আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
269 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (24 points)
আসসালামু আলাইকুম।
শায়েখ,

আমার মনে সবসময় বিভিন্ন ধরণের আজে বাজে চিন্তা-ভাবনা আসতে থাকে। বিশেষ করে আল্লাহ,রাসূল(সা:) ও কোরআন নিয়ে খুবই নোংরা কথা মাথায় আসতে থাকে। এসব চিন্তা ভাবনা আমাকে মানসিক ভাবে সবসময় কষ্ট দিতে থাকে। বেশ কয়েকমাস আগে তালাকের বিষয়ে একটা আর্টিকেল পড়ার পর থেকে আমি কোন সময় তালাক কথাটি মন থেকে সরাতে পারি না। প্রায় সবসময় মনের ভিতর তালাক- তালাক শব্দ আসতে থাকে। দিনের ভিতর যে কতবার তালাক শব্দ মনে আসে তার হিসাব নেই। ঘুমের ভিতরেও তালাক নিয়ে স্বপ্ন আসে। মুখ খুললেই তালাক উচ্চারণ করে ফেললাম কিনা সন্দেহ হতে থাকে, এবং আমি অস্থির হয়ে উঠি। বুক ধড়ফড় শুরু হয়। আর কোন কাজে মন বসাতে পারি না। সবসময় মনে এক প্রকার সন্দেহ কাজ করতে থাকে তালাক হয়ে গেল ভেবে। সারাটাদিন খুবই কষ্টে কাটে আমার। এই সমস্যা থেকে আমি বের হতে পারছি না।

(১) আজ সকালে একটা কারণে ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলাম। ডাক্তারের সাথে কথা বলার মাঝে ডাক্তার আমাকে আর দুই একটা রোগের সাথে সম্পর্ক আছে কিনা জিগ্গাসা করলো।
তখন আমি বললাম - না, আর কারো সাথে কোন সম্পর্ক নেই।

একথা বলার সাথে সাথে আমার মনে হচ্ছে, আমি মনে হয় আমার ওয়াইফের সাথে সম্পর্ক নেই তাই বললাম। এমন সন্দেহ মনের ভিতর বার বার আসছে। এরকম অনেক বিষয় যা স্বাভাবিক ভাবে বললেও মনে হয় আমি যেন সেই কথাটি আমি আমার ওয়াইফকে বলছি। সবসময় এমন বিষয় আমার মনে সংসয় সৃষ্টি করে।
এতে কি তালাক পতিত হবে শায়েখ???

(২) আমার মা বাবা সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমি আমার ওয়াইফকে নিয়ে যেন আলাদা হয়ে যায়। এতদিন একসাথে ছিলাম। এখন কিছু সমস্যার কারনে আলাদা হয়ে যেতে বলছে। এই আলাদা হবার বিষয়ে যদি কেউ জিগ্গাসা করলে আমি বলি হ্যা আমরা আলাদা হয়ে যাচ্ছি। কিন্তু যখন বলি তখন মনে হয় আমি যেন আমার ওয়াইফের সাথে সম্পর্ক না রেখে আলাদা হবার কথা বলছি। এরকম কথা আমার মনে আসতে থাকে। এরকম নানা রকমের উল্টাপাল্টা কথা মনে আসাতে আমি খুবই হতাশাগ্রস্থ।
এতে কি তালাক পতিত হবে শায়েখ???

1 Answer

0 votes
by (589,260 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ইমাম নববী রাহ উক্ত হাদীসের ব্যখ্যায় লিখেন,
ﻣﻌﻨﺎﻩ ﺃﻥ ﺍﻟﺸﻴﻄﺎﻥ ﺇﻧﻤﺎ ﻳﻮﺳﻮﺱ ﻟﻤﻦ ﺃﻳﺲ ﻣﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻓﻴﻨﻜﺪ ﻋﻠﻴﻪ ﺑﺎﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ؛ ﻟﻌﺠﺰﻩ ﻋﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻭﺃﻣﺎ ﺍﻟﻜﺎﻓﺮ : ﻓﺈﻧﻪ ﻳﺄﺗﻴﻪ ﻣﻦ ﺣﻴﺚ ﺷﺎﺀ ، ﻭﻻ ﻳﻘﺘﺼﺮ ﻓﻲ ﺣﻘﻪ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ، ﺑﻞ ﻳﺘﻼﻋﺐ ﺑﻪ ﻛﻴﻒ ﺃﺭﺍﺩ ، ﻓﻌﻠﻰ ﻫﺬﺍ ﻣﻌﻨﻰ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ : ﺳﺒﺐ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ : ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﺃﻭ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ﻋﻼﻣﺔ ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﻭﻫﺬﺍ ﺍﻟﻘﻮﻝ ﺍﺧﺘﻴﺎﺭ ﺍﻟﻘﺎﺿﻲ ﻋﻴﺎﺽ ...
অর্থাৎ শয়তান সে ব্যক্তিকেই প্ররোচনা দেয়,যাকে গোমরাহ করতে সে নিরাশ হয়ে যায়।সে কাউকে গোমরাহ করতে নিরাশ হয়ে গেলে সর্বশেষে সে মনে সন্দেহ ঢুকিয়ে দিতে চায়।
আর কাফিরের নিকট শয়তান যেকোনো থেকে যেহেতু আসতে পারে,তাই কাফিরকে প্ররোচনা দেয়ার কোনো প্রয়োজন তার থাকে না।কেননা সে যেকোনো সময় তার ইচ্ছামত কাফিরকে ব্যবহার করতে পারে।সুতরাং হাদীসের অর্থ হলো এই যে,ঈন্তরে ঈমানের দানা থাকার দরুণই শয়তান ঈমানদারদেরকে প্ররোচনা দিয়ে থাকে। এ বিষয়ে এটাই কাযী ঈয়ায রাহ এর পছন্দনীয় ব্যাখ্যা।
(আল-মিনহাজ্ব-২/১৫৪) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1379


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আল্লাহ ও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম' কে নিয়ে সর্বদা সুধারণা রাখবেন।কু-ধারণা আসলে সাথে সাথে আউযু বিল্লাহ পড়ে অজু করে দু রাকাত নামায পড়ে নিবেন।

(১) আজ সকালে একটা কারণে ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলাম। ডাক্তারের সাথে কথা বলার মাঝে ডাক্তার আমাকে আর দুই একটা রোগের সাথে সম্পর্ক আছে কিনা জিগ্গাসা করলো।
তখন আমি বললাম - না, আর কারো সাথে কোন সম্পর্ক নেই।
একথা বলার সাথে সাথে আমার মনে হচ্ছে, আমি মনে হয় আমার ওয়াইফের সাথে সম্পর্ক নেই তাই বললাম। এমন সন্দেহ মনের ভিতর বার বার আসছে। এরকম অনেক বিষয় যা স্বাভাবিক ভাবে বললেও মনে হয় আমি যেন সেই কথাটি আমি আমার ওয়াইফকে বলছি। সবসময় এমন বিষয় আমার মনে সংসয় সৃষ্টি করে।

এতে তালাক পতিত হবে না।

(২) আমার মা বাবা সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমি আমার ওয়াইফকে নিয়ে যেন আলাদা হয়ে যায়। এতদিন একসাথে ছিলাম। এখন কিছু সমস্যার কারনে আলাদা হয়ে যেতে বলছে। এই আলাদা হবার বিষয়ে যদি কেউ জিগ্গাসা করলে আমি বলি হ্যা আমরা আলাদা হয়ে যাচ্ছি। কিন্তু যখন বলি তখন মনে হয় আমি যেন আমার ওয়াইফের সাথে সম্পর্ক না রেখে আলাদা হবার কথা বলছি। এরকম কথা আমার মনে আসতে থাকে। এরকম নানা রকমের উল্টাপাল্টা কথা মনে আসাতে আমি খুবই হতাশাগ্রস্থ।

এতে কি তালাক পতিত হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...