আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
96 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)
edited by
আমার ২০১৬থেকে হাত ব্যাথা যা ডাক্তারি চিকিৎসা করে লাভ হয়নি। এজন্য আমরা বিভিন্ন কবিরাজের কাছে গিয়েছিলাম, কিন্তু তাবিজ ব্যাবহার শিরক এজন্য কখনো কারো কাছ থেকে তাবিজ নেই নি। তাবিজ ব্যাবহার করতে বললে আমরা সেই কবিরাজের চিকিৎসা বন্ধ করে দিয়েছি। প্রত্যেকবার চিকিৎসার পরেই আমার শরীরের অবস্থা আরো বেশি খারাপ হতে থাকে। শুরুতে শুধু হাত ব্যাথা থাকলেও এখন মাথা আর ঘাড় ব্যাথা করে, শরীরে মনে হয় সুইয়ের গুতা দিচ্ছে কেউ, আমার হার্টে সমস্যাটা বেশি হয় এখন, রাতে অস্বস্তি লাগে, রাগারাগি করি বেশি, কথা বলি বেশি। এখন আমি একজন মাদ্রাসার হুজুর দেখিয়েছি। তিনি আমাকে পানি দেয় মিশিয়ে গোসল করতে, চুলে জট বেশি দেখে তিনি চুলের জন্য আলাদা পানি দেয়, মধুর সাথে ঔষুধ মিশিয়ে দেয় সেটা খেতে, খাওয়ার জন্য পানি দেয়, মাল্টার সাথে ঔষধ মিশিয়ে দেয় প্রত্যেকদিন নির্দিষ্ট পরিমাণে খাওয়ার জন্য, তারপর আবার পানি দেয় সাথে খেতে। কয়েক মাসেও বিশেষ উপকার না পাওয়ায় তিনি বলতেছে ধাতুর একটা বস্তু দিবে এবং আগের জিনিসগুলোর মধ্যেও কিছু দিয়ে চিকিৎসা করবে। রূপার তৈরি বস্তু, এটা পাইপের মুখের মত ৮/১০টা একসাথে লাগানো থাকবে, ঘরে নির্দিষ্ট জায়গায় রাখতে হবে, এটার নির্দিষ্ট মেয়াদ আছে, তারপর চেঞ্জ করতে হবে, এটা নিজে নিজেই গায়েব হয়ে যাবে কাজ শেষে। এখন এই বস্তুটা কি তাবিজের মত শিরকের পর্যায়ে যায়? আমি একজন আলেমের কাছে বক্তব্যে শুনেছি এটা ব্যাবহার করাও শিরক এবং হারাম। কিন্তু আমার চিকিৎসা যেই হুজুর করতেছেন তিনি বলছেন এটা তাবিজের মত না। আমি সঠিকটা জানতে চাই

২. জ্বীনের সমস্যার ক্ষেত্রে কি এমন কারো চিকিৎসা নেয়া যাবে যার আক্বীদা ঠিক নাই? সে বড় পির আব্দুল কাদের জিলানীর উপর বিশ্বাস রাখে যে তিনি এখনো পৃথিবীতে আছে, আমাদের দেখে। সে মনে মনে ওমরাহ পালন করেছে বলে দাবি করে।

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আল্লাহ সবকিছুর খালিক ও মালিক,জগতের সব কিছু উনার হুকুমেই সংগঠিত হয়,তাবিজ বা ঔষধের অদ্য কোনো ক্ষমতা নেই। এমন আক্বিদা পোষণ করে জায়েয ও বৈধ কালামের মাধ্যমে চিকিৎসা হিসেবে ঝাড়-ফুক ও তাবিজ ব্যবহার বৈধ আছে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/226

সুতরাং আকিদা বিশুদ্ধ তথা শে'ফা দানকারী একমাত্র আল্লাহ তা'আলা এমন আকিদা বিশ্বাস রেখে ধাতু ইত্যাদি দ্বারা তাবিজ ব্যবহার করা যাবে।

নিম্নোক্ত হাদীসে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযি নিজ নাবালিগ সন্তাদিকে তাবিজ লঠকিয়ে দিতেন বলে প্রমাণ পাওয়া যায়-
আমর ইবনে শুয়াইব তার সনদে বর্ণনা করেন,
ﻋﻦ ﻋَﻤْﺮِﻭ ﺑْﻦِ ﺷُﻌَﻴْﺐٍ ، ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻴﻪِ ، ﻋَﻦْ ﺟَﺪِّﻩِ ، ﺃَﻥَّ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ، ﻗَﺎﻝَ : ( ﺇِﺫَﺍ ﻓَﺰِﻉَ ﺃَﺣَﺪُﻛُﻢْ ﻓِﻲ ﺍﻟﻨَّﻮْﻡِ ﻓَﻠْﻴَﻘُﻞْ : ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻜَﻠِﻤَﺎﺕِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟﺘَّﺎﻣَّﺎﺕِ ﻣِﻦْ ﻏَﻀَﺒِﻪِ ﻭَﻋِﻘَﺎﺑِﻪِ ﻭَﺷَﺮِّ ﻋِﺒَﺎﺩِﻩِ ، ﻭَﻣِﻦْ ﻫَﻤَﺰَﺍﺕِ ﺍﻟﺸَّﻴَﺎﻃِﻴﻦِ ﻭَﺃَﻥْ ﻳَﺤْﻀُﺮُﻭﻥِ ﻓَﺈِﻧَّﻬَﺎ ﻟَﻦْ ﺗَﻀُﺮَّﻩُ ) . . ﻓَﻜَﺎﻥَ ﻋَﺒْﺪُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺑْﻦُ ﻋَﻤْﺮٍﻭ ، ﻳُﻠَﻘِّﻨُﻬَﺎ ﻣَﻦْ ﺑَﻠَﻎَ ﻣِﻦْ ﻭَﻟَﺪِﻩِ ، ﻭَﻣَﻦْ ﻟَﻢْ ﻳَﺒْﻠُﻎْ ﻣِﻨْﻬُﻢْ ﻛَﺘَﺒَﻬَﺎ ﻓِﻲ ﺻَﻚٍّ ﺛُﻢَّ ﻋَﻠَّﻘَﻬَﺎ ﻓِﻲ ﻋُﻨُﻘِﻪِ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন, যখন তোমাদের মধ্যে কেউ ঘুমে ভয় পায়, তখন সে যেন পড়ে-  'আউযু বিকালিমা-তিল্লাহিত-তাম্মাতি মিন গাদাবিহি ওয়া ই'ক্বাবিহি ওয়া শাররি ইবাদিহি ওয়া মিন হামাযাতিশ-শায়াতিনি,ওয়া আইয়াহদুরুন'  এই দু'আ পড়লে শয়তান কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযি, তার সাবালক সন্তানাদিকে তা শিক্ষা দিতেন।এবং নাবালক সন্তাদির গলায় উক্ত দু'আ তাবিজ আকারে লিখে ঝুলিয়ে দিতেন।(মিশকাতুল মাসাবিহ-২৪৭৭)

তবে আক্বিদা বিশুদ্ধ না থাকলে,এসব ধাতু দ্বারা তাবিজ ব্যবহার বৈধ হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...