আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
298 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (11 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম উস্তাদ। আশা করি আল্লাহের রহমতে ভালো আছেন।

উস্তাদ এখানে একজন ফেসবুক ব্যাবহারকারীর বক্তব্যের ছবি দেওয়া আছে https://postimg.cc/CnxcX8xF
আপনারা দেখুন, পড়ুন.. দরকার হলে যথেষ্ট সময় নিয়েই বলেন যে এসব বক্তব্য সজ্ঞানে, সুস্থ অবস্থায় যদি কেউ প্রদান করে তাহলে তাকে মুসলিম বলা যাবে কিনা? তার এই কথার মাধ্যমে কি কুরআন, হাদিসে অসংখ্য জায়গায় বর্ণিত রাতের ইবাদাতের গুরুত্ব, ফযিলতের কথার বিরুদ্ধাচারন হয়নি? তার এই কথার মাধ্যমে কি আল্লাহের শেষ রাতে বান্দার দুয়া কবুলের জন্য প্রথম আসমানে নেমে আসার যে মর্তবা তার প্রতি উদ্ধত্ততা প্রকাশ পায়নি?
তাকে কি দরকার হবে কিনা কালেমা দোহরানো?
আর যদি বলা যায়েও কোন মূলনীতির ভিত্তিতে তাকে বলা যাবে ইমানদার?  অনুগ্রহ করে আলোকপাত করবেন। আপনারা যারা সংশ্লিষ্ট আছেন এই ইফতা বোর্ডে, মুফতি ইমদাদুল হক হুজুর, মুফতি অলি উল্লাহ হুজুর, মুফতি আবদুল ওয়াহিদ হুজুর, মুফতি মজিবুর রহমান হুজুর আপনাদের সবার কাছে প্রশ্ন।
।।শেষে মুফতি হারুন ইজহার ফাঃ আঃ এর এই কথাটি মনে পরার মত...  "মোল্লা আলি ক্বারি রহঃ বলেন, "যাকে তাকে ইসলাম থেকে বের করে দেওয়া যেমন জঘন্যতম তেমনি যাকে তাকে ইসলামে ঢুকিয়ে দেওয়াও জঘন্যতম।" তাই সমাজ যখন জাহিলিয়াতের, সংঘবদ্ধ এই জীবন যখন জাহিলিয়াতের, তখন বরং ইমানদার বলার ব্যাপারে এহতিয়াত করতে হবে"

https://www.youtube.com/watch?v=wPKZOrgOUVY
।।
by (11 points)
edited by
https://postimg.cc/gallery/d0FSmby

এই লোকের আরও কিছু ব্যাঙ্গ বিদ্রূপাত্মক লেখালেখি। উস্তাদ্গন, এগুলো দেখে বিশদ চিন্তা ভাবনা করেই উত্তরটি দিয়েন। বিশেষ করে সে রাসুল সা আর আমাদের প্রিয় সাহাবী হানযালা রাঃ এর ব্যাপারে সে যেভাবে ব্যাঙ্গ করেছে, ধরুন এগুলো রাসুল সা বা সাহাবী আজমাইনগণ যদি নিজেরা চাক্ষুষ দেখতেন তাহলে কি করতেন।। আমরা সকলেই উনাদের প্রতিনিধি আর উলামায়ে কিরাম হলেন উনাদের সিলসিলা বহনকারি।। 

https://postimg.cc/0z37ftQf

আর এখানে বলা হল, খেলার সময় সৌদি খেলোয়াড়দের সাথে ফেরেশতারাও খেলছেন (নাউযুবিল্লাহ) তাই নাকি এরা জিতসে। এখন যদি এরা খেলায় হারে তখন তো ফেরেশতারা খেলায় পারেন নাই (নাউযুবিল্লাহ) এমন চিন্তার উদ্রেগ হয়। এগুলো এভাবে লেখতে হচ্ছে আপনাদের কাছে বর্তমান এই বিশ্বকাপের ভয়াবহ রুপ সম্পর্কে অবগত করার জন্য কিন্তু একজন মুসলিমের পক্ষে বুক কাপা ছাড়া এসব কথা লেখা বলা তো দূরে থাক মনে আনাই তো অসম্ভব হওয়ার কথা ছিল... 

1 Answer

0 votes
by (588,060 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
কাউকে অমুসলিম বানিয়ে নিতে বা অমুসলিম ঘোষনা করতে যেয়ে নিজের বা উম্মাহর কি লাভ হতে তাতে!!

হ্যা, বাস্তবেই যদি কোনো কথাবার্তায় বা আকিদা বিশ্বাসে কারো ঈমান চলে যায়, তাহলে তাকে নসিহত করা যেতে পারে।এক্ষেত্রে নমনীয়তাকে গ্রহণ করে তাকে নসিহা করতে হবে। তাহলে সবারই ফায়দা হবে।

يَأَيُّهَا الرَّسُوْلُ بَلِّغْ مَا أُنْزِلَ إِلَيْكَ مِنْ رَّبِّكَ وَإِنْ لَمْ تَفْعَلْ فَمَا بَلَّغْتَ رِسَالَتَهُ وَاللهُ يَعْصِمُكَ مِنَ النَّاسِ إِنَّ اللهَ لاَ يَهْدِى الْقَوْمَ الْكَافِرِيْنَ-
‘হে রাসূল! আপনার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে আপনার প্রতি যা অবতীর্ণ করা হয়েছে তা পৌঁছে দিন। আপনি যদি এরূপ না করেন তবে আপনি তাঁর রিসালাত পৌঁছালেন না। আল্লাহ আপনাকে মানুষের অনিষ্ট থেকে রক্ষা করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ অস্বীকারকারী সম্প্রদায়কে সঠিক পথ দেখান না’ (মায়েদা ৬৭)।


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
"সারা রাতের প্রার্থনার চেয়ে মেসির গোলের সৌন্দর্য অনেক বেশী"
এই কথা কুরআন, হাদিসে অসংখ্য জায়গায় বর্ণিত রাতের ইবাদাতের গুরুত্ব, ফযিলতের কথার বিরুদ্ধাচারন হয়েছে। হারাম হালালের উপর শ্রেষ্টত্ব প্রদাণের চেষ্টা করা হয়েছে।সুতরাং ঈমান চলে যাবে।যে ভাই বলেছেন, উনি ঈমানকে নবায়ন করবেন। আল্লাহ উনাকে হেদায়ত দান করুক।আমীন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (588,060 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...