আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
241 views
in পবিত্রতা (Purity) by (12 points)
আসসালামু আলাইকুম।
১/ ৬৩৮৩১ নং ফাতওয়ার ১ নং প্রশ্নের উত্তরের প্রেক্ষিতে জানতে চাই, উক্ত সুরতে মাছ ওভাবে সংরক্ষিত করলে মাছের দেহের মাংসের সাথে নাজাসাতে খফীফা পানি মিক্স হয়ে যাবার সম্ভাবনা আছে কি? সেক্ষেত্রে নাপাকি চলে গিয়েছে এটা নিশ্চিত কীভাবে হবো?
বিঃদ্রঃ রান্না করার আগে  পাক পানি দিয়ে বেশিক্ষণ ধোয়ার কারণে মাছ ছিড়ে ছিড়েও যায়।

২/ ৬৩৮৩১ নং ফাতওয়ার ৫ নং উত্তরের ক্ষেত্রে কমেন্টে জানতে চেয়েছি - হাউজের পানি সবটুকু ফেলে দিলেই কি হাউজ পাক ধরা হবে? নতুন করে পবিত্র পানি দিয়ে হাউজের দেয়ালসহ চারপাশে প্রবাহিত করার প্রয়োজন আছে কি?

৩/ হাড়ি পাতিল, থালা-বাসন, সেন্ডেল ও কাপড় শোকানোর দড়িতে নাপাকী লাগলে তা পবিত্র করার নিয়ম কী?

৪/ নাপাকী লাগা কাপড় শোকানোর দড়ি শুকিয়ে যাবার মাধ্যমে কি পাক হয়ে যায়?

৫/ প্লাস্টিকের বালতিতে যেমন -RFL, নাপাক পানি লাগলে সেই বালতি শুকিয়ে যাবার মাধ্যমে কি পাক হয়?

1 Answer

0 votes
by (559,530 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
প্রশ্নের বিবরণ মতে মাছের দেহের মাংসের সাথে নাজাসাতে খফীফা পানি মিক্স হয়ে যাবার সামান্য হলেও সম্ভাবনা আছে।

তাই উল্লেখিত ফতোয়াতে মাছ ভালোভাবে ধোয়ার কথা বলা হয়েছে।

(০২)
হাউজের পানি সব ফেলে দিয়ে নতুন করে পানি  হাউজের চারপাশ ও দেয়ালে প্রবাহিত করে সেটিও ফেলে দিবেন।
তারপর হাউজ পাক হবে।

ফাতাওয়ায়ে আলমগীরীতে আছেঃ-

”فتاوی ہندیہ“: حوض صغیر تنجّس ماوٴہ فدخل الماء الطّاہر فیہ من جانب وسال ماء الحوض من جانب آخر کان الفقیہ أبوجعفر یقول: کما سال ماء الحوض من الجانب الآخر یحکم بطہارة الحوض الخ (۱/۱۷، الفصل الأول فیما یجوز بہ التوضوٴ، زکریا) وانظر ”أحسن الفتاوی“: ۱/۵۱، ط: زکریا)
সারমর্মঃ-
ছোট হাউজের পানি নাপাক হয়ে গেলে, তার মধ্যে একদিকে থেকে পাক পানি প্রবেশ করিয়ে প্রবাহিত করে অপর দিক দিয়ে তাহা বের হয়ে গেলে সেটির উপর পবিত্রতার হুকুম লাগানো হবে।

(০৩)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

أَخْبَرَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ، قَالَ أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مَيْمُونٍ الْجَزَرِيِّ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كُنْتُ أَغْسِلُ الْجَنَابَةَ مِنْ ثَوْبِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَيَخْرُجُ إِلَى الصَّلاَةِ وَإِنَّ بُقَعَ الْمَاءِ لَفِي ثَوْبِهِ .

সুওয়ায়াদ ইবনু নাসর (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ)থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাপড় হতে জানাবাতের নাপাকী ধুইতাম, তারপর তিনি সালাতের জন্য বের হতেন অথচ পানির চিহ্ন তাঁর কাপড়ে বিদ্যমান থাকত।

সহিহ, নাসায়ী ২৯৬. ইবনু মাজাহ হাঃ ৫৩৬, বুখারি হাঃ ২২৯, মুসলিম (ইসলামিক সেন্টার) হাঃ ৫৭৯, ৫৮০

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
হাড়ি পাতিল, থালা-বাসন, সেন্ডেল-এ নাপাকি লাগলে তাহা ভালোভাবে ধোয়ার দ্বারা নাপাকি চলে যাওয়ার উপর প্রবল ধারনা হলেই পাক হয়ে যাবে।
তারপর তাহা শুকানোর প্রয়োজন নেই।
পাক হয়ে যাবে।

এখানে তিনবার ধোয়া আবশ্যক নয়,ভালোভাবে ধোয়ার পর নাপাকি চলে যাওয়ার উপর প্রবল ধারনা হলেই পাক হয়ে যাবে।
চাই একবার একবার ধোয়া হোক,বা তার চেয়ে বেশিবার।

★কাপড় শোকানোর দড়িতে নাপাকী লাগলে তা পবিত্র করার নিয়ম হলো,এটি তিনবার ধোয়া লাগবে।
ও প্রত্যেকবার নিংড়িয়ে নিতে হবে। 

(০৪)
শুকিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে পাক হয়না।
উপরোক্ত নিয়মেই পাক করতে হবে।

তবে দড়ি শুকিয়ে যাওয়ার পর সেটি পাক না করেই তাতে আপনার পাক কাপড় ভালোভাবে চিপে পানি বের করে দিয়ে সেখানে নাড়িয়ে দিলে,এক্ষেত্রে আপনার পাক ভেজা কাপড়ের পানি দিয়ে দড়ি (চিপলে পানির ফোটা বের হবে,এমনভাবে) ভিজে না গেলে আপনার সেই পাক কাপড় নাপাক হবেনা।

(০৫)
না,এভাবে সেটি পাক হবেনা।

উক্ত বালতি ভালোভাবে ধোয়ার দ্বারা নাপাকি চলে যাওয়ার উপর প্রবল ধারনা হলেই পাক হয়ে যাবে।
তারপর তাহা শুকানোর প্রয়োজন নেই।
পাক হয়ে যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...