জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
قَالَ عَطَاءٌ: «تَوَضَّأْ مِنْ كُلِّ حَدَثٍ مِنَ الْبَوْلِ، وَالْخَلَاءِ، وَالْفُسَاءِ، وَالضُّرَاطِ، وَمِنْ كُلِّ حَدَثٍ يَخْرُجُ مِنَ الْإِنْسَانِ
হযরত আত্বা রহঃ বলেন, অযু কর প্রত্যেক হদসের কারণে। যেমন পেশাব, পায়খানা, বায়ু বের হওয়া শব্দসহ বা শব্দ ছাড়া। প্রতিটি বস্তু যা মানুষের শরীর থেকে বের হয়। [মুসান্নাফ আব্দুর রাজ্জাক-১/১৩৯, হাদীস নং-৫২৭]
۔
قال في الہدایۃ: المعاني الناقضۃ للوضوء کل ما خرج من السبیلین، لقولہ تعالیٰ: {اَوْ جَآئَ اَحَدٌ مِنْکُمْ مِنَ الْغَآئِطِ} [المائدۃ: ۶]
সারমর্মঃ
অযু ভঙ্গের কারন, পায়খানা বা পেশাবের রাস্তা দিয়ে কোনো কিছু বের হওয়া।
আরো জানুনঃ-
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত সেটি সাদা স্রাব হোক বা পানির মতোই হোক,সেটি যেহেতু লজ্জাস্থান থেকে নামাজের মধ্যে বের হয়েছে,সুতরাং আপনার নামাজ ভেঙ্গে গিয়েছে।
উক্ত নামাজ পুনরায় আদায় করতে হবে।
হ্যাঁ যদি আপনার প্রবল ধারনা হয় যে নামাজের আগে কোনো পাক পানি সেখানে লেগেছিলো,যার ভেজা এখম দেখা যাচ্ছে,সেক্ষেত্রে উক্ত নামাজ পুনরায় আদায় করতে হবেনা।
★যদি সালাত পড়াকালীনই অনুভব হয় যে, হয়ত সাদা স্রাব বের হয়ে গেছে। এমন অবস্থায়, আপনার জন্য করনীয় হলো নামাজ ছেড়ে দিয়ে উক্ত স্থান পাক করে অযু করে এসে নামাজ উক্ত স্থান থেকে আদায় করা।
পতিমধ্যে কাহারো সাথে কথাবার্তা বলা,খানা খাওয়া পানি পান ইত্যাদি নামাজ ভঙ্গের কাজ করা যাবেনা।
★নামাজে যদি সাদা স্রাব বের হওয়ার ব্যাপারে আপনার ওয়াসওয়াসা বা ভয় হত কিন্তু সালাত পড়াকালীন সাদা স্রাব বের হওয়ার মতো কিছু অনুভূত না হয়, তবে সালাত শেষে অওরা ভেজা পাওয়া গেলে তখন পাক হয়ে এসে উক্ত নামাজ পুনরায় আদায় করতে হবে।