আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
296 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (42 points)
এছাড়া হুজুর
বইয়ের বিভিন্ন টপিক বিষয়ে অনেক কিছুই বইয়ে দেওয়া থাকে না, বাইরের ভাল লেখকের বই পড়লে ভাল জ্ঞানার্জন করা যায়। এগুলো পড়তে গেলেও ওয়াসওয়াসা আসে যে।

ওয়াসওয়াসাগুলো এমন যে
আমি নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করি যে বইয়ের বাইরে এগুলো পড়ছি কেন? আমি কি জানি যে এগুলো আসবে প্রশ্নে? কিন্তু আমি তখন নিয়ত ঠিক করি যে আমি আলাদা জ্ঞানার্জন এর জজন্য পড়ছি, এগুলো পরীক্ষায় আসতেও পারে নাও পারে। এভাবে ক্রমাগত এসব চিন্তা আসা কি শয়তানের ওয়াসওয়াসা?
আগে নরমালি যেভাবে পড়তাম সেভাবে পড়া চালিয়া যাওয়া উচিত?

এছাড়া হুজুর লিংকের প্রশ্নের কমেন্টে করা প্রশ্ন গুলোর উত্তর যদি দিতেন?

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ওয়াবিসা ইবনে মা'বাদ রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻭﻋﻦ ﻭﺍﺑﺼﺔَ ﺑﻦِ ﻣَﻌْﺒِﺪٍ  ﻗَﺎﻝَ : ﺃَﺗَﻴْﺖُ ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪ ﷺ ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺟِﺌْﺖَ ﺗﺴﺄَﻝُ ﻋﻦِ ﺍﻟﺒِﺮِّ؟ » ﻗُﻠْﺖُ : ﻧَﻌَﻢْ، ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺍﺳْﺘَﻔْﺖِ ﻗَﻠْﺒَﻚَ، ﺍﻟﺒِﺮُّ : ﻣَﺎ ﺍﻃْﻤَﺄَﻧَّﺖْ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲُ، ﻭﺍﻃْﻤَﺄَﻥَّ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻘَﻠْﺐُ، ﻭﺍﻹِﺛﻢُ : ﻣَﺎ ﺣﺎﻙَ ﻓﻲ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲِ، ﻭﺗَﺮَﺩَّﺩَ ﻓِﻲ ﺍﻟﺼَّﺪْﺭِ، ﻭﺇِﻥْ ﺃَﻓْﺘَﺎﻙَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱُ ﻭَﺃَﻓْﺘَﻮﻙَ » ﺣﺪﻳﺚٌ ﺣﺴﻦٌ، ﺭﻭﺍﻩُ ﺃﺣﻤﺪُ ﻭﺍﻟﺪَّﺍﺭﻣِﻲُّ ﻓﻲ " ﻣُﺴْﻨَﺪَﻳْﻬِﻤﺎ ."
তিনি বলেন,আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নিকট গেলাম।রাসূলুল্লাহ সাঃ আমাকে বললেন,তুমি কি নেকীর কাজ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার জন্য এসেছ?আমি বললাম জ্বী হ্যা, ইয়া রাসূলাল্লাহ!
তখন তিনি আমাকে বললেন,তুমি তোমার অন্তরের নিকট ফাতওয়া জিজ্ঞাসা করো।নেকি হল সেটা যার উপর অন্তর প্রশান্তিবোধ করে,এবং যে জিনিষের উপর অন্তর শান্ত থাকে।আর গোনাহ হল সেটা,যা অন্তরে অশান্তি সৃষ্টি করে নাড়িয়ে দেয়,এবং অন্তরকে দ্বিধান্বিত করে ফেলে।যদিও উক্ত কাজ সম্পর্কে মুফতিগণ বৈধতার ফাতাওয়া প্রদাণ করুক না কেন। (মুসনাদে আহমদ-১৭৫৪৫)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/669

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি জ্ঞানার্জনের জন্য যেকোনো বই পড়তে পারেন।তবে পরীক্ষার পূর্বে শুধুমাত্র সেগুলোই পড়বেন, যা পরীক্ষায় আসতে পারে। সুতরাং পরীক্ষার পূর্বে শুধুমাত্র পরীক্ষার আসতে পারে, সেগুলোই পড়বেন।জাযাকুমুল্লাহ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (583,410 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।
by
edited
Hujur 2 ta prshno chilo
1)
❝সুতরাং পরীক্ষার পূর্বে শুধুমাত্র পরীক্ষার আসতে পারে, সেগুলোই পড়বেন।❞

বইয়ের বাইরের বইগুলো যদি এই নিয়তে পড়ি যে 
"""এগুলো এখন পড়ি, পরীক্ষায় আসলে ভাল, লেখতে পারব ইনশাআল্লাহ। এগুলো পরীক্ষায় আসতেও পারে নাও আসতে পারে। আমি তো জানি না কি আসবে। তাই শিখার জন্য পড়ে রাখি"""
  তাহলে কি কোন সমস্যা?
2)
কোনো গাইড প্রকাশক যদি এভাবে লেখে " এই সাজেশন বা প্রশ্নগুলো পরীক্ষায় তোমাদের শতভাগ কমন পড়বে মানে তারা ১০০% নিশ্চয়তা দিচ্ছে এগুলো পরীক্ষায় আসবে। এখন তারা এটা বল্লেও আমি যদি এই নিয়তে পড়ি যে এগুলো পরীক্ষায় আসতেও পারে নাও আসতে পারে,  আমি তো ভবিষ্যতের খবর জানি না,।। আমি বেশি বেশি অনুশীলন করি,,শিখে রাখি, অনুশীলন করে রাখি। পরীক্ষায় উপকৃত যদি হই তাহলে হব।
 তাহলে কি আমার ইমানে সমস্যা হবে?
by (583,410 points)
(১) পড়তে পারবেন । কোনো সমস্যা হবে না। 
by (583,410 points)
(২) আপনি পড়তে পারবেন। এতে করে আপনার ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...