খাতনা তথা মুসলমানী করা গুরুত্বপূর্ণ একটি সুন্নাত।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
وَعَنْ أَبِي أَيُّوبَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ أَرْبَعٌ مِنْ سُنَنِ الْمُرْسَلِينَ الْحَيَاءُ وَيُرْوَى الخِتَانُ وَالتَّعَطُّرُ وَالسِّوَاكُ وَالنِّكَاحُ. رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ
আবূ আইয়ূব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ চারটি বিষয় নাবী-রসূলদের সুন্নাতের অন্তর্ভুক্ত- (১) লজ্জাশীলতা, আর এক বর্ণনায় এর স্থলে খতনার কথা বলা হয়েছে; (২) সুগন্ধি ব্যবহার করা; (৩) মিসওয়াক করা এবং (৪) বিয়ে করা।
(তিরমিযী ১০৮০, ইরওয়া ৩৩।)
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ - قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " الْفِطْرَةُ خَمْسٌ : الْخِتَانُ ، وَالِاسْتِحْدَادُ ، وَقَصُّ الشَّارِبِ ، وَتَقْلِيمُ الْأَظْفَارِ ، وَنَتْفُ الْإِبِطِ " .
আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ পাঁচটি জিনিস ফিতরাত- ১. খতনা করা, ২. নাভির নিম্নের অবাঞ্ছিত লোম পরিষ্কার করা, ৩. গোঁফ কাটা, ৪. নখ কাটা, ৫. বগলের লোম উপড়িয়ে ফেলা।
(বুখারী ৫৮৮৯, ৫৮৯১, ৬২৯৭; মুসলিম (২৫৭)-৪৯, আবূ দাঊদ ৪১৯৮, ইবনু মাজাহ ২৯২, নাসায়ী ৯, ইরওয়া ৭৩, তিরমিযী ২৭৫৬, আবূ দাঊদ ৪১৯৮, আল আদাবুল মুফরাদ ১২৯২, আস্ সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৭০৬, আল মু‘জামুল আত্তসাত্ব ৩৫৫, আল মু‘জামুল কাবীর লিত্ব ত্ববারানী ২৭৩, শু‘আবুল ঈমান ২৭৫৯, সহীহ ইবনু হিব্বান ৫৪৮০, মা‘রিফাতুস্ সুনান ওয়াল আসার ৩৪৩।)
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ اللهِ الأُوَيْسِيُّ قَالَ: حَدَّثَنِي سُلَيْمَانُ بْنُ بِلاَلٍ، عَنْ يُونُسَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ قَالَ: وَكَانَ الرَّجُلُ إِذَا أَسْلَمَ أُمِرَ بِالِاخْتِتَانِ وَإِنْ كَانَ كَبِيرًا.
ইবনে শিহাব যুহরী রাহ. বলেন, কোনো ব্যক্তি যখন ইসলাম গ্রহণ করত তখন সে বড় (বয়স্ক) হলেও তাকে খতনা করার আদেশ করা হত। -আলআদাবুল মুফরাদ, হাদীস : ১২৫২,(১২৬৪)
খতনার উত্তম সময়ের ব্যাপারে ফকীহগণ বলেন, শিশুর শারীরিক উপযুক্ততা ও তার বালেগ হওয়ার কাছাকাছি বয়সে পৌঁছার আগেই বা এর মাঝামাঝি সময়ে যেমন, ৭-১০ বছর বা অনুর্ধ্ব ১২ বছরের মধ্যে করে নেওয়া উত্তম।
আর খতনা উপলক্ষ্যে কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন করার প্রমাণ নেই। তাছাড়া বর্তমানে যে জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের রেওয়াজ শুরু হয়েছে তা অবশ্যই বর্জনীয়। এছাড়া এতে গান-বাদ্য ইত্যাদি শরীয়তবিরোধী কোনো কিছু থাকলে তা তো সম্পূর্ণ নাজায়েয হবে।
শরীয়তের বিধান মতে অমুসলিম ডাক্তারের কাছ থেকে চিকিৎসা গ্রহণ নাজায়েয নয়। হ্যা, উত্তম হল, মুসলিম ডাক্তারের নিকট থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করা।
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে অমুসলিম ডাক্তারের কাছ হতে আপনার ছেলের খতনা করানো যাবে।
যেহেতু জাপানে আপনি অমুসলিম ডাক্তার ব্যতিত ভালো কোনো ডাক্তার নাও পেতে পারেন, তাই আপনার জন্য উক্ত অমুসলিম ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়াতে কোনো সমস্যা নেই।।