আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
190 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (19 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহ মাতুল্লহ।
আমি ও আমার হাজব্যান্ড বিয়ের পর থেকে ই রিজিকের পরীক্ষা দিচ্ছি, টাকা পয়সা, স্বামী স্ত্রীর মনোমালিন্য ( যা মূলত টাকার কারনেই হয় আমার স্বামী জবলেস থাকায় আমাকে নানান মানুষের থেকে টাকা ধার আনতে হয়েছে, কখোনো তার আনতে হয়, এবং আমার পরিবারের উপর নির্ভর করতে হয় ফলে তারা আমাদের উঠতে বসতে কথা শুনায়। তাদের কারনে আমার এবং আমার হাজব্যান্ড এর মন মানসিকতা খারাপ থাকায় সবসময় ঝগড়া, বিদ্রোহের ন্যায় পরীক্ষা লেগেই আছে আমাদের মধ্যে)। আমি এবং আমার স্বামী মানসিক রোগী হয়ে গেছি। জীবন টা শুধু পার করতে হবে এটাই সত্য , এই ভেবেই দিন কাটছে, রিজিকের পরীক্ষা এতোটা কঠিন ভাবে আমাদের আকড়ে ধরেছে যে আমার এবং তার ইমান এখন ঝুলন্ত, আল্লাহর উপর বিশ্বাস কমিয়ে দেয়ার জন্য শয়তান বারবার ওয়াস ওয়াসা দেয়, আল্লাহর প্রতি কোনো সুধারনা কাজ করে না। স্পেশালি আমার। আমাদের সব শেষ। আমল, আখলাক সব। খালি এক লা ইলাহা টাই আছে , এটাই আমাদের শেষ আশা যে হয়তো নিকৃষ্টতম বান্দা হয়েও এর উছিলায় জান্নাতের দেখা মিলবে।
আমাদের রিজিকের সাথে কোনো সম্পর্ক নেই। কোনো চাকুরী পায় না হাজব্যান্ড। যা পায় তা দিয়ে সংসার চলা তো দূরের কথা সেই বেতন এতোটাই কম এবং ক্ষুদ্র যে তা দিয়ে উনার অফিসের যাতায়াত ভাড়াই হবে অর্থাৎ ৫/৬ হাজার টাকা এবং আমাদের বাসা থেকে অফিস খুব দূরে দূরে হয় এমন জব অফার আসে। অর্থাৎ সংসার আর চলে না ঘুরে ফিরে চাকরি করেও আমার পরিবারের উপর নির্ভর করতে হয় যা আরো কষ্টের। সবথেকে আমি আর আমার হাজব্যান্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা পরিবার কে রাজি করে ডেনমার্ক চলে যাবো কিছু সময়ের জন্য যাতে কিছু টাকা কামাই করে মিডেল ইস্টের কোনো দেশ ( মদিনা তে ইচ্ছা বেশি) চলে যাবো ব্যবসা করতে যদি সেই পরিমানে টাকা জমাতে পারি নতুবা পুনরায় বাংলাদেশে চলে আসবো জমানো টাকা দিয়ে ব্যবসা করবো এমনটা ভেবেছি। কিন্তু কথা হলো আমার হাজব্যান্ড আর আমার মধ্যে আমি স্টুডেন্ট ভিসায় যাবো এবং উনি স্পাউস হিসেবে এবং যেতে পারবো কি না তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। আর গেলেও ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর এ। সেই এইযে মাঝে এতোগুলো সময়, মাস দিন রয়েছে এই সময় যদি কোনো হারাম জায়গা তথা ব্যাংক থেকে চাকুরির অফার আসে সেইক্ষেত্রে আপাতত চাকুরী টা করা কি আমাদের জন্য জায়েজ হবে? আল্লাহ রাগান্বিত হবেন না তো। আমার এবং আমার হাজব্যান্ড এর সবসময় একটাই টার্গেট ছিল যতো যাই হোক হারামে যাবোই না। কিন্তু আমাদের কাছেই কিছু ই ধরা দেয় না। না হারাম , না হালাল। সবকিছু তে বাঁধা আর বাঁধা। আমাকে একটা পরিক্ষা দিতে হবে , আমার হাজব্যান্ড এর সাথে ডেনমার্ক যাওয়ার জন্য। এবং সেই পরীক্ষা তে পাশ করতে হলে মানসিক ভাবে আমাদের স্থির হতে হবে। এর জন্য দরকার টাকা কারন এই টাকার জন্য পরিবারের উপর নির্ভর করতে হয় এবং তারা আমাদের উঠতে বসতে কষ্ট দেয় কথা শুনায়। ফলে আমি স্পেশালি এখন পাগল প্রায়। মানসিক রোগী , সাথে আমার স্বামী ও। এই অবস্থা তে আমাদের জন্য কি ব্যাংকে আপাতত চাকুরীর সিদ্ধান্ত উচিত হবে? গুনাহ হবে কি? কারন সবকিছুর উর্ধ্বে আমরা আল্লাহ কে যেমন ভালোবাসি এবং বাসতে চাই তেমনটা আল্লাহ কে ভয় পেতে চাই। আমাদের জন্য করনীয় কি হবে যদি অন্য ব্যবস্থা না থাকে আপাতত। কারন অন্য দেশে টাকার সন্ধানে যেতে হলে আমাদের ঐ দেশের ইনি টেস্ট, পরীক্ষা দিতে হবে, মানসিক ভাবে স্থির থাকতে হবে বুদ্ধির সাথে পদক্ষেপ নিতে হবে যা এই অভাবে আমরা দিশেহারা হয়ে আছি। সুতরাং সব মিলিয়ে করনীয় কি।

1 Answer

+2 votes
by (597,330 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আল্লাহ তা'আলা বলেন, 
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اصْبِرُوا وَصَابِرُوا وَرَابِطُوا وَاتَّقُوا اللَّهَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ
হে ঈমানদানগণ! ধৈর্য্য ধারণ কর এবং মোকাবেলায় দৃঢ়তা অবলম্বন কর। আর আল্লাহকে ভয় করতে থাক যাতে তোমরা তোমাদের উদ্দেশ্য লাভে সমর্থ হতে পার।
(সূরায়ে আলে ইমরান-২০০)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি যে পরিস্থিতির কথা শুনালেন, এই পরিস্থিতিতে আমাদের পরামর্শ হবে, আপনারা উভয় মাগরিবের নামাযের পর সূরায়ে ওয়াকেয়ার আ'মল করতে থাকবেন। ইনশ'আল্লাহ হালাল রিযিকের ব্যবস্থা হবে।আল্লাহ পরীক্ষা নিচ্ছেন, ধর্য্যর সাথে মুকাবেলা করতে হবে। উপরোক্ত পরিস্থিতিতেও হারামের সংস্পর্শে না যাওয়াই ঈমানের তাকাযা। আপনার স্বামী নিজে ব্যবসা করবেন।ছোট থেকে ব্যবসা শুরু করবেন। আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইবেন। ইনশা'আল্লাহ বরকত হবে। হ্যা কখনো কোনো হালাল চাকুরীর অফার আসলে তাতে জয়েন হতে পারেন। ব্যাংক চাকুরীর ব্যতিত হালাল ইনকামের আরো অসংখ্য পথ ও ত্বরিকা রয়েছে।শুধুমাত্র পরিশ্রম ও নিয়তের প্রয়োজন। সুতরাং আপনার স্বামী হালাল চাকুরী করবেন। হ্যা, আপনারা ডেনমার্কে যেতে পারবেন।সেখানে হালাল ইনকাম করে জীবনাতিপাত করতে পারবেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...