ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
যদি শুধুমাত্র লোক দেখানো ইবাদত হয়,তাহলে এমন রিয়া ছোট শিরক।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، أَنَّهُ خَرَجَ يَوْمًا إِلَى مَسْجِدِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَوَجَدَ مُعَاذَ بْنَ جَبَلٍ قَاعِدًا عِنْدَ قَبْرِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَبْكِي فَقَالَ مَا يُبْكِيكَ قَالَ يُبْكِينِي شَىْءٌ سَمِعْتُهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ " إِنَّ يَسِيرَ الرِّيَاءِ شِرْكٌ وَإِنَّ مَنْ عَادَى لِلَّهِ وَلِيًّا فَقَدْ بَارَزَ اللَّهَ بِالْمُحَارَبَةِ إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الأَبْرَارَ الأَتْقِيَاءَ الأَخْفِيَاءَ الَّذِينَ إِذَا غَابُوا لَمْ يُفْتَقَدُوا وَإِنْ حَضَرُوا لَمْ يُدْعَوْا وَلَمْ يُعْرَفُوا قُلُوبُهُمْ مَصَابِيحُ الْهُدَى يَخْرُجُونَ مِنْ كُلِّ غَبْرَاءَ مُظْلِمَةٍ " .
উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। এক দিন তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর মসজিদে গিয়ে মুআয ইবনে জাবাল (রাঃ) কে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কবরের পাশে উপবিষ্ট অবস্থায় কান্নারত দেখতে পান। তিনি জিজ্ঞেস করেন, তুমি কাঁদছো কেন? তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে শ্রুত কিছু বিষয় আমাকে কাঁদাচ্ছে। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছিঃ সামান্যতম কপটতাও শিরক। যে ব্যক্তি আল্লাহর কোন বন্ধুর (ওলী) সাথে শত্রুতা করলো, সে যেন আল্লাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলো। নিশ্চয় আল্লাহ ভালোবাসেন সৎকর্মপরায়ণ আল্লাহভীরু আত্মগোপনকারী বান্দাদের, যারা দৃষ্টির অন্তরাল হলে কেউ তাদের খোঁজ করে না, সামনে উপস্থিত থাকলে কেউ তাদের আপ্যায়ন করে না এবং তাদের পরিচয়ও নেয় না। তাদের অন্তরসমূহ হেদায়াতের আলোকবর্তিকা। তারা সব ধরনের অন্ধকারাচ্ছন্ন কদর্যতা থেকে নিরাপদে বের হয়ে যাবে।
(ইবনে মাজাহ ৩৯৮৯)
রিয়া কখন শিরকে আকবার হয়? ইসলামী স্কলারগন এর জবাবে বলেছেনঃ
رياء المنافقين؛ الذي يبطن الشرك ويظهر الإسلام، هذا الشرك الأكبر، رياء المنافقين؛ باطنهم الكفر وظاهرهم الإسلام، هؤلاء في الدرك الأسفل من النار،
সারমর্মঃ
এটি মুনাফিকদের ইবাদত।
যারা শিরক গোপন রাখে,আর ইসলাম প্রকাশ করে,এটা শিরকে আকবার।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
যদি কোন ব্যাক্তি রিয়া করে, তাহলে সে মুরতাদ হয়ে যাবেনা।
এতে তার ঈমান চলে যাবেনা।
সে শুধু আল্লাহর কাছে মাফ চেয়ে নিবে।
(০২)
না,তার শিরক এর গুনাহ হবেনা।
কাস্টমার তাকে ভালো মনে করবে,এহেন বিষয় মাথা থেকে দূর করার জন্য এগুলো নিয়ে না ভাবার পরামর্শ থাকবে।
বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে পানাহ চাইতে হবে।
(০৩)
এক্ষেত্রে অন্তরে শুধু সন্দেহ সংশয় পোষণ করলেই কাহারো ঈমান চলে যায়না।
সে যদি স্পষ্ট আকারে মুখ দিয়ে সেই বিষয় গুলি অস্বীকার করে,তবেই তার ঈমান চলে যাবে।
প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তি মুরতাদ হবেনা।
(০৪)
সে যদি ইংশাআল্লাহ না বলে, তাহলে তার গুনাহ হবেনা।
যদি কোন ব্যক্তি ভবিষ্যৎকালীন কোন কাজ করার পূর্বে ইনশাআল্লাহ না বলে ইচ্ছাকৃতভাবে, তাহলে কুফরি গুনাহ হবেনা।
(০৫)
পূর্বের চিন্তার কারণে তার পূর্বে ইমান নষ্ট হয়ে গিয়েছিলোনা।