بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
ইসলামিক দৃষ্টিতে তালাক সর্বাবস্থায় কার্যকর, কাছে থেকে, দূরে থেকে, মুখে বলে, কাগজে লিখে, রাগের মাথায়, হাসি ঠাট্টায় সবসময়।
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
ثَلاثٌ جِدُّهُنَّ جِدٌّ وَهَزْلُهُنَّ جِدٌّ : النِّكَاحُ ، وَالطَّلاقُ ، وَالرَّجْعَةُ
তিনটি বিষয় এমন রয়েছে যা গোস্বায় হোক বা হাসি ঠাট্টায় হোক সর্বাবস্থায় কার্যকরী হয়ে থাকে। বিবাহ, তালাক ও রজয়াত। (আবু দাউদ ২১৯৪ তিরমিযি ১১৮৪)
অনুরূপভাবে তালাক স্ত্রীকে শুনিয়ে দিতে হবে কিংবা সাক্ষী রাখতে হবে; তালাকের ক্ষেত্রে এজাতীয় কোনো শর্ত নেই। বরং ফকিহগণের ঐকমত্য হল, স্বামী যদি নির্জনে একা একা বসে তালাক দেয় তাহলেও তালাক হয়ে যায়। (রদ্দুল মুহতার ৪/৯৬, দারু আলামিল কুতুব, রিয়াদ, আল্মুহীতুল বুরহানী ৩/২১০)
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
অনেকের ধারণা, স্বামী তালাকের সময় কোনো সাক্ষী না রাখলে তালাক পতিত হয় না। এটা মানুষের মনগড়া মাসআলা। সাক্ষীর প্রয়োজন তো হয় বিবাহের সময়। তালাক পতিত হওয়ার জন্য এক বা একাধিক কোনো সাক্ষীরই প্রয়োজন নেই। স্বামী যদি রাতের অন্ধকারে একা একা বসে তালাক দেয় তাহলেও তালাক হয়ে যায়। বিদেশ থেকে বললেও তালাক হয়ে যাবে।
তবে প্রশ্নেল্লিখিত ছুরতে যদি প্রকৃত অর্থেই স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার উদ্দেশ্যে তালাক শব্দটি উচ্চারণ না করেন, বরং বই পড়ার মত উচ্চারণ করে থাকেন তাহলে তালাক হবে না। কিন্তু নিজ স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার উদ্দেশ্যে উক্ত শব্দ উচ্চারণ করলে তালাক হবে। স্ত্রীর সামনে থাক বা না থাক।