আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
175 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (61 points)
edited by

১. আমি জানতে কারো কোনো টাকা/বস্তু খাইনা। তবে মাঝেমধ্যে হয়তো হতে পারে পূর্বে এমনটা করেছি কি না। এখন আমার অনেক টাকা বা হক ওতো অনেকে বিভিন্ন ভাবে খেয়েছে। এখন আমার কি করনীয়? এদের ক্ষমা করে দিবো? এখন এদের ক্ষমা করলে আমার কাছে কেও হক পেলে তারা যদি আমাকে আটকিয়ে ফেলে তখন কি হবে, আমার তো কারো কাছে পাওনা থাকবে না, এক্ষেত্রে আমি কি করবো?কোনটা লাভজনক আমার আখিরাতের জন্য?

২. কোনো স্বামী-স্ত্রী এই নিয়তে বিয়ে করে যে পারিবারিক কোনো সমস্যা হলে তারা আলাদা হয়েযাবে না হলে তো সংসার করবে, এভাবে বিয়ে করলে বিয়ে হবে তো?

৩. কেও যদি বলে এইবার রমজানে অনেক কষ্ট হবে, বা রমজানে অনেক কষ্ট হয়। এতে কি কারো ইমানে সমাজ হয়?

৪. কেও কোনো গজল গাওয়ার সময়,  অন্য কেও যদি তাকে ধমক দেয় যে থামো। তবে কি গুনাহ হবে?বা  ইমানে সমস্যা হবে?

৫. কেও যদি শিরনি রান্না করে মানুষকে খাওয়ানোর বিষয়কে বলে, এই কাজ খুবই ঝামেলার বা যন্ত্রণার তবে কি গুনাহ হবে? ইমানে সমস্যা হবে?

৬. কোনো মেয়ে যদি তার চাচা চাচীর উদ্দেশ্যে বলে, " আমার বোন রাস্তা থাইকা তার ডেলিভারি ম্যান থাইকা টাকা আনে দেইক্কা,এইসব নিয়া ও এরা কথা বলে, কিরকম শয়তান এরা''
একথার ফলে কি ইমানে সমস্যা হবে?

৭. আমাদের এলাকায় "এইরকম" শব্দটাকে "ইলা" বলা হয়, যেমন, ইলা এই কাজ করলে হইতো না।
তো কেও যদি তার বউকে ওই অর্থ বুঝাতে বলে, " আমাদের মাঝে ইলা হইছে " বা "ইলা ওইছে না"

এতে কি শরিয়ত মোতাবেক ইলা / ঈলা যেটা ওইটা হওয়ার সম্ভাবনা আছে?

৮. মানুষ অভ্যাসের দাস এই কথা কি কুফরী?কেও বললে কি হবে?

৯. একজন পুজার দাওয়াত এর কার্ড একটা সংগ্রহ করে তাতে তার নাম লিখে রেখে দেয় এবং মানুষকে দেখায় এটা বুঝানোর জন্য যে সে খুবই গুরুত্বপূর্ণ মানুষ তাকে হিন্দুরাও দাওয়াত দেয়, এতে কি কুফর হবে?

১০. আমার এক বন্ধু,  কিছু পুজার দাওয়াত কার্ড এনে  তাতে তার অন্য কিছু বন্ধুদের নাম লিখে তাদের দেয়। এতে কি সে কাফের হয়ে গিয়েছিলো? (অনেক আগের কাহিনী, সে কি নিয়তে দিয়েছিলো, পরিষ্কার জানি না, এক্ষেত্রে আমার কি কিছু করনীয় আছে?)

১১. আমার এক স্যার প্রায় ৫/৬ বছর আগে, একজন ইসলাম নিয়ে বিভিন্ন কথা বলার পরে তার জ্ঞান পরখ  করার জন্য প্রশ্ন করেন যে সোলেমান (আঃ) কোরআনের বর্ণিত কাহিনী কিভাবে করলেন? হেসে হেসে বললেন উনি এইগুলো তো রুপকথা,  এমনই কি একটা বলেছিলেন, আরেকজন ও মজা করে সায় দিয়েছিলো? এতে কি ওনারা কাফের হয়ে গিয়েছিলেন? ( মজা  করেও কুফরী কথা বললে যে ইমানে সমস্যা হয় এটা উনারা জানতেন কি না জানিনা)

(১০ ও ১১) এর জবাবে এরা কাফরে হলে আমার ফরজ করনীয় কিছু আছে কি? যা না করলেই নয় ? ১১ নং স্যারের বা ওই ছেলের সাথে যোগাযোগ নাই তেমন শুধু ফেসবুকে এড আছে।১০ নং এর ছেলে পাশের রুমে থাকে।  আসলে আমার টেনশন হয় যে আমি কিছু না করলে আমার ইমানে সমস্যা হয় কি না, এ্কটু সাহায্য করুন প্লিজ। 


 ১২. লেপ তোষকে পেশাব লাগলে, তা রোদ ছাড়া এমনিই শুকিয়ে গেলে,  তা কি স্বাভাবিক ভাবে ব্যবহার করা যাবে? না কি ইউজ করলেই শরীরও অপবিত্র হয়ে যাবে, এক আইডিয়া দিন, ধোয়া তো পসিবল না আমার জন্য

1 Answer

0 votes
by (565,980 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
ক্ষমাকারী ধৈর্যবান ও সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত।
মহান আল্লাহ অত্যন্ত দয়ালু ও ক্ষমাশীল। তিনি ক্ষমা করতে ভালোবাসেন। যে অন্যকে ক্ষমা করে তাকেও ভালোবাসেন। 

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন,
الَّذِينَ يُنفِقُونَ فِي السَّرَّاءِ وَالضَّرَّاءِ وَالْكَاظِمِينَ الْغَيْظَ وَالْعَافِينَ عَنِ النَّاسِ ۗ وَاللَّهُ يُحِبُّ الْمُحْسِنِينَ

‘যারা সুসময়ে ও দুঃসময়ে ব্যয় করে এবং ক্রোধ সম্বরণ করে ও মানুষকে ক্ষমা করে। আর আল্লাহ সৎকর্মশীলদের ভালোবাসেন। ’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত: ১৩৪)

জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে মানুষ অন্যের রূঢ় বা কটু কথাবার্তা কিংবা অশোভনীয় আচার-আচরণে কষ্ট পেয়ে থাকেন। ফলে একে অপরে মতবিরোধ তৈরি হয়। অনেক সময় মতবিরোধ ও মতানৈক্যকে কেন্দ্র করে পরস্পরের মধ্যে সংঘাত ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আল্লাহ তাআলা মানুষকে আদেশ দিয়েছেন, যেন একে-অপরকে ক্ষমা করে। 

পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে,
إِن تُبْدُوا خَيْرًا أَوْ تُخْفُوهُ أَوْ تَعْفُوا عَن سُوءٍ فَإِنَّ اللَّهَ كَانَ عَفُوًّا قَدِيرًا

 ‘যদি তোমরা ভালো কিছু প্রকাশ করো কিংবা গোপন করো অথবা মন্দ ক্ষমা করে দাও, তবে নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, ক্ষমতাবান। ’ (সুরা নিসা, আয়াত: ১৪৯)

ক্ষমাকারীকে আল্লাহ তাআলা বিশেষভাবে পুরস্কার দেবেন। পরস্পরের মধ্যে বিরোধ নিষ্পন্নকারীও আল্লাহর কাছ থেকে পুরস্কার পাবেন। 

আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَجَزَاءُ سَيِّئَةٍ سَيِّئَةٌ مِّثْلُهَا ۖ فَمَنْ عَفَا وَأَصْلَحَ فَأَجْرُهُ عَلَى اللَّهِ ۚ إِنَّهُ لَا يُحِبُّ الظَّالِمِينَ

 ‘আর মন্দের প্রতিফল মন্দ। অতঃপর যে ক্ষমা করে দেয় এবং আপস নিষ্পত্তি করে, তার পুরস্কার আল্লাহর কাছে রয়েছে। নিশ্চয় আল্লাহ জালিমদের পছন্দ করেন না। ’ (সুরা শুরা, আয়াত: ৪০)

ক্ষমা করলে কারও মর্যাদা কমে না। বরং বহু গুণে ক্ষমাশীল ব্যক্তির মর্যাদা বৃদ্ধি পায়। 

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন করেছেন, সদকা করলে সম্পদের ঘাটতি হয় না। যে ব্যক্তি ক্ষমা করে, আল্লাহ তার মর্যাদা বৃদ্ধি করে দেন। আর কেউ আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য বিনীত হলে, তিনি তার মর্যাদা বাড়িয়ে দেন। (মুসলিম, হাদিস: ২৫৮৮)

আরো জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে অন্যকে ক্ষমা করে দেওয়াই আপনার আখেরাতের জন্য লাভ জনক হবে। 

পূর্বে কাহারো কোনো জিনিস না বলে নিয়েছেন কিনা,এটি সম্পর্কে সন্দেহ হলে আপনি যার ব্যপারে সন্দেহ করছেন,তার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিবেন।

আর সন্দেহ না আসলে ক্ষমা চাওয়ার প্রয়োজন নেই।

(০২)
হ্যাঁ, বিয়ে হয়ে যাবে।

(০৩)
এতে তার ঈমানে সমস্যা হবেনা।

(০৪)
ইমানে সমস্যা হবেনা।
তবে সেই মানুষকে ধমক দিয়ে কষ্ট দেয়ার গুনাহ হবে।

(০৫)
এক্ষেত্রে তার গুনাহ হবেনা।
তার ঈমানেও কোনো সমস্যা হবেনা।

(০৬)
এ কথার ফলে ইমানে সমস্যা হবেনা।

(০৭)
না,সেটির সম্ভাবনা নেই।

(০৮)
এ কথা কুফরি নয়।

(০৯)
এতে কুফর হবেনা।

(১০)
এতে সে কাফের হয়ে যায়নি। 
তবে তাকে তওবা করতে হবে।

(১১)
কুরআনের আয়াতে নিয়ে হাসি ঠাট্রার কারনে যারা যারা জেনেশুনে এটি করেছিলো,সকলের ঈমান নষ্ট হয়ে গিয়েছে।

আপনি তাদের জন্য কিছু না করলে আপনার ঈমানের কোনো সমস্যা হবেনা।
তবে আপনি পাশের রুমের সেই ছেলেকে কালেমায়ে শাহাদাত পাঠ করে পুনরায় ঈমান আনতে বলবেন।

(১২)
স্বাভাবিক ভাবে ব্যবহার করা যাবে।
তবে সরাসরি  তার উপর নামাজ পড়বেননা। 
এর উপর নামাজ পড়তে হলে উপরে জায়নামাজ বিছিয়ে নিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...