আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
353 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (28 points)
edited by

আসসালামু আলাইকুম হুজুর 

১. হুজুর তালাক জাতীয় বা যে কোনো মাসয়ালা যদি আমি ৪ জন মুফতি সাহেবের থেকে নেই, তাদের মধ্য থেকে ২ জন এক মত দিলেন এবং বাকি ২ জন ভিন্ন মত দিলেন। আমি যদি যে কোনো একটি মাসয়ালা গ্রহণ করি সমস্যা হবে?
(এক্ষেত্রে আমি সহজটিও নিতে পারি। কারণ আমার মতে, একাধিক আলেম দলিলের ভিত্তিতে মাসয়ালা দিয়েছেন)

২. হুজুর তালাক জাতীয় বা যে কোনো মাসয়ালা যদি আমি ৫ জন মুফতি সাহেবের থেকে নেই, তাদের মধ্য থেকে ২ জন এক মত দিলেন এবং বাকি ৩ জন ভিন্ন মত দিলেন। আমি যদি ২ জনের দেওয়া মাসয়ালা গ্রহণ করি, সমস্যা হবে?
( আমি সহজটিও গ্রহণ করতে পারি। কারণ আমার মতে, একাধিক আলেম দলিলের ভিত্তিতে মাসয়ালা দিয়েছেন)

৩. হুজুর তালাক জাতীয় বা যে কোনো মাসয়ালা যদি আমি ৫ জন মুফতি সাহেবের থেকে নেই, তাদের মধ্য থেকে ২ জন এক মত দিলেন এবং বাকি ৩ জন ভিন্ন মত দিলেন। আমি যদি ৩ জনের দেওয়া মাসয়ালা গ্রহণ করি, সমস্যা হবে?
( আমি সহজটিও নিতে পারি। কারণ আমার মতে, একাধিক আলেম দলিলের ভিত্তিতে মাসয়ালা দিয়েছেন)

৪. হুজুর তালাক জাতীয় বা যে কোনো মাসয়ালা যদি আমি ৩ জন মুফতি সাহেবের থেকে নেই, তাদের মধ্য থেকে ২ জন এক মত দিলেন এবং বাকি ১ জন ভিন্ন মত দিলেন। আমি যদি ১ জনের দেওয়া মাসয়ালা গ্রহণ করি, সমস্যা হবে?
( আমি সহজটিও নিতে পারি। কারণ আমার মতে, দলিলের ভিত্তিতে মাসয়ালা দিয়েছেন)

৫. আমি এর আগে ১, ২, ৩ ফলো করেছি। করণীয় কি?

৬. ঠোঁট ফাঁক রেখে,  মুখ নাড়ার সময় বা অন্য কথা বলার সময়  মনে মনে কথা বললে সেসব মনে মনে কথা বলা হিসেবে ধরা হবে কি?
যেমনঃ এসব এময়ে- তালাকের শর্ত বা তালাক দেওয়া হলো বা তালাকের অধিকার দেওয়া নেওয়া হলো বা খোলা তালাকের বিষয়ে বা অন্য যেকোনো বিষয়ে।

৭. হুজুর আমার ছেলের নাম আব্দুল্লাহ আরিজ ইফাদ।
ওর ২ হাত আর আমার ১ হাত দিয়ে খেলছিলাম। এই ৩ হাত।
বিষয়টি এমনঃ ১ম হাতকে বলছিলাম আব্দুল্লাহ, ২য় হাতকে বলছিলাম আরিজ,৩য় হাতকে বলছিলাম ইফাদ।
আমার হাতকে বললাম, আব্দুল্লাহ। আসলে ইচ্ছা করে বলেছি কিনা জানি না।
1. সমস্যা হবে?
2. ইচ্ছা করে বললে সমস্যা হত?

৮. হুজুর আমি হানাফি মাজহাবের। ওলি উল্লাহ হুজুর এবং ইমদাদ হুজুর কোন মাজহাবের?

৯. আমার স্ত্রীকে মাঝে মাঝে বলি, "জোরে কথা বললে মানুষ শোনে, বোঝো না?"
বা রাগ দেখিয়ে বলি,"মানুষকে শোনাও আরও" (মানে ও যেন আস্তে কথা বলে সে জন্য বলি)
আমার মনে হয় যে, এসব বললে কোনো সমস্যা হয় কিনা আবার। মানে হুরমত বা সম্পর্কে সমস্যা হয় যদি। অনেক সময় এসব মনে হওয়ার পরেও যদি বলে ফেলি সমস্যা হবে? যা যদি অতীতে বলে থাকি সমস্যা হবে?

১০.  ৯ নং ওয়াসওয়াসাগ্রস্ত ব্যক্তির ক্ষেত্রে হলে সমস্যা হবে?

১১. (জমি বন্ধকঃ আমার জমি আপনার কাছে রাখব। বিনিময়ে টাকা নিব। সেই টাকা খরচ করব। আপনি আমার জমি ভোগ করবেন। আমার টাকা হলে আপনাকে টাকা ফিরিয়ে দিয়ে জমি ফেরত নিব। মূলত যারা জমি বন্ধক রাখে তারা টাকা পাবার জন্য রাখে, আর যারা বন্ধক নেয় তারা আবাদ করার জন্য নেয়)

এভাবে জমি বন্ধক রেখে টাকা নেওয়া জায়েজ আছে?

 

১২. হুজুর তালাক জাতীয় মাসয়ালা নেওয়ার পরে যদি আরও কিছু কথা মনে পড়ে যায়, সেই কথাগুলো পুণরায় বলে মাসয়ালা নেওয়া যাবে?

 

১৩. কেউ যদি হারাম টাকা দিয়ে হালাল ব্যবসা করে তবে তার উপহার নেওয়া যাবে কি?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৬১,সহীহ মুসলিম-১২৭)

তালাকের ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/835

ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1379

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) কোনো মাসয়ালা যদি কেউ ৪ জন মুফতি সাহেবকে জিজ্ঞাসা করে, তাদের মধ্য থেকে ২ জন একরকম মতামত দেয় এবং বাকি ২ জন ভিন্ন মতামত দেয়, তাহলে এক্ষেত্রে আপনার নিকট যেই আলেমকে গ্রহণযোগ্য হবে, তার মতামতকেই গ্রহণ করবেন।চায় উক্ত মতামতটা আপনার কঠিনই হোক না কেন!

(২)
এক্ষেত্রেও আপনার নিকট যেই আলেমকে গ্রহণযোগ্য হবে, তার মতামতকেই গ্রহণ করবেন।চায় উক্ত মতামতটা আপনার কঠিনই হোক না কেন!

(৩)
এক্ষেত্রেও আপনার নিকট যেই আলেমকে গ্রহণযোগ্য হবে, তার মতামতকেই গ্রহণ করবেন।চায় উক্ত মতামতটা আপনার কঠিনই হোক না কেন!

(৪)
এক্ষেত্রে আপনার নিকট যেই আলেমকে গ্রহণযোগ্য হবে, তার মতামতকেই গ্রহণ করবেন।চায় উক্ত মতামতটা আপনার কঠিনই হোক না কেন!

(৫) এভাবে পরীক্ষামূলক ভিন্ন ভিন্ন মুফতিকে একই মাস'আলা জিজ্ঞাসা করার কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই। বরং আপনার নিকট যাকে ভালো ও গ্রহণযোগ্য মনে করবেন, শুধুমাত্র তাকেই আপনি মাস'আলা জিজ্ঞাসা করবেন।

(৬) ঠোঁট ফাঁক রেখে, মুখ নাড়ার সময় বা অন্য কথা বলার সময়  মনে মনে কথা বললে সেসব মনে মনে কথা বলা হিসেবে ধরা হবে।
এসব সময়ে- তালাকের শর্ত বা তালাক দেওয়া হলো বা তালাকের অধিকার দেওয়া নেওয়া হলো বা খোলা তালাকের বিষয়ে বা অন্য যেকোনো বিষয়ে। তাহলে এদ্বারা কিছুই হবে না।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1379

(৭)
প্রশ্নের বিবরণমতে কোনো সমস্যাই হবে না।

(৮)  ওলি উল্লাহ হুজুর এবং ইমদাদ হুজুর কোন মাজহাবের উভয়ই হানাফি মাযহাবের।

(৯)
এদ্বারা কোনো সমস্যা হবে না।

(১০)  ৯ নং ওয়াসওয়াসাগ্রস্ত ব্যক্তির ক্ষেত্রে হলে সমস্যা হবে না।

(১১)
জমি বন্ধক সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/4958

(১২) তালাক জাতীয় মাসয়ালা নেওয়ার পরে যদি আরও কিছু কথা মনে পড়ে যায়, সেই কথাগুলো পুণরায় বললে এতে কোনো সমস্যা হবে না।
 
(১৩) কেউ যদি হারাম টাকা দিয়ে হালাল ব্যবসা করে তবে তার উপহার নেওয়া যাবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।
by (597,330 points)
বাকী প্রশ্নগুলো নতুনকরে করুন।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...