আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
206 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (24 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম।
শায়েখ,

(১) আমি মারাত্তকভাবে ওয়াসওয়াসার স্বীকার। সবসময় মনে একটার পর একটা সন্দেহ আসতেই থাকে। কখনো ঈমান নিয়ে আবার কখনো তালাক নিয়ে ওয়াসওয়াসা আসে। তালাকের ওয়াসওয়াসা মনে সবসময় আসতে থাকে। মনে হয় তালাক উচ্চারণ করে ফেলবো। অনেক সময় উচ্চারন না করেও মনে হয় উচ্চারন করলাম। ভয়ে সবসময় ঠোট বন্ধ করে রাখার চেষ্টা করি। ঠোট বন্ধ করে রাখি তারপরেও মনে হয় জিব্বা নাড়িয়ে তালাক বলছি। যদিও  আমি নিজের কানে স্পষ্টভাবে কিছুই শুনছি না। সারাদিন মনের ভিতর তালাক- তালাক আসতে থাকে। মাঝে মাঝে তালাকের কোন ভিডিও দেখলে আমার মনে তালাকের কল্পনা আসে। মনে হয় আমি যেন আমার Wife কে বলছি। wife ফোন দিলে সাথে সাথে মনের ভিতর তালাক শব্দ আসতে থাকে। ঠিক মত কথা বলতে পারি না। স্বাভাবিক কথা বললেও মনে হয় তালাক বলছি। আমি যে কি এক কষ্টে আছি তা বোঝাতে পারবো না শায়েখ।
এসব কারনে কি তালাক পতিত হবে শায়েখ???

(২) কিছু দেখলেই আমার মনে সেই বিষয় নিয়ে ওয়াসওয়াসা শুরু হয়। মনে হচ্ছে আমি এটা না করলে কাফের হয়ে যাবে ওটা না করলে কাফের হয়ে যাবো এমন কথা মনের ভিতর হচ্ছে। আপনাদের সাইটে কেউ একজন এমন প্রশ্ন করছিল। সেটা দেখার পর থেকে আমার মনের ভিতর এমন হচ্ছে। প্রশ্ন হলো, কোন সময় আমার মনে যদি ওই কাজটা না করলে কাফের হয়ে যাবে এমন কোন কথা মনে আসার পর আমি যদি তা না করি তাহলে কি আমি সত্যিই কাফের হয়ে যাবো???

1 Answer

0 votes
by (573,960 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
শরীয়তের বিধান হলো, মুখে উচ্চারণ না করে শুধু মনে মনে তালাক দিলে তাহা পতিত হবেনা।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ حَدَّثَنَا قَتَادَةُ عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفٰى عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِنَّ اللهَ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي مَا حَدَّثَتْ بِه„ أَنْفُسَهَا مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَتَكَلَّمْ
قَالَ قَتَادَةُ إِذَا طَلَّقَ فِي نَفْسِه„ فَلَيْسَ بِشَيْءٍ.

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ আল্লাহ আমার উম্মতের হৃদয়ে যে খেয়াল জাগ্রত হয় তা ক্ষমা করে দিয়েছেন, যতক্ষণ না সে তা কার্যে পরিণত করে বা মুখে উচ্চারণ করে।

ক্বাতাদাহ (রহ.) বলেনঃ মনে মনে তালাক দিলে তাতে কিছুইতালাক হবে না। [বুখারী শরীফ ৫২৬৯.২৫২৮] আধুনিক প্রকাশনী- ৪৮৮৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭৭৮)

অন্য এক হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ تَجَاوَزَ لِي عَنْ أُمَّتِي مَا وَسْوَسَتْ بِهِ صُدُورُهَا، مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَكَلَّمْ ".

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, (আমার বরকতে) আল্লাহ আমার উম্মতের অন্তরে উদিত ওয়াসওয়াসা (পাপের ভাব ও চেতনা) মাফ করে দিয়েছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত না সে তা কাজে পরিণত করে অথবা মুখে বলে। (সহীহ বুখারী ২৫২৮)

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নের বিবরণ মতে এসব কারনে তালাক পতিত হবেনা।

আপনার জন্য করনীয় জানুনঃ- 

(০২)
কোন সময় যদি আপনার মনে হয় যে যদি ঐ কাজটা না করি,তাহলে কাফের হয়ে যাবো।

এমন কোন কথা মনে আসার পর আপনি যদি তা না করেন, তাহলে আপনি সত্যিই কাফের হয়ে যাবেননা।আপন এসব বিষয় নিয়ে টেনশন মুক্ত থাকুন।

উপরের লিংকে প্রদত্ত পরামর্শ গুলি মেনে চলুন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...