শ দিচ্ছি,
(১)সকল প্রকার ফরয ওয়াজিব ইবাদত যত্নসহকারে পালন করা।এবং সকল প্রকার হারাম ও নাজায়ে কাজ হতে বেঁচে থাকে।
(২) অধিক পরিমাণ কুরআন তেলাওয়াত করা।
(৩)দু'আ, জায়েয তাবীয ও যিকিরের মাধ্যমে নিজেকে হেফাজতের চেষ্টা করা।

নিম্নোক্ত দু'আকে সকাল সন্ধ্যা তিনবার করে পড়া।
بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ، فِي الْأَرْضِ، وَلَا فِي السَّمَاءِ، وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ، 
দেখুন-http://ifatwa.info/1093
প্রত্যক নামাযের পর ঘুমাইবার সময় এবং সকাল সন্ধ্যা আয়াতুল কুরসী পড়া।এবং ঘুমাইবার সময় ও সকাল সন্ধ্যা তিনবার করে সূরা নাস,সূরা ফালাক্ব ও সূরা ইখলাস তিনবার করে পড়া।এবং প্রতিদিন নিম্নোক্ত দু'আটি একশতবার করে পড়া।


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আয়াতুল কুরসি, সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত, চার কুল,এবং উপরের লিংকে বর্ণিত আয়াত ও দু'আগুলি তিলাওয়াত করবেন/পড়বেন। হ্যা, যারা পড়তে জানেনা, তাদের জন্য তাবিজ ব্যবহার বৈধ হবে।

(৩)
ট্রেড লাইসেন্সে যেগুলো লিখা রয়েছে, সেগুলোই আপনি করবেন।  অন্য ব্যবসা জায়েয হবে না।

(৪)
যিকির ইত্যাদি করতে পারবেন।শুধুমাত্র নামায পড়তে পারবেন না।

(৫)

আলহামদুলিল্লাহ!
إنْ غَسَلَ ثَلَاثًا فَعَصَرَ فِي كُلِّ مَرَّةٍ ثُمَّ تَقَاطَرَتْ مِنْهُ قَطْرَةٌ فَأَصَابَتْ شَيْئًا إنْ عَصَرَهُ فِي الْمَرَّةِ الثَّالِثَةِ وَبَالَغَ فِيهِ بِحَيْثُ لَوْ عَصَرَهُ لَا يَسِيلُ مِنْهُ الْمَاءُ فَالثَّوْبُ وَالْيَدُ وَمَا تَقَاطَرَ طَاهِرٌ وَإِلَّا فَالْكُلُّ نَجِسٌ. هَكَذَا فِي الْمُحِيطِ.
যদি কেউ কাপড়কে তিনবার ধৌত করে,এবং প্রত্যেকবার নিংড়ায়, অতঃপর কাপড় থেকে পানির ফোটা কোনো জিনিষে পড়ে, যদি তৃতীয়বার ভালভাবে নিংড়ানো হয়ে থাকে,এমনভাবে যে এরপর আর নিংড়ালে কোনো পানি বের হবে না,তাহলে কাপড় থেকে যে পানি পড়বে,সেই পানি ও কাপড় এবং হাত কোনো কিছুই নাপাক বলে বিবেচিত হবে না।আর যদি নিংড়ানো না হয়ে থাকে,তাহলে তিনবার ধৌত করার পরও কাপড় থেকে ফোট ফোটা করে পরে যাওয়া পানি নাপাক বলেই গণ্য হবে। ( ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৪২)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/23740


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (590,550 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...