জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
সুন্নাত নামাজের পরেই আপনার চেক করা উচিত ছিলো।
এখন আপনি যেহেতু ফরজ নামাজও আদায় করেছেন,সেক্ষেত্রে এখন আপনি নামাজের পর চেক করুন,যে আসলেই ভেজা আছে কিনা?
যদি ভেজা পাওয়া যায় বা নাপাকীর গন্ধ পাওয়া যায়,সেক্ষেত্রে উক্ত ফরজ নামাজ পুনরায় আদায় করতে হবে।
ওয়াক্ত বাকি থাকলে সেই সুন্নাত নামাজও আদায় করতে হবে।
আর যদি আপনি কোনো ভেজা না পান,নাপাকির কোনো গন্ধও না পান,সেক্ষেত্রে আপনার নামাজ হয়ে গিয়েছে।
পুনরায় আদায় করতে হবেনা।
(০২)
আপনাকে বেশি পরিমাণে কোরআন তেলাওয়াত করার ও শোনার পরামর্শ দিচ্ছি।
আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَإِذَا تُلِيَتْ عَلَيْهِمْ آيَاتُهُ زَادَتْهُمْ إِيمَانًا
আর যখন তাদের সামনে পাঠ করা হয় কালাম, তখন তাদের ঈমান বেড়ে যায়। (সূরা আনফাল ২)
অধিকহারে আল্লাহর যিকির করুন। কেননা, দুর্বল ঈমানের সুস্থতার জন্য যিকির খুবই উপকারী। আল্লাহর যিকির অন্তরে ঈমানের বীজ বপন করে। মুমিনের অন্তর যিকিরের মাধ্যমে প্রশান্ত হয়।
আল্লাহ তাআলা বলেন,
الَّذِينَ آمَنُواْ وَتَطْمَئِنُّ قُلُوبُهُم بِذِكْرِ اللّهِ أَلاَ بِذِكْرِ اللّهِ تَطْمَئِنُّ الْقُلُوبُ
যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং তাদের অন্তর আল্লাহর যিকির দ্বারা শান্তি লাভ করে; জেনে রাখ, আল্লাহর যিকির দ্বারাই অন্তর সমূহ শান্তি পায়। (সূরা রা’দ ২৮)
আল্লাহ তাআলা বলেন,
اَلَمْ يَأْنِ لِلَّذِيْنَ آمَنُوْا اَنْ تَخْشَعَ قُلُوْبُهُمْ لِذِكْرِ اللهِ وَمَا نَزَلَ مِنَ الْحَقِّ
যারা ঈমান আনে তাদের হৃদয় কি আল্লাহর স্মরণে ও যে সত্য অবতীর্ণ হয়েছে তাতে বিগলিত হওয়ার সময় কি আসে নি? (সূরা হাদীদ ১৬)