ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
উমর (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে যে,
عَنْ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ رَأَى صَاحِبَ بَلاَءٍ فَقَالَ الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي عَافَانِي مِمَّا ابْتَلاَكَ بِهِ وَفَضَّلَنِي عَلَى كَثِيرٍ مِمَّنْ خَلَقَ تَفْضِيلاً إِلاَّ عُوفِيَ مِنْ ذَلِكَ الْبَلاَءِ كَائِنًا مَا كَانَ مَا عَاشَ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ . وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ . وَعَمْرُو بْنُ دِينَارٍ قَهْرَمَانُ آلِ الزُّبَيْرِ هُوَ شَيْخٌ بَصْرِيٌ وَلَيْسَ هُوَ بِالْقَوِيِّ فِي الْحَدِيثِ . وَقَدْ تَفَرَّدَ بِأَحَادِيثَ عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ . وَقَدْ رُوِيَ عَنْ أَبِي جَعْفَرٍ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ أَنَّهُ قَالَ إِذَا رَأَى صَاحِبَ بَلاَءٍ فَتَعَوَّذَ مِنْهُ يَقُولُ ذَلِكَ فِي نَفْسِهِ وَلاَ يُسْمِعُ صَاحِبَ الْبَلاَءِ .
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে লোক কোন বিপদগ্রস্ত লোককে প্রত্যক্ষ করে বলে, “সকল প্রশংসা আল্লাহ তা’আলার জন্য, তিনি যে বিপদে তোমাকে জড়িত করেছেন তা হতে আমাকে হিফাযাতে রেখেছেন এবং তার অসংখ্য সৃষ্টির উপর আমাকে সম্মান দান করেছেন", সে তার মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত উক্ত অনিষ্ট হতে হিফাযাতে থাকবে। তা যে কোন বিপদই হোক না কেন।
হাসানঃ ইবনু মাজাহ (হাঃ ৩৮৯২)।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব। এ অনুচ্ছেদে আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। যুবাইর (রাযিঃ)-পরিবারের কোষাধ্যক্ষ আমর ইবনু দীনার বসরার অধিবাসী শাইখ (হাদীসবেত্তা), কিন্তু তিনি হাদীস শাস্ত্রে তেমন মজবুত নন। তিনি এককভাবে সালিম ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাযিঃ) হতে কিছু হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন। আবূ জাফার মুহাম্মাদ ইবনু আলী (রাহঃ) হতেও বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, যখন কেউ কোন বিপদগ্রস্ত লোক প্রত্যক্ষ করবে তখন সে মনে মনে তা হতে আল্লাহ তা’আলার নিকটে আশ্রয় চাইবে, যেন বিপদগ্ৰস্ত লোকটি তা শুনতে না পায়।(তিরমিযি-৩৪৩১)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কেউ সিগারেট খায় কেউ নামাজ পড়ে না বা যেকোনো দুনিয়াবী সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছে, তাদের দেখেও উক্ত দুআ পড়া যাবে। তবে হাদীসটিতে মূলত জটিল অসুস্থতার কথা আলোচিত হয়েছে।