আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
222 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (12 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম।
শায়েখ,

বেশ কয়েকমাস আগে তালাকের বিষয়ে কোন একটা আর্টিকেল পড়ার পর থেকে আমি কোন সময় তালাক কথাটি মন থেকে সরাতে পারি না। প্রায় সবসময় মনের ভিতর তালাক- তালাক শব্দ আসতে থাকে। দিনের ভিতর যে কতবার তালাক শব্দ মনে আসে তার হিসাব নেই। ঘুমের ভিতরেও তালাক নিয়ে স্বপ্ন আসে। মুখ খুললেই তালাক উচ্চারণ করে ফেললাম কিনা সন্দেহ হতে থাকে, এবং আমি অস্থির হয়ে উঠি। বুক ধড়ফড় শুরু হয়। আর কোন কাজে মন বসাতে পারি না। সবসময় মনে এক প্রকার সন্দেহ কাজ করতে থাকে তালাক হয়ে গেল কিনা ভেবে। উচ্চারণ না করলেও মনে হয় উচ্চারন করে ফেলেছি মনে হয়। মাঝে মাঝে মুখ চেপে ধরতে হয় যেন তালাক শব্দ উচ্চারন না হয়ে যায়। তালাকের কথা ভাবার সময় যদি কোন কারনে জিব্বা নড়ে যায় তখনি সন্দেহ শুরু হয় তালাক বলে ফেললাম কিনা। ওয়াইফের সাথে কথা বলার সময় ও মনের ভিতর তালাক-তালাক আসতে থাকে। কয়েকমাস আগে ওয়াশরুমে থাকা কালিন তালাকের কথা মনে আসছিল, তখন আমার আসলেই কি মনে আসছিল? না আমি উচ্চারন করে তালাক দিয়ে দিলাম বলছিলাম সেই সন্দেহ আমাকে মাঝে মধ্যেই কষ্ট দিতে থাকে। আল্লাহ ভাল জানেন উচ্চারন হয়ে গেছিল কিনা। মানসিক ডাক্তার এর পরামর্শে কিছুদিন ঔষধ খেয়েছি কিন্তু কোন কাজ না হবার জন্য আর খাওয়া হয়নি। সারাটাদিন খুবই কষ্টে কাটে আমার। আমি নিজেও অনেক সময় বুঝতে পারি যে, আমি তালাক উচ্চারণ না করেও সন্দেহ ভুগি, কিন্তু তার পরেও সন্দেহ আমার পিছু ছাড়ে না।  এই সমস্যা থেকে আমি বের হতে পারছি না। খুবই অসহায় এক পরিস্থিতির ভিতরে দিন কাটছে আমার।

(১) এতে কি তালাক পতিত হবে শায়েখ???
(২) এবং আমার প্রতি শরিয়তের কি কোন ছাড় আছে???

1 Answer

0 votes
by (573,660 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-

(০১)
প্রশ্নের বিবরণ মতে তালাক হবেনা। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,

إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ تَجَاوَزَ لأُمَّتِي مَا وَسْوَسَتْ بِهِ وَحَدَّثَتْ بِهِ أَنْفُسَهَا مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَتَكَلَّمْ بِهِ

‘নিশ্চয় আল্লাহ্ তাআলা আমার উম্মতের ওয়াসওয়াসা, মনে মনে কথা বলা ক্ষমা করে দিয়েছেন; যতক্ষণ না সে কর্ম করে কিংবা কথা বলে।’ (সহিহ বুখারী ৬৬৬৪ সহিহ মুসলিম ১২৭)

(০২)
জী,আপনি যেহেতু ওয়াসওয়াসার রুগী। মানসিক ডাক্তার এর পরামর্শে কিছুদিন ঔষধও খেয়েছেন। কিন্তু সুস্থ্য হোননি। সুতরাং আপনার জন্য শরীয়তে ছাড় রয়েছে।

এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ- 

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
এখান থেকে নিজেকে মুক্ত করার লক্ষ্যে আপনার জন্য কিছু পরামর্শঃ-

অহেতুক পেরেশানী করে নিজেকে ক্ষতিগ্রস্ত করবেন না। আপনি কিছুদিন বাহিরে থাকুন।
তাবলিগে গিয়ে ৪০ দিন সময় লাগান,চিল্লায় চলে যান, মনের তীব্র কনফিউশন থেকে নিজেকে মুক্ত করে নিন। 
,
★আপনি তালাক সংক্রান্ত কোন মাসআলা পড়বেন না। কাউকে জিজ্ঞাসা করতেও যাবেন না। কারো সাথে এ সংক্রান্ত আলাপ ও আলোচনাও করবেন না।
তালাক সংক্রান্ত প্রশ্ন করবেননা। 

মনের মাঝে এ বিষয়ক কোন কিছু আসতে দিবেন না। আসলেই অন্য বিষয় নিয়ে মগ্ন হয়ে যাবেন, প্রসঙ্গ পাল্টে ফেলবেন। ইবনে হাজার আল-হাইতামি রহ. বলেন,
له دواء نافع وهو الإعراض عنها جملة كافية ، وإن كان في النفس من التردد ما كان
‘ওয়াসওয়াসার কার্যকরী চিকিৎসা হল, একে সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে যাওয়া; এমনকি মনের মধ্যে কোন দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকা সত্ত্বেও।’ (আল-ফাতাওয়া আল-ফিকহিয়্যা আল-কুবরা ১/১৪৯)

★সকাল ও সন্ধ্যায় পড়ুন-

أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّةِ، مِنْ غَضَبِهِ وَشَرِّ عِبَادِهِ، وَمِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِينِ وَأَنْ يَحْضُرُونِ

 (আমি আল্লাহর পরিপূর্ণ কালেমার আশ্রয় প্রার্থনা করি তার অসম্ভষ্টি ও শাস্তি থেকে এবং তার বান্দার অনিষ্ট থেকে এবং শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে ও শয়তানের সংস্পর্শ থেকে।)

★ফজর ও মাগরিবের পর এবং ঘুমানোর আগে সূরা ফালাক ও নাস পড়ুন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...