আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
148 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।
কিন্তু আমি যে বিষয়টি নিয়ে জানতে চাই তা হলো, একজন ভাই যেকিনা আগে সাধারণ মুসলিম ছিল। আল্লাহর রহমতে তার মাঝে দ্বীনের বুঝ আসে। দ্বীনের বুঝ আসাটা একটা দীর্ঘমেয়াদী সময়।
দ্বীনের বুঝ আসার আগে সে একটা হারাম সম্পর্কে ছিল এবং সেই সম্পর্কে দুজনেই গভীর ঘনিষ্ট ছিল, আল্লাহুল্লাগফিরলি। দুজনের বাড়িতে উভয়ের পছন্দের কথা জানতো।
কিন্তু ভাইটি দ্বীন বোঝার পর এই হারাম সম্পর্ক হালালে পরিবর্তন করতে চায়। সে ২ একবার মেয়েটিকে দাওয়াত দেয়, বোঝায়। কিন্তু মেয়েটি কোনোভাবেই দ্বীনকে মেনে নিতে রাজি না। সে বলে যে যতটুকু না মানলেই নয় ততটুকু মানবো। উল্লেখ্য যে, মেয়েটি পরিপূর্ণ পর্দা করতেও নারাজ। কিন্তু মেয়েটি ছেলেটিকে বিয়ে করতে রাজি, তবে মেয়েটি দ্বীনকে সম্পূর্নভাবে মানতে নারাজ এবং সে চাকরী করতে চায়। বিদেশে যেতে চায়।

সে দাবী করে সে ছেলেটিকে না পেলে সে সুইসাইড করবে, কিন্তু ছেলেটি যেভাবে দ্বীনকে আকঁড়ে ধরে থাকতে চায় সেভাবে মেয়েটি নিজের জীবন অতিবাহিত করতে চায় না। সে স্বাধীনচেতা।
এমতাবস্থায় মেয়েটিকে বিবাহ করার ব্যপারে কি করবে ভাইটি?

ভাইটি যেহেতু মেয়েটির সাথে ঘনিষ্ট ছিল পূর্বে, তাই সেও চায় মেয়েটি দ্বীন মেনে চলুক এবং তারা হালালভাবে জীবনযাপন করুক। কিন্তু মেয়েটি চায় না দ্বীন মানতে, সে পরিপুর্ণ পর্দা করতেও চায় না। সে দ্বীনি পরিবেশ পায় না, তাই সে এমনটা করতে পারে না একথা বলে। ভাইটি প্রস্তাব দেয় যে তাকে বিবাহ করে ভাই দ্বীনি পরিবেশ তৈরী করে দিবেন। কিন্তু মেয়েটি ভাইয়ের পরিবারের সাথে থাকতে চায় না। কারন, তার ইচ্ছে চাকরী করা বিদেশে যাওয়া। কিন্তু সে ভাইকে জীবনসঙ্গী হিসেবে চায়। এক্ষেত্রে কি করনীয়?

[বিদ্রঃ মেয়েটিকে অনেকভাবে দাওয়া দেয়া হয়েছে।]

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেনঃ
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : ( تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ لِأَرْبَعٍ : لِمَالِهَا ، وَلِحَسَبِهَا ، وَلِجَمَالِهَا ، وَلِدِينِهَا ، فَاظْفَرْ بِذَاتِ الدِّينِ تَرِبَتْ يَدَاكَ)
চারটি জিনিস দেখে মহিলাকে সাধারণত বিয়ে করা হয়,(১)সম্পদ(২)বংশ(৩)সুন্দর্য্য (৪)দ্বীনদারী।
কিন্তু তুমি দ্বীনদারীত্বকে অগ্রাধিকার দাও।{যদি তা না করো তবে তুমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে(تَرِبَتْ يَدَاكَ এর অনেক ব্যাখার একটি ব্যাখা)}(সহীহ বুখারী-৪৮০২সহীহ মুসলিম-১৪৬৬)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/18

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি অতিতের গোনাহের জন্য ক্ষমা চাইবেন।মেয়েকে দ্বীন মানতে বলবেন।সে যদি দ্বীন মানতে না চায়, তাহলে তার সাথে বিয়ে করে আপনার দ্বীন দুনিয়া উভয়টি সংকটে পড়বে।সুতরাং ভেবেচিন্তে আপনি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (590,550 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...