বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
এটা আপনার জন্য গুনাহের কাজ হবেনা।
তবে মাহরাম বা পরিচিতমহিলা কেহ সামনাসামনি হলে তথা দেখা সাক্ষাৎ হলে সালাম ও কুশল বিনিময় করবেন।
আপাতত সালাম অবশ্যই আদান প্রদান করবেন।
(০২)
সাবিত আল বুনানী (রহ.) হতে বর্ণিত।
عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنَا مَرْحُومُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ مِهْرَانَ قَالَ سَمِعْتُ ثَابِتًا الْبُنَانِيَّ قَالَ كُنْتُ عِنْدَ أَنَسٍ وَعِنْدَه“ ابْنَةٌ لَه“ قَالَ أَنَسٌ جَاءَتْ امْرَأَةٌ إِلٰى رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم تَعْرِضُ عَلَيْهِ نَفْسَهَا قَالَتْ يَا رَسُوْلَ اللهِ أَلَكَ بِي حَاجَةٌ فَقَالَتْ بِنْتُ أَنَسٍ مَا أَقَلَّ حَيَاءَهَا وَا سَوْأَتَاهْ وَا سَوْأَتَاهْ قَالَ هِيَ خَيْرٌ مِنْكِ رَغِبَتْ فِي النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَعَرَضَتْ عَلَيْهِ نَفْسَهَا.
তিনি বলেন, আমি আনাস (রাঃ)-এর কাছে ছিলাম। তখন তাঁর কাছে তাঁর কন্যাও ছিলেন। আনাস (রাঃ) বললেন, একজন মহিলা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে নিজেকে সমর্পণ করতে এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আপনার কি আমার প্রয়োজন আছে? এ কথা শুনে আনাস (রাঃ)-এর কন্যা বললেন, সেই মহিলা কতই না নির্লজ্জ, ছিঃ লজ্জার কথা। আনাস (রাঃ) বললেন, সে মহিলা তোমার চেয়ে উত্তম, সে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাহচর্য পেতে অনুরাগী হয়েছিল। এ কারণেই সে নিজেকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে পেশ করেছে। ( সহীহ বুখারী-৫১২০)
★নিজের মুখে বাসায় বিয়ের ইচ্ছা প্রকাশ করা নিন্দনীয় কাজ নয়।
এটিকে নিন্দনীয় কাজ মনে করে গোপন রাখলে বর্তমান অভিভাবকগন এদিকে তেমন ভ্রুক্ষেপ করবেনা।
বিয়ের ইচ্ছা গোপন করার দরুন নিজের অনেক গুনাহের প্রতি ঝুকে পড়ার আশংকা থাকবে,যাহা নিজের ঈমান ও আমলের জন্য মারাত্মক হুমকি।
তাই বিবাহের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করলে ও অভিভাবকরা বিষয়টি কিছুই না বললে এক্ষেত্রে তাদেরকে নিনের বিবাহের প্রয়োজনীয়তা বুঝাতে হবে।
প্রয়োজনে ইশারা ইঙ্গিতে হলেও বুঝাতে হবে।
সম্ভব না হলে নিজের মা,দাদি নানি ফুফু বড় বোনদের বুঝাতে হবে,যাতে তারা বাবা কে বুঝায়।
★সন্তান প্রাপ্তবয়স্ক হলে ও উপযুক্ত কাউকে পাওয়া গেলে তাদের দ্রুত বিয়ের ব্যবস্থা করা মাতা-পিতার অন্যতম দায়িত্ব।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
عَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «يَا عَلِيُّ ثَلَاثٌ لَا تُؤَخِّرْهَا الصَّلَاةُ إِذَا أَتَتْ وَالْجِنَازَةُ إِذَا حَضَرَتْ وَالْأَيِّمُ إِذَا وَجَدْتَ لَهَا كُفُؤًا»
মহানবী (সা.) তিনটি কাজ দ্রুত করতে বলেছেন—১. ওয়াক্ত হলে নামাজ পড়া, ২. জানাজা উপস্থিত হলে জানাজা পড়া।
৩. মেয়ে প্রাপ্তবয়স্ক হলে উপযুক্ত কাউকে পাওয়া গেলে বিয়ের ব্যবস্থা করা।
(তিরমিজি ১০৭৫ ও মিশকাত ৬০৫)