বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
সতরে আওরাহ এর সংজ্ঞাঃ
ﻭَﺳِﺘْﺮُ ﺍﻟْﻌَﻮْﺭَﺓِ ﻓِﻲ ﺍﺻْﻄِﻼَﺡِ ﺍﻟْﻔُﻘَﻬَﺎﺀِ ﻫُﻮَ : ﺗَﻐْﻄِﻴَﺔُ ﺍﻹِْﻧْﺴَﺎﻥِ ﻣَﺎ ﻳَﻘْﺒُﺢُ ﻇُﻬُﻮﺭُﻩُ ﻭَﻳُﺴْﺘَﺤَﻰ ﻣِﻨْﻪُ ، ﺫَﻛَﺮًﺍ ﻛَﺎﻥَ ﺃَﻭْ ﺃُﻧْﺜَﻰ ﺃَﻭْ ﺧُﻨْﺜَﻰ.
ফুকাহায়ে কেরামদের নিকট সতরে আওরাহ হল,শরীরের যে সমস্ত অঙ্গ প্রদর্শন করা নিন্দনীয় এবং লজ্জাকর সে সমস্ত অঙ্গকে ঢেকে রাখা।চায় পুরুষের অঙ্গ হোক বা নারীর অঙ্গ হোক কিংবা কোনো হিজড়ার অঙ্গ হোক।(মাওসু'আতুল ফেকহিয়্যাহ-২৪/১৭৩)
নামাযে কতটুকু সতর ঢেকে রাখা জরুরী সে সম্পর্কে ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
ستر العورة شرط لصحة الصلاة إذا قدر عليه. كذا في محيط السرخسي.العورة للرجل من تحت السرة حتى تجاوز ركبتيه فسرته ليست بعورة عند علمائنا الثلاثة وركبته عورة عند علمائنا جميعا هكذا في المحيط.بدن الحرة عورة إلا وجهها وكفيها وقدميها. كذا في المتون وشعر المرأة ما على رأسها عورة وأما المسترسل ففيه روايتان الأصح أنه عورة. كذا في الخلاصة وهو الصحيح وبه أخذ الفقيه أبو الليث وعليه الفتوى. كذا في معراج الدراية
সতরকে ঢেকে রাখার সামর্থ্য থাকাবস্থায় নামাযে সরতকে ঢেকে রাখা নামায বিশুদ্ধ হওয়ার শর্ত।
(পুরুষের সতরঃ)
নাভীর নিচ থেকে হাটুর নিচ পর্যন্ত।আমাদের বিশিষ্ট তিন উলামা(ইমাম আবু-হানিফা রাহ,ইমাম আবু ইউসুফ রাহ, ইমাম মুহাম্মাদ রাহ,) ত্রয়ের মতে নাভী সতরের অন্তর্ভুক্ত নয়।তবে সর্বসম্মতিক্রমে হাটু সতরের অন্তর্ভুক্ত।(মুহিত)
(মহিলার সতরঃ)মুখ,কব্জি পর্যন্ত হাত,টাখনু পর্যন্ত পা ব্যতীত আযাদ মহিলার সমস্ত অঙ্গই সতরের অন্তর্ভুক্ত।এবং মাথার চুলও সতরের অন্তর্ভুক্ত। ছেড়ে দেওয়া চুলগুলো কি সতরের অন্তর্ভুক্ত? এ সম্পর্কে দু,টি মত পাওয়া যায়।বিশুদ্ধ মতানুসারে ইহাও সতরের অন্তর্ভুক্ত। এবং এটাই ফকিহ আবুল লেইস রাহ এর সিদ্ধান্ত। এটার উপরই ফাতাওয়া। (মে'রাজুদ-দেরায়া) ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৫৮এভাবে বর্ণিত রয়েছে,আল-মুগনি-৩/৭,আল-ইস্তেযকার-২/১৯৭,ফাতাওয়ায়ে ইসলামিয়্যাহ-১/৪২৭) বিস্তারিত জানুন-
975
সতরে আওরাহ অর্থ নিজের লজ্জাস্থান ঢেকে রাখা,যাতেকরে শরীরের কোনো কিছুকে অনুধাবন করা না যায়।সুতরাং আটসাট কোনো কাপড় পরিধান করলে যা দ্বারা লজ্জাস্থান সমূহের উঁচনিচ প্রদর্শিত হয়ে যায়,এ সকল কাপড় দ্বারা সতরের ফরয আদায় হবে না।
হযরত ইবনে আব্বাস রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছেন,
عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا ، أَنَّهُ سَمِعَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، يَقُولُ : " لَا يَخْلُوَنَّ رَجُلٌ بِامْرَأَةٍ ، وَلَا تُسَافِرَنَّ امْرَأَةٌ إِلَّا وَمَعَهَا مَحْرَمٌ ، فَقَامَ : رَجُلٌ ، فَقَالَ : يَا رَسُولَ اللَّهِ اكْتُتِبْتُ فِي غَزْوَةِ كَذَا وَكَذَا ، وَخَرَجَتِ امْرَأَتِي حَاجَّةً ، قَالَ : اذْهَبْ فَحُجَّ مَعَ امْرَأَتِكَ " .
الكتب » صحيح البخاري » كِتَاب الْجِهَادِ وَالسِّيَرِ » بَاب مَنِ اكْتُتِبَ فِي جَيْشٍ فَخَرَجَتِ امْرَأَتُهُ
তরজমাঃ-আজনবী পুরুষ-মহিলা মাহরাম ব্যতীত পরস্পর খালওয়াত তথা নির্জনে সাক্ষাৎ করতে পারবে না।এবং মহিলা মাহরাম ব্যতীত কোথাও সফর করতে পারবে না।তৎক্ষণাৎ এক ব্যক্তি দাড়িয়ে বলল,অমুক জিহাদে আমার নাম লিখা হয়েছে,অন্যদিকে আমার স্ত্রী হজ্বে যেতে চাচ্ছে।তখন রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন,তুমি তোমার স্ত্রীর সাথে হজ্বে যাও।(বুখারী-২৮০০)
প্রশ্নের বিবরণ অনুযায়ী পাঁচ সাত মিনিটের জন্য ঘটনাক্রমে কোনো মহিলার সাথে নির্জনতায় আটকে গেলে গোনাহ হবে না।