ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
চারমাস পূর্বে গর্ভপাতঃ
অর্থাৎ-গর্ভাশয়ে সৃষ্ট সন্তান চারমাস অতিবাহিত হওয়ার পূর্বে ঔষধের মাধ্যমে বিনষ্ট করে দেয়।
চারমাস পর গর্ভপাতঃ
অর্থাৎ-গর্ভাশয়ে সৃষ্ট সন্তানকে চারমাস অতিবাহিত হওয়ার পর ঔষধের মাধ্যমে বিনষ্ট করে দেয়া।
চারমাস পূর্বে গর্ভপাত
এ পদ্ধতি শরীয়ত সম্মত প্রয়োজন ব্যতীত নাজায়েজ ও হারাম।
বিশেষ কিছু কারণে শরীয়ত অনুমোদন প্রদান করে থাকে।
(ক)বর্তমানে কোলে দুধের একটি শিশু রয়েছে,অপরদিকে উক্ত মহিলার গর্ভাশয়ে নতুন সন্তানও উৎপাদিত হচ্ছে। গর্ভের ধরুন দুধ একেবারে শুকিয়ে গেছে। অপরদিকে উক্ত সন্তানকে অন্যকোনো উপায়ে লালনপালন করা যাচ্ছেনা। মায়ের দুধ ব্যতীত অন্যকিছুতে সে মূখই দিচ্ছে না। এমতাবস্থায় চারমাস হয়নি এমন গর্ভকে গর্ভপাত করা বৈধ রয়েছে।
(খ)কোনো মুসলমান বিজ্ঞ ডাক্তার উক্ত গর্ভবতী মহিলাকে পরিদর্শন করে বলে যে,গর্ভপাত না করলে মহিলার জান বা কোনো অঙ্গ বিনাশের আশঙ্কা রয়েছে।
চারমাস পর গর্ভপাত সম্পূর্ণ হারাম।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/446
আলী ইবন আসিম ইমাম আবু হানিফা রহ থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন,
لا أرى بأسا إذا زنى الرجل بالمرأة فحملت منه , أن يتزوجها مع حملها , ويستر عليها , والولد ولد له
অবৈধ মেলামেশার কারণে যদি সন্তান এসে যায় তারপর তারা যদি একে অপরকে বিয়ে করে নেয় তাহলে বিষয়টি গোপন রাখার ও সন্তানটির পিতা উক্ত স্বামী; একথা বলার মাঝে আমি মন্দ কিছু দেখি না। (আলমুগনি ৯/১২২)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
বিনা প্রয়োজনে স্বামীর জন্য এভাবে গর্ভপাতের জন্য স্ত্রীকে বাধ্য করা জায়েয হয়নি। এবং স্ত্রীর জন্যও স্বামীর বাধ্য থাকাটা উচিৎ হয়নি। যেহেতু চার মাসের পূর্বে গর্ভপাত হয়েছে, তাই কাফফারা আসবে না। হ্যা, স্ত্রী আল্লাহর কাছে তাওবাহ ইস্তেগফার করবে এবং সম্ভব হলে নফল দান খায়রাত করবে।