আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
238 views
in সালাত(Prayer) by (5 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম হুজুর

জনৈক এক ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে ইমামতির চাকরি করেন কিন্তু উনি নামাজ পড়ানোর প্রতি খুবই গাফেল ছিলেন তো অনেক সময় উনি অযু ছাড়া বা জানাবাত অবস্থাতেই ইচ্ছাকৃতভাবে নাপাকবস্থায় নামাজ পড়াতেন,উনি এ নিয়ে অবগত ছিলেন এবং প্রায় ১০টি মসজিদে জামাতের নামাজ পড়ান অযু ছাড়া বা জানাবাত হওয়ার পর নাপাকবস্থায়!

কিন্তু এখন সে তার এই কুকর্মের জন্য এখন খুব আফসোস করে এবং সে তাওবা করে আল্লাহর পথে ফিরে আসতে চায় এবং সে নামাজ পড়ানোর ব্যাপারে সতর্ক হতে চায় এবং এটার ব্যপারে সে তাওবা করলে কি আল্লাহর কাছে মাফ পাবে কিনা??
সে মোট কত ওয়াক্ত নামাজ পড়িয়েছে তার মনে নাই এবং সে এটা মুসল্লীদের কাছে শেয়ার করলে তার চাকরিচ্যুত হতে পারে এবং চাকরিচ্যুত হলে তার রুজি রুটির অনেক সমস্যা হবে তাই এই ভয়ে এসব কারোর কাছে বলতে পারছেতে না খুবই সংকোচ মনে করছে

এমতাবস্থায় তার কি করা উচিত???

1 Answer

0 votes
by (574,380 points)
edited by
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


শরীয়তের বিধান মতে অপবিত্র অবস্থায় অথবা অযু বিহিন নামাজ পড়া,সেজদাহ করা জায়েজ নেই।
যদি কেহ এমনটি করে,তাহলে সে গুনাহগার হবে।
তাকে তওবা করতে হবে।
 
কেহ যদি দ্বীনের প্রতি ইহানত,তিরস্কার,ঘৃণা দেখানোর জন্য অযু ছাড়া বা অপবিত্র অবস্থায় নামাজ পড়ে,বা অযু ছাড়া/অপবিত্র অবস্থায় সেজদাহ করে,তাহলে সে কাফের হয়ে যাবে।        

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، ح وَحَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ مُصْعَبِ بْنِ سَعْدٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ تُقْبَلُ صَلاَةٌ بِغَيْرِ طُهُورٍ وَلاَ صَدَقَةٌ مِنْ غُلُولٍ " . قَالَ هَنَّادٌ فِي حَدِيثِهِ " إِلاَّ بِطُهُورٍ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا الْحَدِيثُ أَصَحُّ شَيْءٍ فِي هَذَا الْبَابِ وَأَحْسَنُ

ইবনু উমর (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ পবিত্রতা ছাড়া নামায কবুল হয় না। আর হারাম উপায়ে প্রাপ্ত মালের সাদকাও কুবুল হয় না। হান্নাদ 'বিগাইরি তুহুর' এর স্থলে ইল্লা বিতুহূর’ উল্লেখ করেছেন। —সহীহ। ইবনু মাজাহ– (২৭২) তিরমিজি ০১)

আবু ঈসা বলেন, এই অনুচ্ছেদে এ হাদীসটিই সবচাইতে সহীহ এবং উত্তম।

ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ   
"قلت: وبه ظهر أن تعمد الصلاة بلا طهر غير مكفر كصلاته لغير القبلة أو مع ثوب نجس، وهو ظاهر المذهب، كما في الخانية.
(قوله: غير مكفر) أشار به إلى الرد على بعض المشايخ، حيث قال: المختار أنه يكفر بالصلاة بغير طهارة لا بالصلاة بالثوب النجس وإلى غير القبلة لجواز الأخيرتين حالة العذر بخلاف الأولى فإنه لايؤتى بها بحال فيكفر. قال الصدر الشهيد: وبه نأخذ، ذكره في الخلاصة والذخيرة، وبحث فيه في الحلية بوجهين: أحدهما ما أشار إليه الشارح. ثانيهما أن الجواز بعذر لايؤثر في عدم الإكفار بلا عذر؛ لأن الموجب للإكفار في هذه المسائل هو الاستهانة، فحيث ثبتت الاستهانة في الكل تساوى الكل في الإكفار، وحيث انتفت منها تساوت في عدمه، وذلك لأنه ليس حكم الفرض لزوم الكفر بتركه، وإلا كان كل تارك لفرض كافراً، وإنما حكمه لزوم الكفر بجحده بلا شبهة دارئة اهـ ملخصاً: أي والاستخفاف في حكم الجحود.
(قوله: كما في الخانية) حيث قال بعد ذكره الخلاف في مسألة الصلاة بلا طهارة: وأن الإكفار رواية النوادر. وفي ظاهر الرواية: لايكون كفراً، وإنما اختلفوا إذا صلى لا على وجه الاستخفاف بالدين، فإن كان وجه الاستخفاف ينبغي أن يكون كفراً عند الكل. اهـ.
أقول: وهذا مؤيد لما بحثه في الحلية لكن بعد اعتبار كونه مستخفا ومستهينا بالدين كما علمت من كلام الخانية، وهو بمعنى الاستهزاء والسخرية به، أما لو كان بمعنى عد ذلك الفعل خفيفا وهينا من غير استهزاء ولا سخرية، بل لمجرد الكسل أو الجهل فينبغي أن لايكون كفرا عند الكل، تأمل". (1/81، کتاب الطہارۃ، ط:سعید) 
সারমর্মঃ-
কেহ যদি দ্বীনের প্রতি ইহানত,ইস্তেহযা,তিরস্কার,ঘৃণা দেখানোর জন্য অযু ছাড়া নামাজ পড়ে, সেজদাহ করে,তাহলে সে কাফের হয়ে যাবে।    
,
আরো জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ইমাম ও তার মুক্তাদীর উক্ত নামাজ গুলি আদায় হয়নি।
পুনরায় উক্ত নামাজ গুলি আদায় করতে হবে।
এক্ষেত্রে প্রবল ধারনার ভিত্তিতে একটি হিসাব করে অথবা আনুমানিক একটি হিসাব করে সেসমস্ত নামাজের কাজা নিজেক আদায় করতে হবে,পাশাপাশি মুক্তাদীদেরকেও আদায় করতে বলতে হবে।
সেই জন্য ই'লান আবশ্যক। 
এতে চাকুরী চলে গেলেও লোকদেরকে নামাজ কাজা আদায়ের কথা বলতে হবে।

প্রয়োজনে এভাবে বলতে পারে যে কোনো কারনবশত আমাদের এক ওয়াক্ত নামাজ শুদ্ধ হয়নি।
তাই আপনারা পুনরায় আদায় করে নিবেন।

অবহেলা বশত এভাবে নামাজ আদায় করে থাকলে
এক্ষেত্রে উক্ত ইমাম সাহেব এর তওবা আবশ্যক। 

আর যদি উক্ত ইমাম দ্বীনের প্রতি ইহানত,তিরস্কার,ঘৃণা দেখানোর জন্য এভাবে অযু ছাড়া বা অপবিত্র অবস্থায় নামাজ আদায় করে, সেক্ষেত্রে সে কাফের হয়ে গিয়েছে।
তাকে কালেমা পড়ে ঈমান আনতে হবে।
নতুবা তার পিছনে কোনো নামাজই শুদ্ধ হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...