রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেন,
وَقَالَ: «أَنَا بَرِيءٌ مِنْ كُلِّ مُسْلِمٍ مُقِيمٍ بَيْنَ أَظْهُرِ الْمُشْرِكِينَ» قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ لِمَ؟ قَالَ: «لَا تَتَرَاءَى نَارَاهُمَا»
যে সকল মুসলিমরা মুশরিকদের মাঝে বসবাস করে, আমার ওপর তাদের কোনো দায়-দায়িত্ব নেই। সাহাবীগণ জানতে চাইলেন, হে আল্লাহর রসূল, এরূপ কেন? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, কেননা তাদের উচিত ছিল অনতিদূরে অবস্থান করা, যাতে একে অপরের আগুন পর্যন্ত দৃষ্টিপাত না হয়।
(আবূ দাঊদ ২৬৪৫, তিরমিযী ১৬০৪,মিশকাত ৩৫৪৭।)
وَرَوَى سَمُرَةُ بْنُ جُنْدَبٍ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَا تُسَاكِنُوا الْمُشْرِكِينَ وَلَا تُجَامِعُوهُمْ فَمَنْ سَاكَنَهُمْ أَوْ جَامَعَهُمْ فَهُوَ مِثْلُهُمْ
সামুরা ইবনু জুনদাব (রাঃ) বর্ণনা করেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “মুশরিকদের সাথে তোমরা একত্রে বসবাস কর না, তাদের সংসর্গেও যেও না। যে মানুষ তাদের সাথে বসবাস করবে অথবা তাদের সংসর্গে থাকবে সে তাদের অনুরূপ বলে বিবেচিত হবে।”
(তিরমিযী হা/১৬০৫; ছহীহাহ হা/২৩৩০, সনদ হাসান)।
আবু দাঊদ শরীফে হযরত সামুরা ইব্ন জুনদুব (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ স. ইরশাদ করেন :
ﻣﻦ ﺟﺎﻣﻊ ﺍﻟﻤﺸﺮﻛﻴﻦ ﻭﺳﻜﻦ ﻣﻌﻪ، ﻓﺎﻧﻪ ﻣﺜﻠﻪ –
“যে ব্যক্তি অমুলিমদের সাথে চলাফেরা করবে এবং তাদের সাথে বসবাস করবে, সেও তাদের অনুরূপ হবে”। (আবু দাঊদ, কিতাবুদ্দাহায়া)
★সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
কোনো ব্যক্তি যদি মুসলিম দেশে হন্যে হয়ে খোঁজাখোঁজি করা সত্ত্বেও শিক্ষা অর্জনের কোনো ব্যবস্থা করতে না পারলে, এমন পরিস্থিতিতে যদি কোনো অমুসলিম দেশে শিক্ষার সুযোগ পায়,তাহলে দু’টি শর্তে তার জন্য সেখানে যাওয়া এবং সেখান থেকে শিক্ষার্জন করা জায়েয হবে।যথাঃ-
(এক)সেখানে আমলী জিন্দিগী তথা, ইসলামী বিধি-বিধান পরিপালনে সম্পূর্ণ নিরাপদ থাকতে হবে।
(দুই)সেখানকার প্রচলিত অশ্লীলতা, বেহায়াপনা-বেলেল্লাপনা থেকে নিজেকে সংযত রাখতে হবে।
সুতরাং প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর জন্য জরুরী যে,তারা প্রথমে নিজ দেশ বা কোনো ইসলামী দেশে লেখাপড়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টাপ্রচেষ্টা করবে।
নারী-পুরুষ সবার জন্য একই শর্ত।তবে নারীদের জন্য পৃথক কিছু বিষয় লক্ষ্যণীয়। তারা মাহরাম ব্যতীত সফর করতে পারবে না।এবং অনিরাপদ স্থানে একাকী বসবাস করতে পারবে না।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/3447
মাহরাম ছাড়া সফর সংক্রান্ত জানুনঃ-
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত বোনের জন্য এভাবে মাহরাম পুরুষ ছাড়া কাফের রাষ্ট্রে যাওয়া, থাকা,সেখান থেকে মাহরাম ছাড়া আসা কোনোটাই জায়েজ হবেনা। তিনি সে দেশে নিজের জন্য নিরাপদ মনে করলেও এটি ঠিক হবেনা। তার স্বামী তার সাথে না থাকলে তার বাবা/ভাই/ছেলে সন্তান বা অন্য কোনো মাহরাম পুরুষ এর সাথে থাকবে। তদুপরি সে যদি মাহরাম পুরুষ ছাড়া সেখানে বৈধ কোনো চাকুরী করে,সেক্ষেত্রে তার ইনকাম হালাল হবে। তার লোন পরিশোধ করাও জায়েজ হবে। তবে মাহরাম পুরুষ ছাড়া যাওয়া ও থাকার গুনাহ হবে। তবে সাথে নিজের অন্যান্য আত্মীয় স্বজন থাকলে ও এলাকা নিজের জন্য বেশ নিরাপদ মনে করলে এক্ষেত্রে সেখানে পূর্ণ পর্দার সহিত নিরাপদে থাকতে পারলে সেক্ষেত্রে থাকার গুনাহ হবেনা।