আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
214 views
in পবিত্রতা (Purity) by (5 points)
আসসালামু আলাইকুম শায়েখ, নেফাস ৪০ দিন পর্যন্ত ধরা হয়। কিন্তু এর আগেও অনেকে পবিত্র হয়ে যায় কারণ সাদা স্রাব দেখা যায়। আমিও ৪০ দিন শেষ হবার আগে অর্থাৎ ৩০ দিনের মাথায় সাদা স্রাব দেখে যথারীতি নামাজ কালাম এবং কুরআন পাঠ করি এবং স্বামীর সাথে থাকি,কোন সমস্যা হয় নি। কিন্তু এখন ৩৭ দিনের দিন আবার ব্লিডিং হচ্ছে। এমন অবস্থায় আমার কি করণীয়?  আর এরকম চলতে থাকলে পরবর্তীতে আমি আমার হায়েজের তারিখ কীভাবে নির্ধারণ করবো.?

জাজাকাল্লাহ খাইরান শায়েখ। আল্লাহ আপনাদের দুনিয়া ও আখেরাত কে কল্যাণময় করুক।

1 Answer

0 votes
by (566,160 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


https://ifatwa.info/26064/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
  
عَنْ أَنَسٍ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «وَقَّتَ لِلنُّفَسَاءِ أَرْبَعِينَ يَوْمًا، إِلَّا أَنْ تَرَى الطُّهْرَ قَبْلَ ذَلِكَ

হযরত আনাস রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নেফাসওয়ালী মহিলাদের মেয়াদ সাব্যস্ত করেছেন চল্লিশ দিন। তবে যদি এর আগে পবিত্র হয়ে যায়, তাহলে ভিন্ন কথা। [সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৬৪৯, আলমুজামুল আওসাত, হাদীস নং-৮৩১১, সুনানে দারাকুতনী, হাদীস নং-৮৫২, সুনানে কুবরালিলবায়হাকী, হাদীস নং-১৬১৯]

فى تنوير الابصار: والنفاس لغة : دمن ويخرج عقب ولد، لا حد لاقله، واكثره أربعين يوما (رد المحتار، كتاب الطهارة، باب الحيض-1/496-497)
সারমর্মঃ সন্তান ভুমিষ্ঠের পর যেই রক্ত বের হয়,সেটাকে নেফাস বলা হয়,তার সর্বোচ্চ মেয়াদ হল চল্লিশ দিন। 

الدر المختار: (300/1- 301)
(واکثرہ اربعون یوما) … (والزائد) علی أکثرہ( استحاضۃ) لو مبتدأۃ أما المعتادۃ فترد لعادتہا وکذا الحیض فان انقطع علی اکثرھماأو قبلہ فالکل نفاس۔
সারমর্মঃ-
নেফাসের সর্বোচ্চ মেয়াদ হলো চল্লিশ দিন।
এর বেশি হলে তাহা ইস্তেহাজা বলে গন্য হবে।
তবে যদি এটি প্রথম সন্তান না হয়,বরং পরবর্তী কোনো সন্তান হয়,তাহলে অভ্যাস থেকে বেশি দিন ইস্তেহাজা বলে গন্য হবে।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আপনার কি এটাই প্রথম সন্তান?
নাকি এটা ২য় বা পরবর্তী কোনো সন্তান?
যদি এটিই আপনার প্রথম সন্তান হয়,তাহলে ৪০ তম দিন পর্যন্ত নেফাস বলে গন্য হবে।
তবে এটি যদি চলমান থাকে,তাহলে ৪১ তম দিন থেকে ইস্তেহাজা ধরতে হবে।
সেই হিসেবে ৩০ তম দিন থেকে যে নেফাস বন্ধ হয়েছিলো,সেই দিন গুলোও ৪০ দিন (যদি ৪০ তম দিন পর্যন্ত রক্ত আসে সে) পর্যন্ত নেফাস বলেই গন্য হবে। 

★আর যদি এটি আপনার ২য় বা পরবর্তী কোনো সন্তান হয়,তাহলে সেক্ষেত্রে জানতে হবে যে আপনার আগের সন্তান গুলোর ক্ষেত্রে কতদিন নেফাস চালু ছিলো?

যদি আগের বার গুলোর ক্ষেত্রে ৩৭ দিনের আগেই বন্ধ হয়ে থাকে,তাহলে এইবার এই ৩৭ তম দিনের রক্ত ইস্তেহাজা।
এটি নেফাস নয়।
নামাজ আদায় করতে হবে।

আর যদি আগের বার গুলোতেও ৪০ দিন নেফাস চালু থাকে,তাহলে ৩৭ তম দিনের এই রক্তকে নেফাস ধরা হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (5 points)
এটা আমার ১ম সন্তান শায়েখ। আর আমি যে তাহলে নামাজ শুরু করে দিয়েছিলাম আর স্বামীর সাথে মিলিতও হয়েছিলাম। সেটার জন্য কি গুনাহ হবে? আমার বুঝার কোন উপায় ই ছিলো না যে আমার নেফাস শেষ হয় নি। আর এখন কি তাহলে আমি ৪০ দিন হবার অপেক্ষা করব আবার নামাজ ও অনান্য ইবাদত বন্ধ রেখে.?
জাজাকাল্লাহ খাইরান শায়েখ। 
by (566,160 points)
এতে আল্লাহ তায়ালা আপনাকে মাফ করবেন।
এখন ৪০ দিন পর্যন্ত নামাজ বন্ধ রাখবেন।
তবে যদি ৪০ দিনের আগে আবারো নেফাস বন্ধ হয়ে যায়,সেক্ষেত্রে গোসল করে নামাজ ও অনান্য ইবাদত শুরু করবেন।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...