আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহ মাতুল্লহ।
আমি ও আমার হাজব্যান্ড বিয়ের পর থেকে ই রিজিকের পরীক্ষা দিচ্ছি, টাকা পয়সা, স্বামী স্ত্রীর মনোমালিন্য ( যা মূলত টাকার কারনেই হয় আমার স্বামী জবলেস থাকায় আমাকে নানান মানুষের থেকে টাকা ধার আনতে হয়েছে, কখোনো তার আনতে হয়, এবং আমার পরিবারের উপর নির্ভর করতে হয় ফলে তারা আমাদের উঠতে বসতে কথা শুনায়। তাদের কারনে আমার এবং আমার হাজব্যান্ড এর মন মানসিকতা খারাপ থাকায় সবসময় ঝগড়া, বিদ্রোহের ন্যায় পরীক্ষা লেগেই আছে আমাদের মধ্যে)। আমি এবং আমার স্বামী মানসিক রোগী হয়ে গেছি। জীবন টা শুধু পার করতে হবে এটাই সত্য , এই ভেবেই দিন কাটছে, রিজিকের পরীক্ষা এতোটা কঠিন ভাবে আমাদের আকড়ে ধরেছে যে আমার এবং তার ইমান এখন ঝুলন্ত, আল্লাহর উপর বিশ্বাস কমিয়ে দেয়ার জন্য শয়তান বারবার ওয়াস ওয়াসা দেয়, আল্লাহর প্রতি কোনো সুধারনা কাজ করে না। স্পেশালি আমার। আমাদের সব শেষ। আমল, আখলাক সব। খালি এক লা ইলাহা টাই আছে , এটাই আমাদের শেষ আশা যে হয়তো নিকৃষ্টতম বান্দা হয়েও এর উছিলায় জান্নাতের দেখা মিলবে।
আমাদের রিজিকের সাথে কোনো সম্পর্ক নেই। কোনো চাকুরী পায় না হাজব্যান্ড। যা পায় তা দিয়ে সংসার চলা তো দূরের কথা সেই বেতন এতোটাই কম এবং ক্ষুদ্র যে তা দিয়ে উনার অফিসের যাতায়াত ভাড়াই হবে অর্থাৎ ৫/৬ হাজার টাকা এবং আমাদের বাসা থেকে অফিস খুব দূরে দূরে হয় এমন জব অফার আসে। অর্থাৎ সংসার আর চলে না ঘুরে ফিরে চাকরি করেও আমার পরিবারের উপর নির্ভর করতে হয় যা আরো কষ্টের। সবথেকে আমি আর আমার হাজব্যান্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা পরিবার কে রাজি করে ডেনমার্ক চলে যাবো কিছু সময়ের জন্য যাতে কিছু টাকা কামাই করে মিডেল ইস্টের কোনো দেশ ( মদিনা তে ইচ্ছা বেশি) চলে যাবো ব্যবসা করতে যদি সেই পরিমানে টাকা জমাতে পারি নতুবা পুনরায় বাংলাদেশে চলে আসবো জমানো টাকা দিয়ে ব্যবসা করবো এমনটা ভেবেছি। কিন্তু কথা হলো আমার হাজব্যান্ড আর আমার মধ্যে আমি স্টুডেন্ট ভিসায় যাবো এবং উনি স্পাউস হিসেবে এবং যেতে পারবো কি না তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। আর গেলেও ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর এ। সেই এইযে মাঝে এতোগুলো সময়, মাস দিন রয়েছে এই সময় যদি কোনো হারাম জায়গা তথা ব্যাংক থেকে চাকুরির অফার আসে সেইক্ষেত্রে আপাতত চাকুরী টা করা কি আমাদের জন্য জায়েজ হবে? আল্লাহ রাগান্বিত হবেন না তো। আমার এবং আমার হাজব্যান্ড এর সবসময় একটাই টার্গেট ছিল যতো যাই হোক হারামে যাবোই না। কিন্তু আমাদের কাছেই কিছু ই ধরা দেয় না। না হারাম , না হালাল। সবকিছু তে বাঁধা আর বাঁধা। আমাকে একটা পরিক্ষা দিতে হবে , আমার হাজব্যান্ড এর সাথে ডেনমার্ক যাওয়ার জন্য। এবং সেই পরীক্ষা তে পাশ করতে হলে মানসিক ভাবে আমাদের স্থির হতে হবে। এর জন্য দরকার টাকা কারন এই টাকার জন্য পরিবারের উপর নির্ভর করতে হয় এবং তারা আমাদের উঠতে বসতে কষ্ট দেয় কথা শুনায়। ফলে আমি স্পেশালি এখন পাগল প্রায়। মানসিক রোগী , সাথে আমার স্বামী ও। এই অবস্থা তে আমাদের জন্য কি ব্যাংকে আপাতত চাকুরীর সিদ্ধান্ত উচিত হবে? গুনাহ হবে কি? কারন সবকিছুর উর্ধ্বে আমরা আল্লাহ কে যেমন ভালোবাসি এবং বাসতে চাই তেমনটা আল্লাহ কে ভয় পেতে চাই। আমাদের জন্য করনীয় কি হবে যদি অন্য ব্যবস্থা না থাকে আপাতত। কারন অন্য দেশে টাকার সন্ধানে যেতে হলে আমাদের ঐ দেশের ইনি টেস্ট, পরীক্ষা দিতে হবে, মানসিক ভাবে স্থির থাকতে হবে বুদ্ধির সাথে পদক্ষেপ নিতে হবে যা এই অভাবে আমরা দিশেহারা হয়ে আছি। সুতরাং সব মিলিয়ে করনীয় কি।