জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ-
وَ لَا تَقُوۡلَنَّ لِشَایۡءٍ اِنِّیۡ فَاعِلٌ ذٰلِکَ غَدًا ﴿ۙ۲۳﴾
আর কখনই আপনি কোন বিষয়ে বলবেন না, আমি তা আগামীকাল করব।
(সুরা কাহাফ ২৩)
اِلَّاۤ اَنۡ یَّشَآءَ اللّٰہُ ۫ وَ اذۡکُرۡ رَّبَّکَ اِذَا نَسِیۡتَ وَ قُلۡ عَسٰۤی اَنۡ یَّہۡدِیَنِ رَبِّیۡ لِاَقۡرَبَ مِنۡ ہٰذَا رَشَدًا ﴿۲۴﴾
‘আল্লাহ ইচ্ছে করলে’ এ কথা না বলে আর যদি ভুলে যান তবে আপনার রবকে স্মরণ করবেন এবং বলবেন, সম্ভবত আমার রব আমাকে এটার চেয়ে সত্যের কাছাকাছি পথ নির্দেশ করবেন।
(সুরা কাহাফ ২৪)
এখানে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তার উম্মতকে শিক্ষা দেয়া হয়েছে যে, ভবিষ্যতকালে কোন কাজ করার ওয়াদা বা স্বীকারোক্তি করলে এর সাথে “ইনশাআল্লাহ” বাক্যটি যুক্ত করতে হবে। কেননা, ভবিষ্যতে জীবিত থাকবে কিনা তা কারো জানা নেই। জীবিত থাকলেও কাজটি করতে পারবে কিনা, তারও নিশ্চয়তা নেই। কাজেই মুমিনের উচিত মনে মনে এবং মুখে স্বীকারোক্তির মাধ্যমে আল্লাহর উপর ভরসা করা। ভবিষ্যতে কোন কাজ করার কথা বললে এভাবে বলা দরকারঃ যদি আল্লাহ চান, তবে আমি এ কাজটি আগামী কাল করব। ইনশাআল্লাহ বাক্যের অর্থ তাই।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ “সুলাইমান ইবনে দাউদ ‘আলাইহিমোস সালাম বললেনঃ আমি আজ রাতে আমার সত্তর জন স্ত্রীর উপর উপগত হব। কোন কোন বর্ণনায় এসেছে- নব্বই জন স্ত্রীর উপগত হব, তাদের প্রত্যেকেই একটি ছেলে সন্তান জন্ম দেবে যারা আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করবে। তখন তাকে ফিরিশতা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বললেন যে, বলুনঃ ইনশাআল্লাহ। কিন্তু তিনি বললেন না। ফলে তিনি সমস্ত স্ত্রীর উপর উপনীত হলেও তাদের কেউই কোন সন্তান জন্ম দিল না। শুধু একজন স্ত্রী একটি অপরিণত সন্তান প্রসব করল। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ যার হাতে আমার প্রাণ, সে যদি বলত ইনশাআল্লাহ, তবে অবশ্যই তার ওয়াদা ভঙ্গ হত না। আর তা তার ওয়াদা পূর্ণতায় সহযোগী হত’৷ [বুখারীঃ ৩৪২৪, ৫২৪২,৬৬৩৯, ৭৪৬৯, মুসলিমঃ ১৬৫৪, আহমাদঃ ২/২২৯, ৫০৬]
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
একটি মূলনীতি হলো আরবী ভাষাকে অন্য ভাষায় লেখা অনেকটাই কঠিন কাজ।
অনেক সময় অসবম্ভবও বটে।
অনেক ছুরতেই প্রশ্নও উঠে।
এই ان شاء الله বাংলায় লেখার ক্ষেত্রে অনেকেই অনেক ভাবে লিখে।
শা এর মদ (টান) আছে,আল্লাহ শব্দের আলিফ ঠিক ভাবে উচ্চারন করতে হবে।
আল্লাহ শব্দ পুর করে পড়তে হবে।
সব মিললিয়ে বাংলায় এটা লেখা অনেকটাই মুশকিল।
তাই এখানে মূল বিষয় হলো মুখে উচ্চারণ করা জানতে হবে,লেখা মূল নয়।
তবে যথাসম্ভব যেটা সঠিকতার কাছাকাছি হয়,সেইভাবেই লেখা উত্তম।
আর তা এভাবে লেখা:
– ইনশাআল্লাহ/ InshaAllah/إِنْ شَاءَ اللهُ
– অথবা ইনশা-আল্লাহ/ Insha-Allah
– অথবা “In shaa-Allaah”
এর অর্থ: “আল্লাহ যদি চান।”
কুরআন ছাড়া সাধারণ কথাবার্তায় তাজবিদের সব নিয়ম-কানুন অনুসরণীয় নয়। সুতরাং আরবিতে إِنْ شَاءَ اللهُ বাক্যটিতে তিনটি শব্দ পৃথক পৃথক লেখা হলেও বাংলা বা ইংরেজিতে সেগুলো পৃথক পৃথক লেখা আবশ্যক নয়। অনুরূপভাবে এখানে ইখফায়ে হাকীকির গুন্নাহ করাও জরুরী নয়।
তাই ইং শাআল্লাহ এভাবে গুন্নাহ সহকারে এর উচ্চারণ প্রকাশ করাও জরুরি নয়।
মাদ্দে মুত্তাসিল চার আলিফ টান সহকারে এর উচ্চারণ প্রকাশ করাও জরুরি নয়।
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ইং শা আল্লহ এবং ইং শা আল্লাহ উভয়টিই বলা ও লেখা যাবে।
উভয়টিই শুদ্ধ।
তবে এভাবে বলা বা লেখা কোনোটিই আবশ্যকীয় নয়।
আর এটিই একমাত্র সহীহ,উপরোক্ত কোনোটিই সহীহ নয়,এমন দাবী করাও ঠিক হবেনা।
আরো জানুনঃ-