মালয়েশিয়ার কিছু পুলিশ তারা জোর করে টাকা নেয় আর ঘুষ নেয় সে যে টাকা নিল সেটাকে সেটা হালাল বলতে বলে সেই ক্ষেত্রে জুদি হালাল মুখে বলে টাকা দেয় সেই বেক্তির আর যে পুলিস এভাবে নিচ্ছে তাদের ঈমান থাকবে কি ?

Question

মালয়েশিয়া তে কিছু পুলিশ যারা রয়েছে তারা জোর করে রাস্তায় বা যেখানে পায় সেখানে আটকিয়ে টাকা নেয় আর ঘুষ নেয় তারপর যার থেকে নিল তাকে বলতে বলে যে তুমি যে আমাকে টাকা দিলা সেটা হালাল বলতে বলে সেই ক্ষেত্রে তাকে নিজেকে বাঁচাতে সেটা বলতে হয় এখন এটা তো হারাম কিন্তু তখন জোর পূর্বক বলার জন্য ঈমান থাকবে কি ? কারন আমি তো বিশ্বাস করি যে এভাবে টাকা নেয়া হারাম ?

Answer 1

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-

আলহামদুলিল্লাহ!

অন্যর মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত কারো জন্য হালাল হয় না।বিদায় এসব পরিত্যাজ্য।

কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ

ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍْ ﻻَ ﺗَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻣْﻮَﺍﻟَﻜُﻢْ ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢْ ﺑِﺎﻟْﺒَﺎﻃِﻞِ ﺇِﻻَّ ﺃَﻥ ﺗَﻜُﻮﻥَ ﺗِﺠَﺎﺭَﺓً ﻋَﻦ ﺗَﺮَﺍﺽٍ ﻣِّﻨﻜُﻢْ ﻭَﻻَ ﺗَﻘْﺘُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻧﻔُﺴَﻜُﻢْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻛَﺎﻥَ ﺑِﻜُﻢْ ﺭَﺣِﻴﻤًﺎ

তরজমাঃ-হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু। (সূরা নিসা(২৯)

এবং হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত,

عن ابن عباس قال;قال رسول اللّٰه صلى اللّٰه عليه و سلم ﻻ ﻳﺤﻞ ﻣﺎﻝ ﺍﻣﺮﺉ ﻣﺴﻠﻢ ﺇﻻ ﺑﻄﻴﺐ ﻧﻔﺲ ﻣﻨﻪ " 

নবী কারীম সাঃ বলেনঃ"কোন মুসলমানের জন্য  অন্য কোনো মুসলমানের মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত হালাল হবে না। (তালখিসুল হাবীর-১২৪৯)আরো জানুন- https://www.ifatwa.info/1382

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

জোরপূর্বক টাকা নেয়ার পর জোর করে হালাল বলানোর দ্বারা ঐ টাকা হালাল হবে না। এবং এটা বলার দরুণ ঈমানেও কোনো সমস্যা হবে না।