Pregnant mohila der namaz somporke

Question

১. আমি বর্তমানে গর্ভবতী। গর্ভাবস্থার শেষ পর্যায় অতিক্রম করছি। আমার পক্ষে এখন উঠে বসে সালাত আদায় করা সম্ভব না কারণ আমার পেট এখন খুবই ভারী যার কারণে উঠে বসে সালাত আদায় করা আমার জন্য খুব কষ্টকর। বর্তমানে আমি বসে সালাত আদায় করি। এক্ষেত্রে বসে সালাত আদায় করলে কি আমার কোন গুনাহ হবে? নাকি দাঁড়িয়ে সুরা কেরাত পড়ে টুলের উপরে বসে ইশারায় রূকু সিজদা আদায় করব? কোনটা করলে আমার নামাজ সহিহ শুদ্ধভাবে আদায় হবে দয়া করে জানালে উপকৃত হব।

২. স্বামী যদি তার সাথে বিবাহ হারাম এমন  কোন মহিলার সাথে তুলনা দিয়ে বলে , " সেও তো তোমার মত মা বোন" অর্থাৎ এরূপ বুঝাতে সেই মহিলাও তো আমার মত মা বোনের জাত। তাহলে কি জেহার হবে?
৩ . আমার একটি ছেলে আছে। অনেক সময় আমার স্বামী আমার ছেলেকে বলে-যাও আম্মুর কাছে যাও, আম্মুকে তা দিয়ে দাও, দুষ্টামি করলে আম্মু রাগ করবে কিংবা আম্মু মারবে ইত্যাদি ইত্যাদি। অর্থাৎ কথার প্রসঙ্গে অনেক সময় তোমার আম্মু কথাটি বলার পরিবর্তে আম্মু কথাটি ব্যবহার করে ফেলে। এটা সে প্রায়ই করে। অর্থাৎ ছেলেকে সে তোমার আম্মু কথাটিই বুঝাতে গিয়ে আম্মু বলে সম্বোধন করে ফেলে কথার পরিপ্রেক্ষিতে। আবার আমিও অনেক সময় তোমার আব্বু কথাটি বলার পরিবর্তে আব্বুর কাছে যাও কিংবা আব্বু ফোন দিছে দেখো এভাবে আব্বু কথাটি ব্যবহার করে ফেলি। পরে জানতে পারলাম এভাবে সম্বোধন করা ঠিক না। তাই কালকে আমি আমার স্বামীকে নিষেধ করেছি। সে বলেছে ঠিক আছে আর বলবো না। এখন উপরোক্ত কথার দ্বারা কি আমাদের ভিতরে যেহার হয়েছে? নাকি শুধু গুনাহই হয়েছে।

Answer 1

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
হযরত ইবনে রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে,
ﻋﻦ ﺍﺑﻦ ﻋﺒﺎﺱ ، ﻋﻦ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ : " ﻳﺼﻠﻲ ﺍﻟﻤﺮﻳﺾ ﻗﺎﺋﻤﺎ ، ﻓﺈﻥ ﻧﺎﻟﺘﻪ ﻣﺸﻘﺔ ﺻﻠﻰ ﺟﺎﻟﺴﺎ ، ﻓﺈﻥ ﻧﺎﻟﺘﻪ ﻣﺸﻘﺔ ﺻﻠﻰ ﻧﺎﺋﻤﺎ ﻳﻮﻣﺊ ﺑﺮﺃﺳﻪ ، ﻓﺈﻥ ﻧﺎﻟﺘﻪ ﻣﺸﻘﺔ ﺳﺒﺢ "
অসুস্থ ব্যক্তি দাড়িয়ে দাড়িয়ে নামাজ পড়বে।যদি দাড়াতে কষ্ট হয়,তাহলে বসে বসে নামায পড়বে।যদি বসে বসে নামায পড়তে কষ্ট হয়,তাহলে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে তার মাথা দ্বারা ইশারা করে সে নামায আদায় করবে।যদি তারপরও তার কোনো প্রকার কষ্ট হয়,তাহলে সে যিকির করবে।(এ'লাউস-সুনান-৭/১৭৪) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1411

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
উত্তম হল, আপনি দাড়িয়ে নামায শুরু করে তারপর চেয়ারে বা মাঠিতে বসে ইশারায় রুকু সিজদা করে নামায পড়বেন।

(২)
শুধুমাত্র তুলনা করলে হবে জিহার হবে না। বরং জিহারের শর্ত হল, নিজের মা বোনের কোনো অঙ্গের সাথে স্ত্রীর অঙ্গের তুলনা করতে হবে।

(৩)
অনেক সময় স্বামী ছেলেকে বলে-যাও আম্মুর কাছে যাও, আম্মুকে তা দিয়ে দাও, দুষ্টামি করলে আম্মু রাগ করবে কিংবা আম্মু মারবে ইত্যাদি ইত্যাদি। অর্থাৎ কথার প্রসঙ্গে অনেক সময় তোমার আম্মু কথাটি বলার পরিবর্তে আম্মু কথাটি ব্যবহার করে ফেলে। অর্থাৎ ছেলেকে তোমার আম্মু কথাটিই বুঝাতে গিয়ে আম্মু বলে সম্বোধন করে বলা হয়ে যায় কথার পরিপ্রেক্ষিতে।  এভাবে সম্বোধন করা ঠিক না। তবে এজন্য জিহার হবে না। ঠিকতেমনিভাবে  স্ত্রীও আব্বুর কাছে যাও ইত্যাদির বলার কারণে জিহার হবে না।

Comments

উত্তর দেয়া হয়েছে।