ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
মানুষদের বিভ্রান্ত ও গোমরাহ করা।
فعن عبد الله بن عمرو بن العاص رضي الله عنهما أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال : ( إِنَّ اللَّهَ لاَ يَقْبِضُ الْعِلْمَ انْتِزَاعًا ، يَنْتَزِعُهُ مِنَ الْعِبَادِ ، وَلَكِنْ يَقْبِضُ الْعِلْمَ بِقَبْضِ الْعُلَمَاءِ ، حَتَّى إِذَا لَمْ يُبْقِ عَالِمًا اتَّخَذَ النَّاسُ رُءُوسًا جُهَّالاً فَسُئِلُوا فَأَفْتَوْا بِغَيْرِ عِلْمٍ فَضَلُّوا وَأَضَلُّوا ) رواه البخاري (100) ومسلم (2673) .
মর্মার্থ- একদিন এমন আসবে যখন মানুষ ইলম ছাড়া ফাতাওয়া দিবে,এবং নিজেও গোমরাহ হবে এবং লোকজনকেও গোমরাহ করবে।
ইলম ছাড়া মুফতী হক রাস্তা থেকে গুমারাহ হয়ে যান।এবং যারা তার অনুসরণ করবে,তারা সবাই তার ফাতাওয়া দ্বারা গোরাহ হবে।
ইবনে মাসউদ রাযি বলেন,
وقال ابن مسعود : ( من كان عنده علم فليقل به ، ومن لم يكن عنده علم فليقل : الله أعلم ، فإن الله قال لنبيه : ( قُلْ مَا أَسْأَلُكُمْ عَلَيْهِ مِنْ أَجْرٍ وَمَا أَنَا مِنَ الْمُتَكَلِّفِينَ )
যার ইলম থাকবে,সে ফাতাওয়া দিবে।আর যার সে সম্পর্কে ইলম নেই, সে বলবে,আল্লাহ-ই ভালো জানেন।কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেন,
قُلْ مَا أَسْأَلُكُمْ عَلَيْهِ مِنْ أَجْرٍ وَمَا أَنَا مِنَ الْمُتَكَلِّفِينَ
বলুন, আমি তোমাদের কাছে কোন প্রতিদান চাই না, আর আমি লৌকিকতাকারীও নই।(সূরা ছোয়াদ-৮৬)(এ'লামুল মুআওয়্যিকিন-২/১৮৫)
ইচ্ছা করে ভূল জবাব প্রদান হারাম।যেমন হাদীসে বর্ণিত হয়েছে-হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ سُئِلَ عَنْ عِلْمٍ فَكَتَمَهُ أَلْجَمَهُ اللَّهُ بِلِجَامٍ مِنْ نَارٍ يَوْمَ الْقِيَامَةِ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,কাউকে কোনো ইলম জিজ্ঞাসা করা হলে,যদি সে সেই ইলমকে লুকিয়ে রাখে,তাহলে কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা'আলা আগুনের লাগাম পড়াবেন।(সুনানে আবু দাউদ-৩৬৫৮,সুনানে তিরমিযি-২৬৪৯,সুনানে ইবনে মা'জা-২৬৪)
তবে যদি মুফতির ইজতেহাদি ভূল হয়, তথা সঠিক মাস'আলা বের করতে যেয়ে যদি ঘটনাক্রমে কোনো ভূল হয়ে যায়,তাহলে তখন মুফতি এক সওয়াব পাবেন।আর সঠিক হলে তো দুই সওয়াব অবশ্যই পাবেন-ই। যারা মুফতির কোনো ভূল সিদ্ধান্তের উপর আ’মল করবেন, তারা অবশ্যই আল্লাহর কাছে ছাড় পেয়ে যাবেন।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/10967
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি যেই সব বিষয় উল্লেখ করেছেন, সেগুলো ইজতেহাদি তথা ইখতেলাফি বিষয়। অর্থাৎ এই বিষয় গুলো সম্পর্কে উলামাদের মধ্যে ইখতেলাফ রয়েছে। এই বিষয়গুলো যদি এমন কোনো এলাকায় প্রচার করা যেখানে ভিন্ন মাযহাব পূর্ব থেকে প্রচলিত, তাহলে এমনটা করা কখনো জায়েয হবে না। বরং এই প্রচার কাজ স্পষ্টত লোকদেরকে গোমড়াহ করার নামান্তর। সুতরাং এই বিষয়গুলো যেখানে প্রচারিত হবে, সেই এলাকায় এর উল্টো বিষয়কে দলীলসহ উপস্থাপন করা অতীব জরুরী।