আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
109 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (13 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম।
প্রশ্ন (১)যদি কোন বেক্তি  রিয়া করে তাহলে সে কি মুরতাদ হয়ে যাবে?

প্রশ্ন (২) একজন ব্যবসায়িক যার দাড়ি-টুপি আছে তিনি বিশ্বাস করেন একমাত্র আল্লাহই রিজিকদাতা কিন্তু হঠাৎ তার মনে যদি এই উদয় হয় যে,কাস্টমাররা বুঝি তাকে ভালো মনে করে তার দোকানে আসে এতে কি তার শিরক এর গুনাহ হবে কি?

প্রশ্ন (৩)শুনেছি আল্লাহ রাসুল ও দিন ইসলাম এর কোন বিষয় নিয়ে সন্দেহ সংশয় পোষণ করলে সে নাকি কাফের হয়ে যায়?
এখন জানতে চাই প্রশ্নটি হল,যদি কোন বেক্তির মনে এ ধরনের কোন একটি বিষয় নিয়ে যদি সন্দেহ বা সংশয় মনে চলে আসে এবং তখন গবেষণা করে ও চিন্তা ভাবনা করে  আল্লাহ ও তার রাসূল ও দিন ইসলামের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে তবুও কি প্রথমে সন্দেহ বা সংশয়ের জন্য সেই বেক্তি কি মুরতাদ হবে কিএবং পরে আবার ইমানদার হবে কি বিষয়টা কি এইরকম? ?দয়া করে একটু বুঝিয়ে বলবেন।

প্রশ্ন (৪) যদি কোন ব্যক্তি রাস্তায় চলার মধ্যে কেউ যদি তাকে জিজ্ঞাসা করে আপনি কোথায় যাচ্ছেন যদি সে মনে করুন  বাজারে যাচ্ছে কিন্তু এই উওর দেওয়ার আগে যদি সে  ইংশাআল্লাহ না বলে তাহলে কি তার গুনাহ হবে? যদি কোন ব্যক্তি ভবিষ্যৎকালীন কোন কাজ করার পূর্বে ইনশাআল্লাহ না বলে ইচ্ছাকৃতভাবে তাহলে কি কুফরি গুনাহ হবে?

প্রশ্ন (৫)যদি কোন বেক্তির মনে উদয় হয় যে,"রাসুল (সাঃ) সহজ সরল ছিলেন এই ব্যাপারে মনে হয় না বুঝে এই হাদিসটা বলেছেন এবং তখনই আবার চিন্তা ভাবনা করে বিশ্বাস করলেন যে রাসুল  (সাঃ) সঠিক  বলেছেন। কিন্তু পূর্বের চিন্তার কারণে তার কি পুরবে ইমান নষ্ট হয়েগিয়েছিল কি?

হুজুর অনুরোধ করছি প্রশ্নের ক্রম অনুযায়ী উওরটা দয়া করে জানাবেন। জাজাকাল্লাহ খাইরান।

1 Answer

0 votes
by (574,470 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


https://ifatwa.info/48582/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ-
যদি শুধুমাত্র লোক দেখানো ইবাদত হয়,তাহলে এমন রিয়া ছোট শিরক।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، أَنَّهُ خَرَجَ يَوْمًا إِلَى مَسْجِدِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَوَجَدَ مُعَاذَ بْنَ جَبَلٍ قَاعِدًا عِنْدَ قَبْرِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَبْكِي فَقَالَ مَا يُبْكِيكَ قَالَ يُبْكِينِي شَىْءٌ سَمِعْتُهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ " إِنَّ يَسِيرَ الرِّيَاءِ شِرْكٌ وَإِنَّ مَنْ عَادَى لِلَّهِ وَلِيًّا فَقَدْ بَارَزَ اللَّهَ بِالْمُحَارَبَةِ إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الأَبْرَارَ الأَتْقِيَاءَ الأَخْفِيَاءَ الَّذِينَ إِذَا غَابُوا لَمْ يُفْتَقَدُوا وَإِنْ حَضَرُوا لَمْ يُدْعَوْا وَلَمْ يُعْرَفُوا قُلُوبُهُمْ مَصَابِيحُ الْهُدَى يَخْرُجُونَ مِنْ كُلِّ غَبْرَاءَ مُظْلِمَةٍ " .

উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। এক দিন তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর মসজিদে গিয়ে মুআয ইবনে জাবাল (রাঃ) কে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কবরের পাশে উপবিষ্ট অবস্থায় কান্নারত দেখতে পান। তিনি জিজ্ঞেস করেন, তুমি কাঁদছো কেন? তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে শ্রুত কিছু বিষয় আমাকে কাঁদাচ্ছে। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছিঃ সামান্যতম কপটতাও শিরক। যে ব্যক্তি আল্লাহর কোন বন্ধুর (ওলী) সাথে শত্রুতা করলো, সে যেন আল্লাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলো। নিশ্চয় আল্লাহ ভালোবাসেন সৎকর্মপরায়ণ আল্লাহভীরু আত্মগোপনকারী বান্দাদের, যারা দৃষ্টির অন্তরাল হলে কেউ তাদের খোঁজ করে না, সামনে উপস্থিত থাকলে কেউ তাদের আপ্যায়ন করে না এবং তাদের পরিচয়ও নেয় না। তাদের অন্তরসমূহ হেদায়াতের আলোকবর্তিকা। তারা সব ধরনের অন্ধকারাচ্ছন্ন কদর্যতা থেকে নিরাপদে বের হয়ে যাবে।
(ইবনে মাজাহ ৩৯৮৯)

রিয়া কখন শিরকে আকবার হয়? ইসলামী স্কলারগন এর জবাবে বলেছেনঃ 

رياء المنافقين؛ الذي يبطن الشرك ويظهر الإسلام، هذا الشرك الأكبر، رياء المنافقين؛ باطنهم الكفر وظاهرهم الإسلام، هؤلاء في الدرك الأسفل من النار،
সারমর্মঃ  
এটি মুনাফিকদের ইবাদত।
যারা শিরক গোপন রাখে,আর ইসলাম প্রকাশ করে,এটা শিরকে আকবার।  

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
যদি কোন ব্যাক্তি রিয়া করে, তাহলে সে মুরতাদ হয়ে যাবেনা।
এতে তার ঈমান চলে যাবেনা।
সে শুধু আল্লাহর কাছে মাফ চেয়ে নিবে। 

(০২)
না,তার শিরক এর গুনাহ হবেনা।
কাস্টমার তাকে ভালো মনে করবে,এহেন বিষয় মাথা থেকে দূর করার জন্য এগুলো নিয়ে না ভাবার পরামর্শ থাকবে।

বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে পানাহ চাইতে হবে। 

(০৩)
এক্ষেত্রে অন্তরে শুধু সন্দেহ সংশয় পোষণ করলেই কাহারো ঈমান চলে যায়না।
সে যদি স্পষ্ট আকারে মুখ দিয়ে সেই বিষয় গুলি অস্বীকার করে,তবেই তার ঈমান চলে যাবে।

প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তি মুরতাদ হবেনা।

(০৪)
সে যদি ইংশাআল্লাহ না বলে, তাহলে তার গুনাহ হবেনা।
যদি কোন ব্যক্তি ভবিষ্যৎকালীন কোন কাজ করার পূর্বে ইনশাআল্লাহ না বলে ইচ্ছাকৃতভাবে, তাহলে  কুফরি গুনাহ হবেনা।

(০৫)
পূর্বের চিন্তার কারণে তার পূর্বে ইমান নষ্ট হয়ে গিয়েছিলোনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...