بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
ঋতুবর্তী ও প্রসূতি নারীর জন্য গোসল
করে হজের ইহরাম বাঁধা জায়েজ। হানাফি ও শাফেয়ি মাজহাবসহ অধিকাংশ আলেমের মতে, রক্তস্রাব ও প্রসূতি মহিলাদের ইহরাম বাঁধার আগে গোসল করা মুস্তাহাব।
গোসল করা সম্ভব না হলে বা অসুবিধা বোধ করলে অজু করবে। এ প্রসঙ্গে হাদিসে এসেছে-হজরত
আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত তিনি বলেন,
আসমা বিনতে উমায়স রাদিয়াল্লাহু
আনহা জুলহুলায়ফা নামক স্থানে আবু বকরের পুত্র মুহাম্মাদকে প্রসব করলেন। রাসুলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আবু বকরের মাধ্যমে তাকে গোসল করে ইহরাম বাঁধার নির্দেশ
দিলেন। (মুসলিম) ঋতুবর্তী ও প্রসূতিকালীন সময়ে মহিলার বাইতুল্লাহ তাওয়াফ ব্যতিত হজের
সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবে।মহিলাদের ঋতুস্রাব ও প্রসূতিকালীন সময় শেষ হলে পবিত্র
হয়ে বাইতুল্লায় তওয়াফ আদায় করে নিবে। তবে হজ পালনের জন্য মহিলারা ওষুধের মাধ্যমে মাসিক
ঋতুস্রাব বন্ধ রেখেও হজের কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবেন।
★হায়েজ অবস্থায় শুধু তাওয়াফে
যিয়ারত করা নিষিদ্ধ। বাকি হজ্বের সকল কাজ হায়েজ অবস্থায় করা যাবে। যেমন উকুফে আরাফা, উকুফে মুযদাদলিফা, সা’য়ী, পাথর নিক্ষেপ ইত্যাদি।
হায়েজ হলেও হজ্ব ভঙ্গ করবে না। বরং
তাওয়াফে যিয়ারাত ছাড়া বাকি কাজগুলো আদায় করবে। হায়েজ শেষ হলে তওয়াফে যিয়ারত করে নিবে।
যদি বিমান ছুটে যাবার সম্ভাবনা থাকে, বা অন্যান্য কোন সমস্যা থাকে,
তাহলে পূর্ব থেকে পিল
খেয়ে হায়েজ বন্ধ করেও হজ্ব করতে পারবে। সমস্যা নেই।
وَالْأَصْلُ
أَنَّ كُلَّ عِبَادَةٍ تُؤَدَّى لَا فِي الْمَسْجِدِ مِنْ أَحْكَامِ الْمَنَاسِكِ
فَالطَّهَارَةُ لَيْسَتْ مِنْ شَرْطِهَا كَالسَّعْيِ وَالْوُقُوفِ بِعَرَفَةَ
وَالْمُزْدَلِفَةِ وَرَمْيِ الْجِمَارِ وَنَحْوِهَا، وَكُلُّ عِبَادَةٍ فِي
الْمَسْجِدِ فَالطَّهَارَةُ مِنْ شَرْطِهَا، وَالطَّوَافُ يُؤَدَّى فِي
الْمَسْجِدِ كَذَا فِي شَرْحِ الطَّحَاوِيِّ. (الفتاوى الهندية، كتاب المناسك،
الباب الخامس فى كيفية اداء الحج-1/227)
প্রশ্নকারী প্রিয় দ্বীনী
ভাই / বোন!
হায়েজ (পিরিয়ড) অবস্থায় নারীরা শুধু
তাওয়াফ ব্যতীত হজ বা উমরার অন্য সমস্ত আরকান পালন করতে পারবেন। হায়েজ শেষ হওয়ার পর
গোসল করে তাওয়াফ করতে হবে। হায়েজের কারণে তাওয়াফ বিলম্বিত হলে কোনো গোনাহ হবে না। সুতরাং
ওষুধ-বড়ি খেয়ে হায়েজ বন্ধ রাখার কোনো প্রয়োজন নেই। এ নিয়ে দুশ্চিন্তা বা মনোক্ষুণ্ন
হওয়ারও কোনো কারণ নেই। তবে হায়েজ বন্ধ হওয়ার আগেই ফেরত ফ্লাইটের তারিখ হয়ে গেলে ওষুধ
খেয়ে হায়েজ বন্ধ করে তাওয়াফ করা যাবে। যদি শুরু থেকেই ওষুধ-বড়ি খেয়ে পিরিয়ড বন্ধ রেখে
কেউ হজের সমস্ত কাজ করেন, তাতেও শরিয়তের দৃষ্টিতে
কোনো আপত্তি নেই। (মাহমুদিয়া ১৫/৪৯১, কাদীর ২/৩৩৭ রহিমিয়া ৮/৮৭)