আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
128 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (21 points)
আসসালামু আলাইকুম।
অমুসলিম দেশে মুসলামদের যাওয়া জায়েজ নয়। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষ এসব ভাবেন না, বর্তমানে ত বিদেশ যাওয়ার হিড়িক পরে গেছে। প্রশ্ন মূলত একটা, অমুসলিম দেশে যাওয়ার প্রক্রিয়ায় পরক্ষভাবে সাহায্য করলে এটা হালাল উপার্জন হবে কি? যেমনঃ

১. বিদেশ যেতে সহযোগী এজেন্সিতে কাজ করা কি জায়েজ?

২. বিদেশ যেতে যে ielts পরীক্ষা দিতে হয়, তা পড়ানোও কি জায়েজ?

৩. ielts প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার কি জায়েজ হবে?
যেহেতু এসব কাজের মাধ্যমে বিধর্মীর দেশে যেতে পরক্ষভাবে সহযোগীতা করা হচ্ছে তাই প্রশ্নগুলো মনে আসল।

1 Answer

0 votes
by (573,630 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


শরীয়তে গুনাহের কাজে সহযোগিতা করা জায়েজ নেই।

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَىٰ ۖ وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ [٥:٢] 

সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা। {সূরা মায়িদা-২}

শরীয়তে কাউকে ধোকা দেয়া জায়েজ নেই।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا»

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৩১৪৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬৪, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫৮৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২২২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৯০৫}

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
বিদেশ যেতে সহযোগী এজেন্সিতে কাজ করা  জায়েজ আছে।
তবে এক্ষেত্রে ধোকা মূলক কোনো কাজ করা জায়েজ নেই।
(মহিলা হলে মহিলাদের চাকুরির যে সমস্ত শর্ত আছে,তাহা মেনে চললে এ চাকরি জায়েজ হবে।
নতুবা নয়।)

(০২)
তা পড়ানোও জায়েজ আছে। 
তবে স্টুডেন্ট পুরুষ হলে মহিলাদের জন্য তাহা পড়ানো জায়েজ হবেনা।

(০৩)
ielts প্রতিষ্ঠানে চাকরি করা জায়েজ হবে।
এসব কাজের মাধ্যমে বিধর্মীর দেশে যেতে পরক্ষভাবে সহযোগীতা করা হলেও সরাসরি গুনাহের কাজে সহযোগিতা করা হচ্ছেনা।
তাই ielts প্রতিষ্ঠানে চাকরি করা জায়েজ হবে।

তবে এক্ষেত্রে ধোকা মূলক কোনো কাজ করা জায়েজ নেই।
(মহিলা হলে মহিলাদের চাকুরির যে সমস্ত শর্ত আছে,তাহা মেনে চললে এ চাকরি জায়েজ হবে।
নতুবা নয়।)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...