বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
ক্ষমাকারী ধৈর্যবান ও সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত।
মহান আল্লাহ অত্যন্ত দয়ালু ও ক্ষমাশীল। তিনি ক্ষমা করতে ভালোবাসেন। যে অন্যকে ক্ষমা করে তাকেও ভালোবাসেন।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন,
الَّذِينَ يُنفِقُونَ فِي السَّرَّاءِ وَالضَّرَّاءِ وَالْكَاظِمِينَ الْغَيْظَ وَالْعَافِينَ عَنِ النَّاسِ ۗ وَاللَّهُ يُحِبُّ الْمُحْسِنِينَ
‘যারা সুসময়ে ও দুঃসময়ে ব্যয় করে এবং ক্রোধ সম্বরণ করে ও মানুষকে ক্ষমা করে। আর আল্লাহ সৎকর্মশীলদের ভালোবাসেন। ’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত: ১৩৪)
জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে মানুষ অন্যের রূঢ় বা কটু কথাবার্তা কিংবা অশোভনীয় আচার-আচরণে কষ্ট পেয়ে থাকেন। ফলে একে অপরে মতবিরোধ তৈরি হয়। অনেক সময় মতবিরোধ ও মতানৈক্যকে কেন্দ্র করে পরস্পরের মধ্যে সংঘাত ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আল্লাহ তাআলা মানুষকে আদেশ দিয়েছেন, যেন একে-অপরকে ক্ষমা করে।
পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে,
إِن تُبْدُوا خَيْرًا أَوْ تُخْفُوهُ أَوْ تَعْفُوا عَن سُوءٍ فَإِنَّ اللَّهَ كَانَ عَفُوًّا قَدِيرًا
‘যদি তোমরা ভালো কিছু প্রকাশ করো কিংবা গোপন করো অথবা মন্দ ক্ষমা করে দাও, তবে নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, ক্ষমতাবান। ’ (সুরা নিসা, আয়াত: ১৪৯)
ক্ষমাকারীকে আল্লাহ তাআলা বিশেষভাবে পুরস্কার দেবেন। পরস্পরের মধ্যে বিরোধ নিষ্পন্নকারীও আল্লাহর কাছ থেকে পুরস্কার পাবেন।
আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَجَزَاءُ سَيِّئَةٍ سَيِّئَةٌ مِّثْلُهَا ۖ فَمَنْ عَفَا وَأَصْلَحَ فَأَجْرُهُ عَلَى اللَّهِ ۚ إِنَّهُ لَا يُحِبُّ الظَّالِمِينَ
‘আর মন্দের প্রতিফল মন্দ। অতঃপর যে ক্ষমা করে দেয় এবং আপস নিষ্পত্তি করে, তার পুরস্কার আল্লাহর কাছে রয়েছে। নিশ্চয় আল্লাহ জালিমদের পছন্দ করেন না। ’ (সুরা শুরা, আয়াত: ৪০)
ক্ষমা করলে কারও মর্যাদা কমে না। বরং বহু গুণে ক্ষমাশীল ব্যক্তির মর্যাদা বৃদ্ধি পায়।
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন করেছেন, সদকা করলে সম্পদের ঘাটতি হয় না। যে ব্যক্তি ক্ষমা করে, আল্লাহ তার মর্যাদা বৃদ্ধি করে দেন। আর কেউ আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য বিনীত হলে, তিনি তার মর্যাদা বাড়িয়ে দেন। (মুসলিম, হাদিস: ২৫৮৮)
আরো জানুনঃ-
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে অন্যকে ক্ষমা করে দেওয়াই আপনার আখেরাতের জন্য লাভ জনক হবে।
পূর্বে কাহারো কোনো জিনিস না বলে নিয়েছেন কিনা,এটি সম্পর্কে সন্দেহ হলে আপনি যার ব্যপারে সন্দেহ করছেন,তার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিবেন।
আর সন্দেহ না আসলে ক্ষমা চাওয়ার প্রয়োজন নেই।
(০২)
হ্যাঁ, বিয়ে হয়ে যাবে।
(০৩)
এতে তার ঈমানে সমস্যা হবেনা।
(০৪)
ইমানে সমস্যা হবেনা।
তবে সেই মানুষকে ধমক দিয়ে কষ্ট দেয়ার গুনাহ হবে।
(০৫)
এক্ষেত্রে তার গুনাহ হবেনা।
তার ঈমানেও কোনো সমস্যা হবেনা।
(০৬)
এ কথার ফলে ইমানে সমস্যা হবেনা।
(০৭)
না,সেটির সম্ভাবনা নেই।
(০৮)
এ কথা কুফরি নয়।
(০৯)
এতে কুফর হবেনা।
(১০)
এতে সে কাফের হয়ে যায়নি।
তবে তাকে তওবা করতে হবে।
(১১)
কুরআনের আয়াতে নিয়ে হাসি ঠাট্রার কারনে যারা যারা জেনেশুনে এটি করেছিলো,সকলের ঈমান নষ্ট হয়ে গিয়েছে।
আপনি তাদের জন্য কিছু না করলে আপনার ঈমানের কোনো সমস্যা হবেনা।
তবে আপনি পাশের রুমের সেই ছেলেকে কালেমায়ে শাহাদাত পাঠ করে পুনরায় ঈমান আনতে বলবেন।
(১২)
স্বাভাবিক ভাবে ব্যবহার করা যাবে।
তবে সরাসরি তার উপর নামাজ পড়বেননা।
এর উপর নামাজ পড়তে হলে উপরে জায়নামাজ বিছিয়ে নিবেন।