আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
323 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (19 points)
১) নিজের ৬/৭ বছরের  ভাই-বোনের কোনো কথাবার্তা বা কাজের ব্যাপারে পিতা-মাতা কে জানানো যাবে কি? এরূপ করলে আমি কি চোগলখোর  হয়ে যাবো??

২) যদি আমি মাঝে মাঝে নিজের ছোট ভাই - বোনের সাথে খেলাধুলা - তামাশা করি তাহলে কি আমার এই সব কাজ অনর্থক কাজের মধ্যে পরে যাবে?

৩) আমি রাত ৩/৪ টার দিকে ঘরের দেয়ালে ২ টা হালকা আলো দেখি। দেয়ালে আলো পরার কোনো উপায় নাই কারন সেটা দরজার পাশাপাশি। আমাদের বাসার দেয়াল এখনও প্লাস্টার করা হয়নি। আমি যখন বাতি নিভাই আর ঘুমানোর জন্য আসি তখন ঐ আলো ২ টা দেয়ালে দেখতে পাই না। কিন্তু গভীর রাতে দেখি কারন ঐ সময়ে আমি বাথরুম যাই মাঝে মধ্যে, তারপর যখন বাথরুম থেকে ফিরে আসি ঘরে তখন আর ঐ আলো ২ টা থাকে না। আমি তো কিছুই বুঝতে পারলাম না। আব্বু বলে রাতে মানুষ চলাচল করে তাই হয়তো আলো। কিন্তু মানুষ চলাচল করলে ঐ আলো স্থির থাকে কেনো এবং আমি ফিরে আসলে আলো আর দেখা যাচ্ছিলো না কেনো? আমি এর আগে হয়তো এরকম দেখেছিলাম গুরুত্ব দেইনি। খেয়াল করার পর থেকে ২ দিন এরকম দেখছি। এটা কি জ্বীন এর কারবার?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
ছোট্ট ভাই বোন যদি কোনো অনৈতিক কাজে লিপ্ত হয়,তাহলে সেই কাজের পূর্ণ বিবরণ কমবেশ ব্যতিত  মাতাপিতা তথা অভিভাবককে অবগত করানো যাবে।এটা গীবতের আওতাধীন হবে না।কেননা তাদের তা'লিম তারবিয়্যাতের জন্যই আপনি বলছেন।তবে প্রতিহিংসা মূলক বাড়িয়ে কমিয়ে কিছু বলা জায়েয হবে না।কেননা হিংসা ইসলামে হারাম ও নাজায়েয।

(২)
ছোট্টদের সাথে খেলাধুলা করে তাদেরকে খেলাধুলায় মত্ত রাখা কখনো উচিৎ হবে না।নামায- রোযা এবং লেখাপড়ার কোনো প্রকার ব্যাঘাত না ঘটিয়ে বৈধ হালাল খেলাধুলায় ছোট্টদের সাথে শরীক১ হওয়ার রুখসত রয়েছে।যেহেতু আপনি পরিবারের বড়,তাই আপনার জন্য উচিৎ,লেখাপড়া সম্ভলিত কোনো খেলাধুলায় তাদেরকে মত্ত রাখা।অনর্থক ও অযথা খেলাধুলা থেকে তাদেরকে দূরে রাখা।


(৩)
এটা মনের খাম খেয়াল হতে পারে,আবার জ্বীনের কারসাজিও হতে পারে।যখনই এরকম আলো দেখবেন,সূরা নাস এবং সূরা ফালাক্ব পড়বেন।এবং আয়াতুল কুরসিও পড়বেন।


নিম্নোক্ত দু'আটি পড়তে পারেন,
أَعُوذُ بِوَجْهِ اللَّهِ الْكَرِيمِ وَبِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّاتِ اللَّاتِي لَا يُجَاوِزُهُنَّ بَرٌّ وَلَا فَاجِرٌ مِنْ شَرِّ مَا يَنْزِلُ مِنَ السَّمَاءِ وَشَرِّ مَا يَعْرُجُ فِيهَا وَشَرِّ مَا ذَرَأَ فِي الْأَرْضِ وَشَرِّ مَا يَخْرُجُ مِنْهَا وَمِنْ فِتَنِ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ وَمِنْ طَوَارِقِ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ إِلَّا طَارِقًا يَطْرُقُ بِخَيْرٍ يَا رَحْمَنُ.
বাংলা উচ্চারণ : আউজুবি ওয়াজহিল্লাহিল কারিম ওয়া বি কালিমাতিল্লাহিত তামাতিল্লাতি লা ইউজায়ূজু হুন্না বাররা। ওয়ালা ফাজিরু মিন শাররি মা ইয়ানজিলু মিনাস সামায়ে ওয়া শাররিমা ইয়ারিজু ফিহা। ওয়া শাররি মা জারা ফিল আরদি। ওয়া শাররি মা ইউখরিজু মিনহা। ওয়া মিন ফিতানিল লাইলে ওয়ান নাহারে। ওয়া মিন তাওয়ারিকিল লাইলে ওয়ান নাহারে ইল্লা তারিকান ইয়াতরুকু বিল খাইরে ইয়া রহমান'

অর্থ : মহান দয়াময় আল্লাহর অনুগ্রহে এবং আল্লাহর ওইসব কালিমাসমূহের মাধ্যমে আমি আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাচ্ছি যেগুলোকে অতিক্রম করতে পারেনা কোনো বাধ্য কিংবা অবাধ্য জাতি। আশ্রয় প্রার্থনা করছি ওইসব বস্তুর ক্ষতি থেকে যা আকাশ থেকে নেমে আসে, এবং ওইসব জিনিসের ক্ষতি থেকে যা আকাশের দিকে উড়ে বেড়ায়, এবং সেসব জিনিসের ক্ষতি থেকে যা জমিনে সৃষ্টি হয় এবং এমন জিনিসের ক্ষতি থেকে যা জমিন থেকে বেরিয়ে আসে। আশ্রয় প্রার্থনা করছি দিন-রাতের ফেতনা থেকে এবং দিন-রাতের আগত জিনিসের ফেতনা থেকে। তবে কল্যাণ বয়ে আনে এমন আগন্তুক ছাড়া, হে দয়াময়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...