ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ইমাম নববী রাহ উক্ত হাদীসের ব্যখ্যায় লিখেন,
ﻣﻌﻨﺎﻩ ﺃﻥ ﺍﻟﺸﻴﻄﺎﻥ ﺇﻧﻤﺎ ﻳﻮﺳﻮﺱ ﻟﻤﻦ ﺃﻳﺲ ﻣﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻓﻴﻨﻜﺪ ﻋﻠﻴﻪ ﺑﺎﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ؛ ﻟﻌﺠﺰﻩ ﻋﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻭﺃﻣﺎ ﺍﻟﻜﺎﻓﺮ : ﻓﺈﻧﻪ ﻳﺄﺗﻴﻪ ﻣﻦ ﺣﻴﺚ ﺷﺎﺀ ، ﻭﻻ ﻳﻘﺘﺼﺮ ﻓﻲ ﺣﻘﻪ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ، ﺑﻞ ﻳﺘﻼﻋﺐ ﺑﻪ ﻛﻴﻒ ﺃﺭﺍﺩ ، ﻓﻌﻠﻰ ﻫﺬﺍ ﻣﻌﻨﻰ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ : ﺳﺒﺐ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ : ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﺃﻭ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ﻋﻼﻣﺔ ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﻭﻫﺬﺍ ﺍﻟﻘﻮﻝ ﺍﺧﺘﻴﺎﺭ ﺍﻟﻘﺎﺿﻲ ﻋﻴﺎﺽ ...
অর্থাৎ শয়তান সে ব্যক্তিকেই প্ররোচনা দেয়,যাকে গোমরাহ করতে সে নিরাশ হয়ে যায়।সে কাউকে গোমরাহ করতে নিরাশ হয়ে গেলে সর্বশেষে সে মনে সন্দেহ ঢুকিয়ে দিতে চায়।
আর কাফিরের নিকট শয়তান যেকোনো থেকে যেহেতু আসতে পারে,তাই কাফিরকে প্ররোচনা দেয়ার কোনো প্রয়োজন তার থাকে না।কেননা সে যেকোনো সময় তার ইচ্ছামত কাফিরকে ব্যবহার করতে পারে।সুতরাং হাদীসের অর্থ হলো এই যে,ঈন্তরে ঈমানের দানা থাকার দরুণই শয়তান ঈমানদারদেরকে প্ররোচনা দিয়ে থাকে। এ বিষয়ে এটাই কাযী ঈয়ায রাহ এর পছন্দনীয় ব্যাখ্যা।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আল্লাহ ও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম' কে নিয়ে সর্বদা সুধারণা রাখবেন।কু-ধারণা আসলে সাথে সাথে আউযু বিল্লাহ পড়ে অজু করে দু রাকাত নামায পড়ে নিবেন।
(১) আজ সকালে একটা কারণে ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলাম। ডাক্তারের সাথে কথা বলার মাঝে ডাক্তার আমাকে আর দুই একটা রোগের সাথে সম্পর্ক আছে কিনা জিগ্গাসা করলো।
তখন আমি বললাম - না, আর কারো সাথে কোন সম্পর্ক নেই।
একথা বলার সাথে সাথে আমার মনে হচ্ছে, আমি মনে হয় আমার ওয়াইফের সাথে সম্পর্ক নেই তাই বললাম। এমন সন্দেহ মনের ভিতর বার বার আসছে। এরকম অনেক বিষয় যা স্বাভাবিক ভাবে বললেও মনে হয় আমি যেন সেই কথাটি আমি আমার ওয়াইফকে বলছি। সবসময় এমন বিষয় আমার মনে সংসয় সৃষ্টি করে।
এতে তালাক পতিত হবে না।
(২) আমার মা বাবা সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমি আমার ওয়াইফকে নিয়ে যেন আলাদা হয়ে যায়। এতদিন একসাথে ছিলাম। এখন কিছু সমস্যার কারনে আলাদা হয়ে যেতে বলছে। এই আলাদা হবার বিষয়ে যদি কেউ জিগ্গাসা করলে আমি বলি হ্যা আমরা আলাদা হয়ে যাচ্ছি। কিন্তু যখন বলি তখন মনে হয় আমি যেন আমার ওয়াইফের সাথে সম্পর্ক না রেখে আলাদা হবার কথা বলছি। এরকম কথা আমার মনে আসতে থাকে। এরকম নানা রকমের উল্টাপাল্টা কথা মনে আসাতে আমি খুবই হতাশাগ্রস্থ।
এতে কি তালাক পতিত হবে না।