আসসালামু আলাইকুম হুজুর
১. হুজুর তালাক জাতীয় বা যে কোনো মাসয়ালা যদি আমি ৪ জন মুফতি সাহেবের থেকে নেই, তাদের মধ্য থেকে ২ জন এক মত দিলেন এবং বাকি ২ জন ভিন্ন মত দিলেন। আমি যদি যে কোনো একটি মাসয়ালা গ্রহণ করি সমস্যা হবে?
(এক্ষেত্রে আমি সহজটিও নিতে পারি। কারণ আমার মতে, একাধিক আলেম দলিলের ভিত্তিতে মাসয়ালা দিয়েছেন)
২. হুজুর তালাক জাতীয় বা যে কোনো মাসয়ালা যদি আমি ৫ জন মুফতি সাহেবের থেকে নেই, তাদের মধ্য থেকে ২ জন এক মত দিলেন এবং বাকি ৩ জন ভিন্ন মত দিলেন। আমি যদি ২ জনের দেওয়া মাসয়ালা গ্রহণ করি, সমস্যা হবে?
( আমি সহজটিও গ্রহণ করতে পারি। কারণ আমার মতে, একাধিক আলেম দলিলের ভিত্তিতে মাসয়ালা দিয়েছেন)
৩. হুজুর তালাক জাতীয় বা যে কোনো মাসয়ালা যদি আমি ৫ জন মুফতি সাহেবের থেকে নেই, তাদের মধ্য থেকে ২ জন এক মত দিলেন এবং বাকি ৩ জন ভিন্ন মত দিলেন। আমি যদি ৩ জনের দেওয়া মাসয়ালা গ্রহণ করি, সমস্যা হবে?
( আমি সহজটিও নিতে পারি। কারণ আমার মতে, একাধিক আলেম দলিলের ভিত্তিতে মাসয়ালা দিয়েছেন)
৪. হুজুর তালাক জাতীয় বা যে কোনো মাসয়ালা যদি আমি ৩ জন মুফতি সাহেবের থেকে নেই, তাদের মধ্য থেকে ২ জন এক মত দিলেন এবং বাকি ১ জন ভিন্ন মত দিলেন। আমি যদি ১ জনের দেওয়া মাসয়ালা গ্রহণ করি, সমস্যা হবে?
( আমি সহজটিও নিতে পারি। কারণ আমার মতে, দলিলের ভিত্তিতে মাসয়ালা দিয়েছেন)
৫. আমি এর আগে ১, ২, ৩ ফলো করেছি। করণীয় কি?
৬. ঠোঁট ফাঁক রেখে, মুখ নাড়ার সময় বা অন্য কথা বলার সময় মনে মনে কথা বললে সেসব মনে মনে কথা বলা হিসেবে ধরা হবে কি?
যেমনঃ এসব এময়ে- তালাকের শর্ত বা তালাক দেওয়া হলো বা তালাকের অধিকার দেওয়া নেওয়া হলো বা খোলা তালাকের বিষয়ে বা অন্য যেকোনো বিষয়ে।
৭. হুজুর আমার ছেলের নাম আব্দুল্লাহ আরিজ ইফাদ।
ওর ২ হাত আর আমার ১ হাত দিয়ে খেলছিলাম। এই ৩ হাত।
বিষয়টি এমনঃ ১ম হাতকে বলছিলাম আব্দুল্লাহ, ২য় হাতকে বলছিলাম আরিজ,৩য় হাতকে বলছিলাম ইফাদ।
আমার হাতকে বললাম, আব্দুল্লাহ। আসলে ইচ্ছা করে বলেছি কিনা জানি না।
1. সমস্যা হবে?
2. ইচ্ছা করে বললে সমস্যা হত?
৮. হুজুর আমি হানাফি মাজহাবের। ওলি উল্লাহ হুজুর এবং ইমদাদ হুজুর কোন মাজহাবের?
৯. আমার স্ত্রীকে মাঝে মাঝে বলি, "জোরে কথা বললে মানুষ শোনে, বোঝো না?"
বা রাগ দেখিয়ে বলি,"মানুষকে শোনাও আরও" (মানে ও যেন আস্তে কথা বলে সে জন্য বলি)
আমার মনে হয় যে, এসব বললে কোনো সমস্যা হয় কিনা আবার। মানে হুরমত বা সম্পর্কে সমস্যা হয় যদি। অনেক সময় এসব মনে হওয়ার পরেও যদি বলে ফেলি সমস্যা হবে? যা যদি অতীতে বলে থাকি সমস্যা হবে?
১০. ৯ নং ওয়াসওয়াসাগ্রস্ত ব্যক্তির ক্ষেত্রে হলে সমস্যা হবে?
১১. (জমি বন্ধকঃ আমার জমি আপনার কাছে রাখব। বিনিময়ে টাকা নিব। সেই টাকা খরচ করব। আপনি আমার জমি ভোগ করবেন। আমার টাকা হলে আপনাকে টাকা ফিরিয়ে দিয়ে জমি ফেরত নিব। মূলত যারা জমি বন্ধক রাখে তারা টাকা পাবার জন্য রাখে, আর যারা বন্ধক নেয় তারা আবাদ করার জন্য নেয়)
এভাবে জমি বন্ধক রেখে টাকা নেওয়া জায়েজ আছে?
১২. হুজুর তালাক জাতীয় মাসয়ালা নেওয়ার পরে যদি আরও কিছু কথা মনে পড়ে যায়, সেই কথাগুলো পুণরায় বলে মাসয়ালা নেওয়া যাবে?
১৩. কেউ যদি হারাম টাকা দিয়ে হালাল ব্যবসা করে তবে তার উপহার নেওয়া যাবে কি?