আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
113 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (56 points)
edited by
১.জোহরের ৪ রাকাত ফরজ নামজের ৩য় বা ২য় রাকাতে মনে সন্দেহ হয় আমি কত নম্বর রাকাত পড়তেছি।মন হলো ঠিক পড়ছি মনে হয় তাই আর একিন না করে নিজের হিসেবের উপর ভিত্তি করে পড়লাম।কিন্তু নামাজ শেষে সন্দেহ হলো আমার নামাজ হয়তো হয়নি আমি কি ৪ রাকাতই পড়লাম।তাই আবার ৪ রাকাত ফরজ নামাজ পড়েছি। কিন্তু এবারও সেম অবস্থা ৩য় রাকাতে মনে সন্দেহ হলো আমি কি ৩য় নাকি ২য় রাকাতে আছি।সন্দেহ থাকা সত্ত্বেও ৩য় রাকাত ধরে নিয়েই ৪ রাকাত পড়ে নমাজ শেষ করছি।১ রাকাত এক্সট্রা পড়েনি।সন্দেহ থাকার পরও প্রবল ধারনার উপর ভিত্তি ছাড়াই ৩ রাকাত ধরে নিয়ে নামাজ পড়াতে নামাজ হয়েছে কি??

২.মাগরিবের নামাজে শেষ বৈঠকে সালাম ফিরানোর আগে বায়ু বেগ আসলো মনে হলো বায়ু চাপিয়ে রাখতে গিয়ে পায়ুপথে কোনো শব্দ হলো এখন এটা পায়ুপথের ভিতরের দিকে নাকি বাইরের দিকে শব্দ হলো কিনা বুঝতে পারছিনা না।নামাজ হয়েছে কি??এদিকে ওয়াক্ত ও ছিলো না মনে হয় ৪০ সেকেন্ড ছিলো।

৩.প্রশাবের পর পানি খরচ করতে গিয়ে পাজামায় বদনার পানি লাগছে।এখন এটা বদনার ভিতরের পানি নাকি বদনার কান্দার পানি পাজামায় লাগছে তা নিয়ে সন্দেহ আছে।বুঝতে পারছিনা।এই পাজামা পরে কি নামাজ হবে?

৪.গোসলখানা শুপারি গাছের পাতা দিয়ে ঘেরা বাইরে থেকে আবছা দেখা যায় বা বেড়া ফাক করে দেখা যাবে কিন্তু খেয়াল না করলে হয়তো দেখা যাবেনা।আমি গোসল করার সময় একটা পুরুষ লোক গোসলখানার বেড়ার ওপাশে দাঁড়িয়ে ফোনে কথা বলছে জোরে জোরে।আমি জামা পরা ছিলাম এবং পাজামা খোলা ছিলো ঐ লোকের কথার আওয়াজ টের পাওয়ার পর তোয়ালে পরে গোসল করেছি সন্দেহ হচ্ছিল ঐ লোকটা কি আমাকক দেখছে কিনা? এবং ২ বার কথাও বলেচি গোসলখানায় আমার গোসল শেষে ঘরে এসে কাপর পাল্টেছি আর আমার গোসল শেষে হওয়ার সাথে সাথেই ঐ লোকটাও কথা শেষ করে চলে গেছে।এখন ঐ লোক আমাকে গোসল অবস্থায় উকি মেরে বা অনিচ্ছায় দেখে ফেলছে কিনা বা ইচ্ছে করে বেড়া ফাক করে দেখছে কি না সন্দেহ হচ্ছে। ওখানে গোসল করাতে এতে কি সেচ্ছায় আমার পর্দা বিধান লঙ্ঘন হয়েছে? আমার কুব খারাপ

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
জবাবঃ- 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম 


(০১)
https://ifatwa.info/62231/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ-
নামাযে রা'কাত বা সেজদা সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ হলে,যে ঐ ব্যক্তির কি এটা প্রথম হয়েছে না মাঝেমধ্যে এমন হয়।যদি প্রথমবার বা কদাচিৎ হয়ে তাহলে উনি আবার প্রথম থেকে শুরু করে নতুনভাবে পড়ে নিবেন।
(মুছান্নাফে ইবনে আবি শাইবা ২/২৮)

যে ব্যক্তির প্রায় সময় সন্দেহ হয় এবং সন্দেহ তার অভ্যাসে পরিণত হয়, ওই ব্যক্তি যেদিকে তার মন বেশি যায় (প্রবল ধারণা হয়), সেটার ওপর আমল করবে। যদি সব বিষয়ে ধারণা সমান হয়, তাহলে অপেক্ষাকৃত কম সংখ্যার ওপর আমল করবে এবং প্রত্যেক রাকাতকে নামাজের শেষ মনে করে বসবে, শেষে সিজদায়ে সাহু করবে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ أَبِي خَلَفٍ، حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ دَاوُدَ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ بِلاَلٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا شَكَّ أَحَدُكُمْ فِي صَلاَتِهِ فَلَمْ يَدْرِ كَمْ صَلَّى ثَلاَثًا أَمْ أَرْبَعًا فَلْيَطْرَحِ الشَّكَّ وَلْيَبْنِ عَلَى مَا اسْتَيْقَنَ ثُمَّ يَسْجُدُ سَجْدَتَيْنِ قَبْلَ أَنْ يُسَلِّمَ فَإِنْ كَانَ صَلَّى خَمْسًا شَفَعْنَ لَهُ صَلاَتَهُ وَإِنْ كَانَ صَلَّى إِتْمَامًا لأَرْبَعٍ كَانَتَا تَرْغِيمًا لِلشَّيْطَانِ " .

মুহাম্মাদ ইবনু আহমাদ ইবনু আবূ খালাফ (রহঃ) ..... আবূ সাঈদ আল খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তিন রাকাআত আদায় করা হলো না চার রাকাআত আদায় করা হলো- সালাতের মধ্যে তোমাদের কারো এরূপ সন্দেহ হলে সে যে কয় রাক’আত আদায় করেছে বলে নিশ্চিত হবে (তিন রাকাআত) সে কয় রাকাআতকে ভিত্তি ধরে অবশিষ্ট করণীয় করবে। এরপর সালাম ফিরানোর পূর্বে দুটি সিজদা করবে। (এখন) সে যদি পাঁচ রাকাআত আদায় করে থাকে তাহলে এ দু' সিজদা দ্বারা তার সালাতের জোড়া পূর্ণ হয়ে যাবে। আর যদি তার সালাত চার রাকাআত হয়ে থাকে তাহলে (এই) সিজদা দুটি শয়তানের মুখে মাটি নিক্ষেপের শামিল হবে। (মুসলিম ১১৫৯.ইসলামী ফাউন্ডেশন ১১৫২, ইসলামীক সেন্টার ১১৬১)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আপনি প্রবল ধারনার উপর আমল করবেন।
যদি কোনোদিকেই প্রবল ধারনা না হয়,সেক্ষেত্রে কমটাকে ধরে রুকন গুলো আদায় করবেন।
ও শেষে সেজদায়ে সাহু আদায় করবেন। 

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার নামাজ হয়েছে।

(০২)
আপনি যদি নিশ্চিত হোন যে এটি বায়ু বের হওয়ার শব্দ,অথবা গন্ধ পান,সেক্ষেত্রে নামাজ হয়নি।

নতুবা শুধু সন্দেহের ভিত্তিতে নামাজের সমস্যা হবেনা।
নামাজ হয়ে যাবে।

(০৩)
উক্ত বদনার কান্দায় তো নাপাকি লেগেছিলোনা।
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এই পাজামা পড়ে নামাজ হবে।

(০৪)
এতে সেচ্ছায় আপনার পর্দার বিধান লঙ্ঘন হয়নি।
(প্রিয় বোন,
আর্থিক স্বচ্ছলতা থাকলে পূর্ণ পর্দার ব্যবস্থা হয়,এমন গোসল খানা নির্মানের পরামর্শ থাকবে।) 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...