জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
হাদিস শরিফে এসেছে-
عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لاَ تَدْخُلُ الْمَلاَئِكَةُ بَيْتًا فِيهِ تَمَاثِيلُ أَوْ تَصَاوِيرُ
‘আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেন: ফেরেশতারা এমন ঘরে প্রবেশ করেন না যে ঘরে মূর্তি কিংবা (প্রাণীর) ছবি আছে।’ [সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৫৬৬৭]
এ জন্য নামাজে কোনো ছবি থাকলে সেই ছবি ঢেকে রাখতে হবে।
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনি যেহেতু ছবিটি পকেটে রেখেই নামাজ আদায় করেছেন, যার কারণে তা দৃশ্যমান হয়নি সেহেতু আপনার নামাজ মাকরুহ হবে না।
আলবাহরুর রায়েক ১/১০৭, আদদুররুল মুখতার ২/৬৪৮
(০২)
ইসলামের দৃষ্টিকোণ হল, মানুষের শরীর আল্লাহর আমানত। এর স্রষ্টা আল্লাহ রাব্বুল আলামীন। মানুষকে শুধু ভোগ দখলের অধিকার দেয়া হয়েছে। তাই শরীরকে যাচ্ছেতাইভা্বে পরিবর্তন করার অধিকার মানুষ সংরক্ষণ করে না। হ্যাঁ, অসুস্থ্য হলে অঙ্গ বেশি হলে ভিন্ন কথা। কিন্তু সৌন্দর্যতার নামে শরীরের গঠন পরিবর্তন করা হারাম।
এ কারণেই হাদীসে পরিস্কার শব্দে মানুষের চুল মাথায় সংযোজন করতে নিষেধ করা হয়েছে। সেই সাথে দুই দাঁতের মাঝখানের ফাঁক সৃষ্টি করার জন্য দাতকে কিছুটা কর্তন করতে নিষেধাজ্ঞা এসেছে। এসব হাদীস প্রমাণ করে যে, শুধু সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য প্রশ্নে উল্লেখিত চিকিৎসার মাধ্যমে দাতের ফাকা জায়গা স্বাভাবিক করা জায়েজ নেই।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ عَبْدِ اللهِ، قَالَ: «لَعَنَ اللهُ الْوَاشِمَاتِ وَالْمُسْتَوْشِمَاتِ، وَالنَّامِصَاتِ وَالْمُتَنَمِّصَاتِ، وَالْمُتَفَلِّجَاتِ لِلْحُسْنِ الْمُغَيِّرَاتِ خَلْقَ اللهِ
আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ মানবদেহে চিত্র অঙ্কনকারিণী ও অঙ্কনপ্রার্থিণী নারী, (বড় দেখাবার জন্য) কপাল ভ্রুর চুল উৎপাটনকারিণী ও উৎপাটনকামী নারী এবং (সৌন্দর্য সুষমা বৃদ্ধির মানসে) দাঁতের মাঝে (সুষম) ফাঁক সৃষ্টিকারিনী, যারা আল্লাহর সৃষ্টিতে বিকৃতি সাধনকারিণী, এদের আল্লাহ তা’আলা লানত করেন। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২১২৫]
أَبَا رَيْحَانَةَ يَقُولُ: «إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَرَّمَ الْوَشْرَ، وَالْوَشْمَ، وَالنَّتْفَ
হযরত আবূ রায়হানা রাঃ বলেন, নিশ্চয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁতকে চিকন করতে উল্কি আঁকতে এবং চুল উপড়ে ফেলাকে হারাম করেছেন। [সুনানে নাসায়ী, হাদীস নং-৫১১০]
আরো জানুনঃ